সারাদেশ

স্বাধীনতা দিবসে টোকেন কিনেও খাবার পায়নি ইবি অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাধীনতা দিবসে টোকেন কিনেও খাবার পায়নি ইবি অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

খাবারের টোকেন থাকার পরেও খাবার প্যাকেট ও কোমল পানীয় পায়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন একাধিক অনাবাসিক শিক্ষার্থী। মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আটটি হলের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে খাবার বিতরণ করা হলে কিছু শিক্ষার্থী টোকেন থাকা স্বত্বেও খাবার না পেয়ে ফিরে যান।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আছরের নামাজের পড়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ৫০ টাকার টোকেনের বিনিময়ে উন্নতমানের বিশেষ খাবার দেওয়ার কথা ছিল। তবে, নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে টোকেন সংগ্রহ করলেও খাবার নিতে এসে খাবার না পেয়ে খালি হাতে ফিরে গেছেন বঙ্গবন্ধু হলের একাধিক অনাবাসিক শিক্ষার্থী।

তবে খাবার বিতরণের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দেওয়া ছিল বলে হল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

টোকেন থাকার পরেও খাবার না পাওয়া একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অনাবাসিকদের জন্য বরাদ্দকৃত টোকেনে স্পষ্ট ভাবে লেখা আছে যে বাদ আসর আসতে হবে। তারা সে অনুযায়ী আসরের নামাজ শেষে খাবার আনতে হলে গিয়ে প্রভোস্ট অফিস এবং ডায়নিং উভয়ই বন্ধ পান৷ এরপর হলে টানানো নোটিশে দেখতে পান যে খাবার সংগ্রহ করার সময় বিকেল ৩টা থেকে ৪টা। উপায় না শিক্ষার্থীরা হলের প্রভোস্টকে ফোন দিলে প্রথমে কর্মকর্তা ফারুকের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন এবং পরবর্তীতে তিনি দেরি করে আসার শিক্ষার্থীদেরই উল্টো দোষারোপ করেন। কিন্তু খাবার নেওয়ার সময় পরিবর্তনের নোটিশটি এমন সময় দেওয়া হয়েছে যখন অনাবাসিক অনেকেরই টোকেন নেওয়া শেষ।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা যারা অনাবাসিক শিক্ষার্থী তারা ক্যাম্পাসের আশেপাশে থাকি৷ ক্লাস বন্ধ থাকায় রোজা থেকে প্রতিদিন তো প্রয়োজন ব্যতীত ক্যাম্পাসে আসা হয়না। কাজেই দুইদিন আগে নোটিশ জানার প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া আমাদের তো জানার কথা না যে টোকেন দেওয়ার পরেও উনারা পরবর্তীতে খাবার নেয়ার সময় পরিবর্তন করবেন। প্রভোস্ট স্যার আমাদের অফিস থেকে ৫০ টাকা ফেরত নিয়ে যেতে বলেছেন কিন্তু আমাদের জন্য যে খাবার বরাদ্দ ছিল সেটা তো অবশ্যই ৫০ টাকা সমমূল্যের খাবার না।

এবিষয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন বলেন, ২৪ তারিখেই নোটিশ করে খাবার বিতরণের সময়ের ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ নোটিশ না দেখলে তার দায়ভার তো আমাদের না। বিকাল ৪ টার পরেই ১ ঘন্টা আমরা খাবার দিয়েছি। আমাদেরও তো ইফতার করতে হবে, আমরা তো কারো জন্য খাবার নিয়ে বসে থাকবো না।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ৫০ টাকা মূল্যে টোকেন বিক্রি করে বিশেষ খাবার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ সমিতির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

ছবি: বার্তা ২৪.কম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির উদ্যোগে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল আয়োজিত হয়েছে। এ সময় সমিতির উপদেষ্টা ও জীবন সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) নগরীর চিটাগাং ক্লাবে বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলে এই প্রোগ্রাম।

সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব জামাল মোস্তফা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও নির্বাহী নির্বাহী সদস্য আহমদ ইমরানুল আজিজের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ও সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন, দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি মুহাম্মদ শামসুল আলম, মুহাম্মদ শওকত আলী নূর, প্রাক্তন সহ সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দীন খান প্রমুখ।

এতে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সেলিম, সহ সভাপতি ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদুল আলম, অর্থ সম্পাদক আ ন ম নাসির উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক হোসাইনী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেহেনা আখতার বেগম, তথ্য, গবেষণা ও সেমিনার বিষয়ক সম্পাদক ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তফা নাজমুল কাউসার আরমান, দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ নুরুল বশর রাসেল, সমাজসেবা সম্পাদক মুহাম্মদ আইয়ুব আলী, নির্বাহী সদস্য এ এম রমিজ আহমদ ও মো. দেলোয়ার হোসাইন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বিকাল ৩.০০ টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিল, ️দ্বিতীয় পর্বে বিকাল ৪.০০ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং ️ তৃতীয় পর্বে বিকাল ৫.০০ টায় রমাদানের তাৎপর্য আলোচনা ও ইফতার মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি চবি অধ্যাপক ড.মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আপনারা আমাকে ভালোবাসেন মায়া করেন। আজকে মহান স্বাধীনতা দিবসে চিটাগং ক্লাবে আমার মত নগন্য মানুষকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। আপনাদের এই ভালোবাসায় আমি চির কৃতজ্ঞ।পবিত্র রমজান মানবজাতির জন্য মহান আল্লাহ্ তায়ালার নিয়ামত। রমজানের শিক্ষা আমাদেরকে ত্যাগ, আত্মসংযম ও নৈতিকতার মাধ্যমে দেশ ও মানবসেবায় নিবেদিত হতে শিক্ষা দেয়।

প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার বলেন, পবিত্র রমাদানুল মুবারকের তাৎপর্য হলো এটি ত্বাকওয়ার শিক্ষা দেয়। রমাদান ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গঠনের শিক্ষা দেয়। আমাদেরকে রমাদান থেকে ত্বাকওয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে ও দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাত ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি বলেন, এ মাসেই অবতীর্ণ হয়েছে মানবতার হিদায়াতের গ্রন্থ আল কুরআন। আল কুরআনের অনুসরণ ও অনুকরণ করতে পারলে মানবজীবন শান্তিময় হয়ে উঠবে।

পরিশেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রধান আলোচক চবি আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির জীবন সদস্য, বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ও অতিথিদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়।

;

উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল কুবি শিক্ষক সমিতি

উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল কুবি শিক্ষক সমিতি

ঢাকার সেগুন বাগিচায় অবস্থিত একটি রেস্টুরেন্টে গত ২৫ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিভিন্ন মিথ্যাচার করেছেন দাবি করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কুবি শিক্ষক সমিতি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্যের দেওয়া বক্তব্য সম্পূর্ণ বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাছান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন ঢাকার সেগুন বাগিচায় অবস্থিত একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিভিন্ন মিথ্যাচার করেছেন। তিনি বলেছেন, এক সময় স্থবির হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষক সমিতি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই স্থবির ছিল না। বরং বর্তমান উপাচার্য যোগদানের পর থেকে নানা ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, শিক্ষকদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করা, প্রশাসনিক কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি, নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্য, পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণে বৈষম্য তৈরি, তথ্য গোপন করে ইনক্রিমেন্ট গ্রহণসহ নানাবিধ আর্থিক কেলেঙ্কারির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল ও স্থবির করে রেখেছেন। অতীতের সকল উপাচার্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প এনেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত গতিশীল ছিল।

উপাচার্য ভর্তি পরীক্ষার টাকা থেকে শিক্ষকদের অ্যাওয়ার্ড ও শিক্ষার্থীদেরকে বৃত্তি প্রদানের নামে অর্থ আত্মসাৎ, গবেষণা খাতের বরাদ্দের তহবিল তছরুপ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় রচনা করেছেন। নিয়োগের শর্ত শিথিল করে, বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশ অগ্রাহ্য করে এবং নিয়োগ বোর্ড সদস্যদের নোট অব ডিসেন্ট উপেক্ষা করে একাধিক বিভাগে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে বিভাগগুলো চলছে ধুকে ধুকে। উপাচার্য দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৭ জন শিক্ষকের পদ এনেছেন। একটি কর্মকতা-কর্মচারীর পদও তিনি নতুন করে আনতে পারেননি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দও তিনি (উপাচার্য) আনতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে সে সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে, সবই আগের উপাচার্যের আমলের। উপাচার্য সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, স্থায়ীকরণ কমিটির সিদ্ধান্ত প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করে কার্যবিবরণী মনগড়াভাবে তৈরি করেন। সবমিলিয়ে গত দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দৃশ্যমান কোন উন্নয়নই করতে পারেননি। এমনকি মাননীয় উপাচার্যের সময়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে এ দাবিও অমূলক। অতীতেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে গর্বিত সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। প্রতিনিয়ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, নিয়ম-নীতি ও বিধি-বিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।

এছাড়া আরো উল্লেখ করা হয়, উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের বিভ্রান্তি। মাননীয় উপাচার্য ২০১১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদ থেকে অবসর নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেশন বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র প্রভাষক পদে চাকরি নিয়ে চলে যান এবং সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ১২ বছর একই পদে চাকরি করার পর পুনরায় চাকরি নবায়ন করতে না পেরে ২০২০ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং জানুয়রি ২০২০ থেকে জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক হিসেবে ৫৬,৫০০/- টাকা বেতন স্কেলে কর্মরত ছিলেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তির আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তাঁর প্রদত্ত বায়োডাটায় চুক্তিভিত্তিক কিংবা অবসরপ্রাপ্ত কথাটি তিনি উল্লেখ করেননি। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক উপাচার্যের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি নিয়েও নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

২০১১ সালে অবসর গ্রহণকালীন সময়ে তাঁর সর্বশেষ বেতন স্কেল ছিল ৩৪,০০০/- টাকা। প্রজ্ঞাপন অনুসারে সর্বশেষ আহরিত বেতন স্কেল ৩৪,০০০/- টাকা অথবা ৫৬,৫০০/- টাকা অনুযায়ী তার বেতন নির্ধারিত হওয়ার কথা। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ৬৮,৫৩০/- টাকা বেতন স্কেল নির্ধারণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেতন-ভাতাদি গ্রহণ করছেন এবং পরবর্তীতে দুটি ইনক্রিমেন্ট যুক্ত করে বর্তমানে ৭৪,৪০০/-টাকা বেতন স্কেলে বেতন-ভাতাদি গ্রহণ করছেন। যা সম্পূর্ণরূপে বেআইনী, অনৈতিক এবং আর্থিক কেলেঙ্কারীর সামিল হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এভাবেই মিথ্যাচারের মাধ্যমে তিনি অবৈধ বেতন-ভাতাদি গ্রহণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ক্ষতি করে যাচ্ছেন। শিক্ষক সমিতি মনে করে গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে চরম মিথ্যাচার করেছেন। তাঁর দেয়া বক্তব্য সম্পূর্ণ বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন। উপাচার্যের এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যলয়ের মান সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

;

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব পৃথিবীর নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের সম্পদ: ঢাবি উপাচার্য

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ড. এ.এস.এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্ব পৃথিবীর সকল নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের সম্পদ।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ঢাবিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের গুণাবলীর মধ্যে অন্যতম ছিল জনগণের প্রতি তার অপরিসীম ভালোবাসা ও গভীর আস্থা। তেমনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি জনগণেরও ছিল অকৃত্রিম আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা। শৈশব ও কৈশোর থেকেই তার মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি পরিলক্ষিত ও বিকশিত হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই একটি নতুন ইতিহাস, আর এই ইতিহাসই আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্মগতভাবেই মহান ছিলেন। মানুষের মঙ্গল ও মুক্তির জন্য তিনি যা বিশ্বাস করতেন, তা তিনি বলতেন ও করতেন। এজন্য তিনি কখনও পরাজিত হননি, সাহস নিয়ে সকল প্রতিকূলতা ও অপশক্তি মোকাবেলা করে সবসময় এগিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের উপর গভীর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে তার নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বস্তরের জনতা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো ও আত্মাহুতি দিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, দেশপ্রেম, নিষ্ঠা, সততার সাথে বলিষ্ঠ আন্দোলন, সংগ্রাম ও অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মহত্ত্ব অর্জন করেছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব কালোত্তীর্ণ ও কালজয়ী এবং তিনি পৃথিবীর সকল নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের সম্পদ।

স্বাধীনতা অর্জনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে ও দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তিনি যে দিক-নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, তা অনুসরণ করে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, আদর্শ ও দর্শন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের ধারা আরও এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কেন্দ্রীয় ভবন ও আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সন্তানদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এছাড়া, শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বা’দ জোহর মসজিদুল জামিয়ায় বিশেষ মোনাজাত এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। কার্জন হল ও টিএসসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে সকাল সাড়ে এগারোটায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

;

কুবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

ছবি: বার্তা২৪.কম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা শহীদ মিনারে ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে স্বাধীনতা দিবসের র‍্যালি শুরু হয়। র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

র‍্যালি শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়৷ এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, শাখা ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কর্মকর্তা পরিষদ, বিভিন্ন বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক সংগঠন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

শহীদ মিনার এবং বঙ্গবন্ধুর পাদদেশে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড মো: আসাদুজ্জামান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, কালরাতের হত্যাকাণ্ডের সকল শহিদের প্রতি, বীরঙ্গনাসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আলবদর, আল-শামস যখন একটি গোষ্ঠী হিসেবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তারা স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু মুখে স্বাধীনতার কথা বললে হবে না। স্বাধীনতাকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। স্বাধীনতা মানে অন্যের অধিকার ভুলণ্ঠিত করা নয়। অন্যের অধিকারকেও আমাদের সম্মান দেখাতে হবে। ব্যক্তি স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতার নামে অপকর্ম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধু প্রথম সংগ্রাম ছিল মুক্তির সংগ্রাম। কিন্তু বঙ্গবন্ধু যে মুক্তির ডাক দিয়েছেন বাঙালি এখনো মুক্তি পায়নি। বঙ্গবন্ধু তনয়া সে লক্ষ্যে কাজ করছে।’

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মার্চ মাস বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ মাস। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ থেকে স্বাধীনতাকে ধারণ করেছেন। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পাকিস্তানি বাহিনী যে পরিমাণ ক্ষতি করেছে রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে।’

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় প্রোগ্রাম করার জন্য যারা শ্রম ও সহযোগিতা করছেন তাদেরকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, সে লক্ষে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় ভালোর পক্ষে থাকবেন এবং মন্দকে রহিত করবেন।’

তাছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন এবং হলগুলোতে রঙিন আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবন ও হলগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮ ঘটিকা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ এবং দেশাত্মবোধক গান প্রচার করা হয়। প্রতিবছরের মত এবারও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হলগুলোতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *