সারাদেশ

উমরাকারীদের সেবায় মসজিদে হারামে এআই রোবট

ডেস্ক রিপোর্ট: উমরাকারীদের সেবায় মসজিদে হারামে এআই রোবট

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত রোবট নিয়োগ করা হয়েছে মক্কায়, ছবি : সংগৃহীত

মসজিদে হারামে আগত মুসল্লি ও উমরাকারীদের সহায়তায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত রোবট বা এআই রোবট নিয়োগ করা হয়েছে। পথ নির্দেশনা, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরসহ প্রয়োজনীয় বিষয়ে পরামর্শ দিতে চলতি রমজান মাসে বেশ কয়েকটি রোবট নিয়োগ দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

রোবটগুলো ইবাদত-বন্দেগির বিভিন্ন নিয়ম-কানুনসহ মুসল্লিদের নানা বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ভাষায় ফতোয়া, ধর্মীয় হুকুম-আহকাম ও মাসালা-মাসায়েল জানাবে। এছাড়া রোববটগুলো মুফতিদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পেতে মুসল্লিদের সহায়তা করবে।
 
মক্কার মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিতে আগত মুসল্লিসহ, হজ ও উমরাযাত্রীদের সেবা ছাড়াও নানা কর্মকাণ্ডে এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোবট চালু করা হয়েছে। মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বারোপ থেকে করোনা সংক্রমণরোধে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রোবটের মাধ্যমে মক্কা-মদিনার দুই মসজিদে জমজম পানি বিতরণ করা হয়।

এ ছাড়া মসজিদে হারামকে জীবাণুমুক্ত রাখতে ১০টি অত্যাধুনিক রোবট চালু করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। করোনা সংক্রমণরোধে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ব্যবহারের সাহায্যে মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অত্যাধুনিক এসব রোবটের সাহায্যে একাধারে পাঁচ থেকে আট ঘণ্টা জীবাণুমুক্ত রাখার কাজ করা যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় মুসল্লিদের ইসলামের বিধি-বিধান সম্পর্কে জানানোর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববির ধর্ম বিষয়ক প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস বলেন, ডিজিটাল ও ইলেকট্টনিক অ্যাপস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মুসল্লিদের ইবাদতের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য আমাদের পরিকল্পনা হলো পবিত্র রমজান মাসের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় ইসলামের বার্তা প্রদান এবং দিকনির্দেশনা দেওয়া।

সেই লক্ষ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত রোবট নিয়োগ করা হয়েছে। সেবাটি আরবি, ইংরেজি, ফরাসি, রাশিয়ান, ফার্সি, তুর্কি, উর্দু, চীনা ও বাংলাসহ ১১টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় দেওয়া হচ্ছে। রোবটটিতে ২১ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন রয়েছে।

মূলতঃ বিদেশি উমরাযাত্রীদের জন্য বিশ্বের ১১টি ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০২১ সালে এই এআই রোবটের পরিকল্পনা করা হয়। স্মার্ট স্টপেজ সিস্টেম অনুসরণ করে রোবটটি সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাফেরা করতে পারে।

কোরআন মাজিদ মাটিতে না রাখা

সাধারণভাবে মাটিতে রাখলে কোরআনকে অসম্মান করা হয়, ছবি : সংগৃহীত

মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে বিশ্বের নানা প্রান্তের, নানা ভাষার, নানা বর্ণের মানুষের ভিড় থাকে। তাদের সাজ-পোশাক থেকে শুরু করে আচার-ব্যবহার এমনকি মাজহাবগত ভিন্নতার কারণে নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, রওজা শরিফ জিয়ারতে ভিন্নতা দেখা যায়।

অনেক সময় দেখা যায়, জায়নামাজের ওপর কোরআন মাজিদ রাখছে, বায়তুল্লাহর দিকে পা দিয়ে বসে আছে, তাওয়াফের সময় সমস্বরে দোয়া-দরুদ করছে। এগুলো দেখে অনেক হাজি ভুল বার্তা গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন, কোলের ওপরে কোরআন মাজিদ রেখে আদবের সঙ্গে পড়তে কোনো আপত্তি নেই। কোরআন তেলাওয়াত অবস্থায় কোরআন মাজিদ কোলে রাখা সম্পর্কে আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন (রহ.) কে জিজ্ঞেস করা হয় যে, এটি কি আদবের খেলাপ? উত্তরে তিনি বলেছেন, না।

কোরআনে কারিম আল্লাহতায়ালার বাণী। কোরআন মাজিদকে সম্মান করা প্রত্যেক মুমিনের ঈমানি দায়িত্ব। সাধারণভাবে মাটিতে রাখলে কোরআনকে অসম্মান করা হয়। তাকে অবশ্যই কোনো উঁচু স্থানে রাখতে হবে।

একবার একদল ইহুদি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট এসে এক ব্যভিচারী নারীর শাস্তির দাবি করল। তখন তিনি (নবী কারিম সা.) তাওরাত নিয়ে আসার নির্দেশ দিলেন এবং সেটি নিচে না রেখে একটি বালিশের ওপর রাখলেন। -সুনানে আবু দাউদ : ৪৪৪৯

কোরআন মাজিদ মাটি থেকে একটু ওপরে রাখা উত্তম। যেমন- রেহাল, টেবিল, চেয়ার, তাক, আলমারি কিংবা অন্য সাধারণ বইয়ের ওপর ইত্যাদি। এটা কোরআন মাজিদের প্রতি সম্মান প্রদর্শের জন্য অধিক উপযোগী।

তবে যদি প্রয়োজনবশতঃ (কোরআনকে অপমান করার উদ্দেশ্যে না থাকে) পবিত্র মাটির ওপর কোরআন রাখা হয়, তাহলে গোনাহ নেই। যেমন- যদি উঁচু স্থানে রাখার কোনো ব্যবস্থা না থাকে অথচ তেলাওয়াতে সেজদা দিতে হবে। তাহলে এ অবস্থায় পবিত্র মাটির ওপর রাখা জায়েজ। দরকার বশতঃ পবিত্র মাটির উপর রাখা নিষেধ এমন কোনো হাদিস পাওয়া যায় না। তবে নিঃসন্দেহে কোরআনের সম্মান প্রদর্শনার্থে মাটি থেকে উঁচুতে রাখা অধিক উত্তম।

তাই আমাদের উচিৎ, কোরআন মাজিদ, হাদিসের কিতাব ও ধর্মীয় গ্রন্থসহ যে সব বইয়ে কোরআনের কিছু আয়াত থাকে, সেগুলোকে সম্মান করে মাটির ওপর না রাখা।

;

উমরাকারীরা যেসব জিনিস বহন করতে পারবেন না

উমরাপালনকারীদের নির্দিষ্ট কিছু জিনিস বহন না করার জন্য সতর্কতা দিয়েছে সৌদি আরব, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র উমরাপালন করতে আসা মুসল্লিদের নির্দিষ্ট কিছু জিনিস বহন না করার জন্য সতর্কতা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেওয়া নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উমরা করতে আসা কেউ সৌদিতে লেজার, আতশবাজির সামগ্রী, নকল মুদ্রা এবং অনিবন্ধিত ওষুধ নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না।

এ বিষয়ে হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আল্লাহর মেহমানরা, সৌদি আরবে প্রবেশের আগে নিশ্চিত করুন আপনি এসব নিষিদ্ধ জিনিস বহন করছেন না।’

রমজানে উমরাকারীদের ভিড় বাড়ায় সৌদি আরব বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এর অন্যতম হলো- পবিত্র কাবাঘর প্রাঙ্গণে নামাজ না পড়ে মসজিদে হারামে পড়তে বলা হয়। যেন ওই সময় উমরাযাত্রীরা তওয়াফ করতে পারেন। তা ছাড়া রমজান মাসে একবারের বেশি উমরাপালনে বারণ করা হয়। এদিকে মক্কার বাসিন্দাদের মসজিদে হারামে ভিড় না করে হারামের সীমানার ভেতরে অবস্থিত মসজিদগুলোতে নামাজ পড়তে বলা হয়।

সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ এর অংশ হিসেবে উমরা পালন প্রক্রিয়া সহজ করেছে। উমরাযাত্রীদের উন্নতমানের সেবা নিশ্চিত করতে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া উমরা ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হয়েছে। উমরার ভিসা নিয়ে সৌদি আরবের সব জায়গায় যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন সৌদিয়া এয়ারলাইনসের মাধ্যমে ৯৬ ঘণ্টার ট্রানজিট বা স্টপওভার ভিসা নিয়েও উমরা পালন করা যায়। তা ছাড়া যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, শেনজেন নাগরিক বা ভিসাধারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ই-ভিসা পাচ্ছেন।

;

মসজিদের নগরী এখন মসজিদের দেশে পরিণত হয়েছে

বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ আয়োজিত আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথি, ছবি : সংগৃহীত

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজের অনাচার দূর করা সম্ভব। বিশেষ করে দুর্নীতি, মাদকাসক্তিসহ সব সমস্যা দূরীকরণে সামাজিক সংঠনগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে সামাজিক সংগঠনগুলোকে নিষ্ঠার সঙ্গে আরও ব্যাপকভাবে কাজ করা দরকার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরও বলেন, উগ্রবাদীদের টার্গেটে যখন বাংলাদেশ, তখন এগিয়ে এসেছেন আলেম-উলামা এবং সংগঠনসমূহ। একসময় ঢাকা শহরকে মসজিদের নগরী বলা হতো। এখন সেটা ছাপিয়ে পুরো বাংলাদেশ মসজিদের দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সামাজিক সংগঠনগুলোর কারণে।

ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান উপদেষ্টা ধর্মবিষক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপিকে পূর্ণ মন্ত্রী, প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন মূখ্যসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এবং আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপিকে পরপর তিনবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ায় সংগঠনের বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুফতি আবুল বাশার নুমানি, মাওলানা মুজিবুর রহমান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল হামিদ জমাদ্দার, ডি আইজি নাফিউর রহমান, মুফতি মুনিরুল ইসলাম এবং মুফতি রেজাউল হক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এর প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজের মধ্য দিয়ে এটি আলোচনায় আসে।

২০২২ সালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্বজয়ী হাফেজদের সংবর্ধনা ও জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতা’ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফাউন্ডেশনটি ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করে।

২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম দেশসেরা হাফেজদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

কাজের ধারাবাহিকতায় ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতিতে ত্রাণ সহায়তা প্রদান, ঢাকার মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন হলে ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে সচেতনতামূলক সেমিনার, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘এডিস মশা ও ডেঙ্গু বিস্তাররোধে করণীয়’ সম্পর্কে ইমাম-খতিবদের নিয়ে সেমিনারের আয়োজন ছাড়াও সারাদেশে ধর্মীয় ও সচেতনতামূলক নানা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

;

রমজানে উমরাকারীর সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে যাবে

কাবা তওয়াফ করছেন উমরাকারীরা, ২৮ মার্চ সকালের দৃশ্য, ছবি : হারামাইন পেইজ

সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা ও মদিনায় এখন শুধু মানুষ আর মানুষ। দৃষ্টি যতদূর যায় শুধুই মানুষের ভিড়। তাদের কেউ ইহরাম পরিহিত, কেউ স্বাভাবিক পোষাকে। তবে সবার লক্ষ্য এক জায়গা- মসজিদে হারাম।

সোমবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পবিত্র এই মাস শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৮২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৮০ জন মুসল্লি উমরা পালন করেছেন।

সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, এর আগে এত বিপুল সংখ্যক মুসল্লি এভাবে ভিড় করেননি। তাদের আশা আগামী ১৫ দিনে এই সংখ্যা ২ কোটি পার হয়ে যাবে।

প্রতিবেদন অনুসারে রমজান মাস শুরুর পর থেকে ৭২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৪ জন উমরা সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে দেশটিতে ৯ লাখ ৭৬ হাজার ১৭৬ জন অবস্থান করছেন।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, স্থলপথে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক উমরাযাত্রী সৌদি আরব এসেছেন। এরপর যথাক্রমে আকাশপথ ও সমুদ্রপথে এসেছেন। স্থলপথে ৯ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৬ জন আগমন করেছেন। আর আকাশপথে সাত লাখ ৯৮৩ জন এবং সমুদ্রপথে ৫৪ হাজার ১৪১ জন এসেছেন। রমজান মাসে পবিত্র মসজিদে হারামে ভিড় নিয়ন্ত্রণে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে উমরা পালন নিশ্চিত করতে নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সৌদি আরব।

বিশেষ করে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে চলতি রমজানে উমরা পালনের কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয়বারের মতো অনুমতি পাননি। অ্যাপে আবেদন করলে একটি বার্তা ভেসে ওঠে। তাতে লেখা থাকে, ‘অনুমতি প্রদান ব্যর্থ হয়েছে। সবাইকে সুযোগ দিতে রমজানে দ্বিতীয়বার কেউ উমরা করতে পারবেন না।’

অন্য আরেক নির্দেশনায় পবিত্র কাবাঘরের প্রাঙ্গণ তথা মাতাফে নামাজ না পড়ে মসজিদে হারামে নামাজ পড়তে বলা হয়েছে। যেন ওই সময় উমরাযাত্রীরা তওয়াফ করতে পারেন। এ ছাড়া রমজান মাসে একবারের বেশি উমরা পালনে বারণ করাসহ মক্কার বাসিন্দাদের মসজিদে হারামে ভিড় না করে আশপাশের মসজিদে নামাজ পড়তে উৎসাহিত করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে এক কোটি ৩০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মুসলিম উমরা পালন করেছে, যা ছিল সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *