আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল আলোচনা আগামী মাসে হতে পারে

ডেস্ক রিপোর্ট: গাজা উপত্যকার দক্ষিণে রাফাহ নগরীতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সম্ভাব্য অভিযানের বিষয়ে আগামী ১ এপ্রিল ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা হতে পারে জানিয়েছে রয়টার্স। সিএনএনের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।

টেলিভিশন খবরে বলা হয়েছে, আগামী ১ এপ্রিল (সোমবার) এই আলোচনার জন্য ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত দিনক্ষণ এখনো নির্ধারিত হয়নি। এর আগে রাফাহ নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়ে যায়।

টেলিভিশন খবরে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর পরিকল্পনার কথা সামরিক মন্ত্রিসভার সদস্যদের জানান।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার (২৯ মার্চ) গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা নতুন করে শুরু করার সবুজ সংকেত দিয়েছেন।

গাজায় ভয়াবহ পরিস্থিতিতে থাকা নাগরিকদের কাছে ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে বিশ্বের শীর্ষ আদালতের নির্দেশের একদিন পর নতুন করে আলোচনা শুরুর অনুমোদন দিলেন নেতানিয়াহু।

অন্যদিকে অতি সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো সত্ত্বেও অবরুদ্ধ গাজায় লড়াই আরো তীব্র হয়েছে।

গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত রাতে ইসরায়েলের হামলায় বেশ কিছু লোক প্রাণ হারিয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে ১২ জন দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের যেখানে ইসরায়েল স্থল অভিযান চালানোর হুমকি দিচ্ছে। তবে সেখানে বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

এনডিটিভি জানিয়েছে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি সংক্রান্ত নতুন আলোচনা সামনের দিনগুলোতে দোহা ও কায়রোতে অনুষ্ঠিত হবে।

হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) তার এক রায়ে বলেছেন, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির অবনতি মোকাবিলায় ইসরায়েলকে আরো কিছু করতে হবে বলে দক্ষিণ আফ্রিকার যুক্তিটি তারা মেনে নিয়েছে।

আইসিজে আরো বলেছেন, গাজার ফিলিস্তিনীরা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে নয়, তারা দুর্ভিক্ষে আছে।

ফিলিস্তিনী শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি বলেছেন, গাজার ভয়ঙ্কর মানবিক পরিস্থিতি মানবসৃষ্ট এবং তা আরো খারাপ হচ্ছে। এই রায় তীব্রভাবে আামদের সেই কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।

গাজার কয়েকটি হাসপাতালে ইসরায়েল যে অভিযান শুরু করেছিল তা অব্যাহত থাকায় সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া গাজার বিভিন্ন স্থানে হামাসের সাথে ইসরায়েলী বাহিনীর লড়াই অব্যাহত রয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজার উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনুস শহরে তীব্র লড়াই চলছে।

উল্লেখ্য, গতবছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এর প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ অভিযান শুরু করে তা অব্যাহত রেখেছে।

গাজায় অব্যাহত এই হামলায় এই পর্যন্ত ৩২ হাজার ৬২৩ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *