সারাদেশ

সাতক্ষীরায় বিএনপি, জামায়াতের ১২ জনসহ আটক ৩২

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির দেশের প্রতি সামান্যতম ভালোবাসা নাই। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ক্ষমতায় যাওয়া বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের স্থায়ী কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির লক্ষ্য ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাট করা। দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের অর্থপাচারের মামলায় এফবিআই সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। তারেক রহমান রিমোর্ট কন্ট্রোলের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ২৮ তারিখ ছিল তাদের ডেডলাইন। এখন আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করেছে।

তিনি বলেন, একজন পুলিশকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে খুন করেছে নির্মমভাবে। এই দৃশ্য চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। পর পর ছয়বার কানাডার আদালত তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন বলে যে রায় দিয়েছে তা সঠিকভাবেই বলেছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি পুলিশের ওপর হামলা করেছে, হাসপাতালে আগুন দিয়েছে, ৩৪ জন সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে। এত সাংবাদিক কোথাও নির্যাতিত হয়নি। তারা প্রতারক দল। প্রতারণারও একটা সীমা আছে। মিয়া আরেফি, তার সঙ্গে আরেকটি ফ্রড সরোয়ারদী, আমাদের সেনাবাহিনীতে ছিলো নানা অপকর্ম করে চলে এসেছে। সে একটা উল্লাপাড়ার পাগল, তাকে দিয়ে জো বাইডেনের উপদেষ্টা প্রতারণার যে নাটক।

রুহুল কবির রিজভী একজন প্যাথোলজিকাল লায়ার জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন সে পাহাড়ের গুহার মধ্যে ঢুকেছে। ভাষণ দিয়ে যাচ্ছে। এসব লোক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে কিভাবে প্রতারণা করছে আন্দোলনের নামে।

তিনি বলেন, এখন তারা বাসে আগুন দিচ্ছে অবরোধের নামে। ২৮ তারিখ ব্যর্থ। হাসিনাকে হটিয়ে ফেলবে। তারা আমাদের অলিগলিও দিবে না, আমরা কিভাবে পালাবো। মির্জা ফখরুল সেদিন শেষ পর্যন্ত হ্যান্ডমাইক দিয় পূর্ণদিবস হরতাল ঘোষণা করেছে। এসব দেশবাসীকে বুঝতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে একটা কথা বলি, যে যেটাই বলুক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিবৃতিতে আসছে জেলে আছে ৮ হাজার বিরোধী দলীয় নেতা, তাদের মুক্তি দিতে। এটা আমাদের বন্ধুদের একটা ফোরাম। আমরা তাদের বিপক্ষে যাই না। তাদের ইনফরমেশন গ্যাপ আছে। তথ্য উপাত্তের ঘাটতি আছে।

পুলিশকে মেরে ফেললে তাকে গ্রেফতার করা যাবে না? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তাদের কোন বিচার হবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন কারেকশন দিবে এটা আমরা আশা করি। আমরা তাদের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়াতে চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণ ইলেকশন চাই।

তিনি বলেন, দেশে সংকট চলছে। আমরা চ্যালেঞ্জিং সময় অতিবাহিত করছি। সংকট বিশ্বব্যাপী, তার প্রভাব আমাদের ওপরও পড়েছে। জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি ও তেলের মূল্যবৃদ্ধি। বিশ্বে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে। সারা পৃথিবীতে যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় একটি অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এটা সারা বিশ্বেরই সংকট।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ-খেটে খাওয়া মানুষকে কষ্ট দেয়। দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা তা অসহয়নীয়। মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। মানুষের কষ্ট লাঘবে আমাদের নেত্রী দিনরাত কাজ করছেন। কিভাবে এ কষ্ট দূর করা যায়।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *