সারাদেশ

নওগাঁয় গৃহবধু হত্যা, ঢাকায় ৩ পরিকল্পনাকারী গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট: নওগাঁয় গৃহবধু হত্যা, ঢাকায় ৩ পরিকল্পনাকারী গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার গৃহবধু মহসিনা খাতুন ওরফে আয়না (৩০) হত্যা মামলার আসামী মূল পরিকল্পনাকারী স্বামীসহ শ্বাশুড়ি ও দেবরকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর আদাবর থানার সুনিবির হাউজিং এলাকায় র‌্যাবের যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ধামইরহাট উপজেলার বিহারী নগর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে ও নিহতের স্বামী নুরুল আমিন ওরফে এরশাদ (৩২) ও দেবর শাকিল হোসেন (২২) এবং শ্বাশুড়ি আমেনা বেগম। তারা সকলেই ওই গৃহবধু হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী।

বিকেলের র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের গত ১২ মার্চ ভোর রাতে ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়নের বিহারীনগর গ্রামের নরুল আমিন ওরফে এরশাদ এর স্ত্রী মহসিনা খাতুন ওরফে আয়নাকে বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বে একটি আম গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

লাশ উদ্ধারের পর গৃহবধুর বাবার বাড়ির লোকজন স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। তাদের অভিযোগ মৃত আয়না আক্তারের সাথে শাশুড়ী, স্বামী ও দেবর এর সাথে প্রায়ই বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা, সোফা সেট, আলমারী ও খাট ইত্যাদি আনার জন্য বিরোধ লেগেই থাকতো। এই বিরোধের জের ধরে তাকে মারপিট করে শ্বাসরোধে মেরে ফেলে বসত বাড়ির আম গাছে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন মৃতের স্বজনরা। পরবর্তীতে মৃতের চাচা আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় ভাতিজি আয়নাকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ, দেবর শাকিল এবং আমেনার জামাতা বিদ্যুৎ এর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।

মামলা করার পর থেকেই আসামীরা আত্বগোপনে চলে যায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা ধামইরহাট উপজেলার গোপিরামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামী বিদ্যুৎকে গ্রেফতার করে। এবং অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। পরবর্তীতে র‌্যাব-২, সিপিসি-১ এর সহায়তায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শ্বাশুড়ি আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিলকে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার আদাবর থানার সুনিবির হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঈশ্বরদীর ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে তেলবাহী ও মালবাহী ট্রেনের দুই বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ট্রেনের চালকসহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ।

শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ জানান, ঈশ্বরদীর ট্রেন দুর্ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করতে সিনিয়র সহকারী সংকেত প্রকৌশলী, সহকারী পরিবহণ কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে ৪ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় ট্রেনের চালক, সহকারী চালক এবং অন-ডিউটি সহকারী স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে রেল ক্রসিং পারাপারের সময় মালবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। 

;

৭ ঘণ্টা পর ঢাকা-খুলনা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে মালবাহী দুটি ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় এক লাইন দিয়ে ঢাকা-খুলনা রুটে প্রায় ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল পৌনে সাতটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ।

তিনি জানান, প্রায় সাত ঘণ্টা পর লাইনচ্যুত হওয়া দুটি টেনের দুই বগি উদ্ধার করা হয়। এরপর ঈশ্বরদী থেকে ঢাকা ও খুলনার সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে, রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে তেলবাহী ট্রেনে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, একটি তেলবাহী ট্রেন পার্বতীপুরে তেল নামিয়ে দিয়ে খুলনার দিকে যাবার পথে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। ঘটনার সময় পাথর বোঝাই একটি মালবাহী ট্রেন ভারত থেকে ঢাকা যাবার পথে একই স্টেশনে দাঁড়ায়।

ঈশ্বরদী রেল ক্রসিংয়ে ২ ট্রেনের সংঘর্ষ, ঢাকা-খুলনা রেল চলাচল বন্ধ এ সময় পাথর বোঝাই ট্রেনটি শানটিং করার সময় (বগি এক লাইন থেকে আরেক লাইনে নেয়ার সময়) তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তখন তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তারপর ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন গিয়ে বগি উদ্ধারে কাজ করে।

পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ জানান, ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন, বিভাগীয় সিনিয়র সহকারী সংকেত প্রকৌশলী, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী।

কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে মালবাহী ট্রেনের চালক, সহকারী চালক এবং অন-ডিউটি সহকারী স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

;

রাজধানীতে পেটে ছুরি ঢুকিয়ে রিকশাচালকের আত্মহত্যা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাতিরঝিলের মধুবাগের একটি বাসায় জয়নাল আবেদীন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

জয়নাল আবেদীন পেশায় রিকশাচালক ছিলেন। তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ থানার হাসানপুর গ্রামের মৃত মোজামিয়ার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার মধুবাগের ৩ নম্বর গলির বাসায় ভাড়া থাকতেন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত পৌনে ৯টায় মারা যান তিনি।

নিহতের স্ত্রী মঞ্জিলা বেগম জানান, আমার স্বামী রিকশা চালাতেন। চার বছর আগে হার্টের রোগ ধরা পড়ে তার। আমি বাসা বাড়িতে কাজ করি। আমার এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়েটি একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। ছেলেটির বয়স পাঁচ বছর। আমরা গরিব মানুষ। হার্টের রোগের চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা পয়সা লাগে। আমার স্বামী এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কোনও কাজই করতে পারতেন না।

তিনি বলেন, অভাবের সংসারে খুব কষ্ট করে দিন চলে আমাদের। স্বামীর হার্টের রোগের চিকিৎসার জন্য এত টাকা পয়সা আমাদের নেই। তাই কখনও আমরা তার জন্য ওষুধ কিনে দিতে পারতাম, আবার অনেক সময় পারতাম না।

তিনি আরও জানান, আজ সন্ধ্যার পর শরীরের ব্যথায় আমার স্বামী কাতর হয়ে পড়ছিলেন। কিন্তু টাকা না থাকায় তার জন্য ওষুধ আনতে পারিনি। এই কষ্টে আমার স্বামী নিজের পেটে চাকু চালিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। পরে আমরা এই অবস্থা দেখে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসি। পরে এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাতিরঝিল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি হাতিরঝিল থানাকে জানিয়েছি। ঘটনাটি তারাই তদন্ত করছে।

;

ঈশ্বরদী রেল ক্রসিংয়ে ২ ট্রেনের সংঘর্ষ, ঢাকা-খুলনা রেল চলাচল বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে রেল ক্রসিং পারাপারের সময় মালবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। তেলবাহী ট্যাংকার ও পাথরবাহী ওয়াগনের মুখোমুখি সংঘর্ষে একটি ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পাথরবাহী ওয়াগনটি ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা (এটিও) হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ঢাকা-খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

রেলওয়ের পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিনগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ঈশ্বরদী রেলইয়ার্ড থেকে মালবাহী ট্রেনের সান্টিং চলছিল। ঈশ্বরদী রেলইয়ার্ড থেকে আরেকটি তেলবাহী ট্রেন ভুলবশত খুলনা অভিমুখে যাত্রা করে। এতে মালবাহী দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মালবাহী ট্রেনের একটি ওয়াগনের চারটি চাকা এবং তেলবাহী ট্রেনের লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের ছয়টি চাকা লাইনচ্যুত হয়।

পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, ঘটনার পরপরই উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন বগি উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে। ভোর পাঁচটা নাগাদ উদ্ধার কাজ শেষ হয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানান তিনি।

ঘটনার পরপরই ঈশ্বরদীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ কুমার দাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) টি এম রাহসান কবীর ও ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *