সারাদেশ

গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ: বাবা-মা পর সন্তানেরও মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট: গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ: বাবা-মা পর সন্তানেরও মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মা-বাবার পর ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন তাদের মেয়ে।

সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান দগ্ধ সোহাগ।

নিহতরা হলেন– নুরুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪০) ও তাদের ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী সোহাগ হোসেন (১৮)। তাদের বাড়ি ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের উত্তরপাড়া এলাকায়। তারা মোকামটোলা এলাকার আমেরিকা প্রবাসী ইব্রাহিম মিয়ার চারতলা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকেন।

গত বুধবার (২৭ মার্চ) ভোররাতে পৌরসভার মোকামটোলা এলাকায় সেহরির জন্য রান্না করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, গত বুধবার ধামরাই থেকে দগ্ধ অবস্থায় একই পরিবারের চারজনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে গতরাতে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নুরুল ইসলাম ৪১ শতাংশ দগ্ধ, আজ দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম ৯০ শতাংশ দগ্ধ ও দুপুর পৌনে বারোটার দিকে তাদের ছেলে সোহাগ হোসেন ৪১ শতাংশ অবস্থায় মারা যান। এই ঘটনায় তাদের একমাত্র মেয়ে সাথী আক্তার ১৬ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নিহত নুরুল ইসলামের ভাই ফরহাদ হোসেন জানান, গত বুধবার রাত ৩টার দিকে দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দগ্ধদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে।

স্বজনদের ধারণা, লিকেজ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে তারা দগ্ধ হয়েছেন। গতরাতে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আমার বড় ভাই আর আজ দুপুরের দিকে তার স্ত্রী এবং একমাত্র ছেলে মারা গেছেন। এই ঘটনায় তার একমাত্র মেয়ে শেখ হাসিনা বার্ন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুলাল হাওলাদার (৮৭) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দুলাল ওই গ্রামের মৃত গওহর হাওলাদারের ছেলে।

সোমবার (০১ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে বাথরুমে ঢোকার সময় ঘরের টিনের সাথে হাত লাগলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বৃদ্ধ দুলাল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরিত্যক্ত ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকায় বৈদ্যুতিক তার টিনের ঘষায় ছিদ্র হয়ে সম্পূর্ণ ঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। 

বরিশাল গৌরনদী মডেল থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

মসজিদের টাকা চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার নন্দীগ্রামে মসজিদের দানবাক্স থেকে ২০০’ টাকা চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে দড়ি দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। কয়েক দফায় নির্যাতনের একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) নন্দীগ্রাম পৌরসভার নামুইট তিনমাথা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সড়কের মাঝখানে কড়ইগাছে বেঁধে নির্যাতনের শিকার দুই কিশোর উপজেলার তাঁরাটিয়া এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মুর্শিদুল (১৭) ও ভাটরা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে সুমন (১৬)।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নামুইট তিনমাথা বাজারে ওয়াক্ত নতুন জামে মসজিদের দানবাক্স থেকে টাকা চুরির অভিযোগ তুলে দুই কিশোরকে রাস্তা থেকে ধরে আনে নামুইট গ্রামের নজরুল ও কাচু প্রামানিক। পরে গ্রামের কয়েকজন একত্রিত হয়ে দুই কিশোরকে রশি দিয়ে গাছে বেঁধে সালিশ বসিয়ে নির্যাতন।

নির্যাতনের শিকার সুমন জানায়, তারা বাবা-ছেলে অটোভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। সকালে দুই বন্ধু অটোভ্যান নিয়ে নন্দীগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিলো। নামুইট মোড়ে ভ্যান থামানোর সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে চোর চোর করে চিৎকার করে নামুইট গ্রামের মাতব্বর নজরুল। কয়েকজন মোড়ল ও স্থানীয় লোকজন এসে যাচাই না করেই দুই কিশোরকে মারতে মারতে রাস্তার পাশে নিয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোর আখ্যা দিয়ে একঘন্টা অমানবিক নির্যাতন করা হয়। প্রমাণ ছাড়া মারধরের বিষয়ে উপস্থিত কয়েকজন প্রশ্ন তোলায় দুই কিশোরকে মসজিদের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় আধাঘন্টা নির্যাতনের পর দুই কিশোরকে নামুইট তিনমাথা মোড়ে এনে কড়ইগাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে।

গ্রাম্য মোড়ল নজরুল দাবি করেন, ফজর নামাজ শেষে মসজিদ থেকে মুসল্লিরা চলে যাওয়ার পর দুই কিশোর দানবাক্স থেকে টাকা চুরি করে। তাদেরকে আটক করে শাসন করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড নামুইটের সাবেক কাউন্সিলর রহমত আলী বলেন, মসজিদে টাকা চুরির কারণে দুইজনকে শাসন করেছে। তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করার চেষ্টা করেছি। জানানোর পরও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি।

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসেন বলেন, থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তারপরেও পুলিশ নির্যাতনের ভিডিও সংগ্রহ করে জড়িতদের আটক করতে অভিযান শুরু করেছে।

;

কেউ চাইলে ৮ ও ৯ এপ্রিল ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারবে

ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরের আগে ৮ ও ৯ এপ্রিল সরকারি অফিস ছুটির বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ নাকচ করে দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে কোনো কর্মকর্তা চাইলে ওই দুই দিন তার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারবেন।

সোমবার (১ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সচিব বলেন, ৮ ও ৯ এপ্রিল যথাযথ নিয়মে অফিস খোলা থাকবে। ৯ এপ্রিল ছুটির বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি যে সুপারিশ পেশ করেছিল মন্ত্রিসভা তা আমলে নেয়নি। তবে যারা দূরে যাবেন তারা চাইলে ছুটি নিতে পারবেন বলেও জানান সচিব।

তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী— এবার রমজান ৩০ দিন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর ফলে ঈদুল ফিতর হতে পারে ১১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার)। ১১ এপ্রিলকে ঈদুল ফিতরের দিন ঠিক করে ছুটির তালিকা করেছে সরকার। ক্যালেন্ডারে যেভাবে ছুটি করা আছে, ওভাবেই ছুটিটা থাকবে। ৮ ও ৯ এপ্রিল অফিস খোলা থাকবে।

ছুটি যেহেতু বাড়েনি সেক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাইলেই তো ছুটি নিতে পারবেন- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ঐচ্ছিক ছুটির একটা ব্যবস্থা আছে। যারা ঐচ্ছিক ছুটি নিতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করবেন, তারা তো নিতেই পারবেন।

তিনি আরও বলেন, এটার জন্য আলাদা নির্দেশ দেওয়ার দরকার নেই। এটা আমাদের ছুটি বিধিতেই আছে। প্রতিবছর আমরা যখন ক্যালেন্ডারটা করি সেই ক্যালেন্ডারটির নিচে লেখা থাকে ঐচ্ছিক ছুটির কথা।

;

ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত আসলামের পরিবার পেল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত আসলাম মিয়ার পরিবারকে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম নিহত আসলামের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের হাতে অটোরিকশার চাবি তুলে দেন।

উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের আয়োজনে ভিক্ষুক পুর্নবাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় এ অটোরিকশা বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজ সেবা অফিসের উপপরিচালক আব্দুল কাইয়ুম,উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মিজানুল ইসলাম আকন্দ, গফরগাঁও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বিপ্লব প্রমুখ।

উলেখ্য, গত ২০২৩ সালে ১৩ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তরা রেলে নাশকতার চেষ্টায় জয়দেবপুর-ময়মনসিংহের কেটে রাখা রেলপথে গাজীপুরের ভাওয়াল রেল স্টেশন এলাকায় ইঞ্জিনসহ ৭ বগি লাইনচ্যুত হয়ে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হন ট্রেন যাত্রী আসলাম মিয়া (৩০) নামের এক সবজি বিক্রেতা।
নিহত আসলাম গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের মৃত মোছলেম উদ্দিনের ছেলে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন,নিহত আসলাম মিয়া জীবিকার তাগিদে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন ট্রেনে যাতায়াত করতেন । গফরগাঁও এলাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মুরগী ও সবজি কিনে ঢাকায় বিক্রি করতেন। পরিবারটির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হঠাৎ করে হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন তিন সন্তানের জননী ফাতেমা খাতুন । ফাতেমা খাতুনের হাতে একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার চাবি তোলে দেওয়া হয়েছে তার উপার্জন দিয়ে পরিবার টি যেন চলতে পারে

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *