বগুড়ায় মেলায় যাত্রা-সার্কাসের আয়োজন নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পৌষ মেলায় যাত্রা ও সার্কাসের আসর বসানো নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে এক পক্ষের দুজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ধুনটের পুকুরিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে রবিন মিয়া (২০) ও ভুতবাড়ি গ্রামের কামাল মন্ডলের ছেলে তাওহীদ হোসেন (২১)। তাঁদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি তৌহিদুল আলমের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে বিএনপি ও জামায়াতের কিছু লোক মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে যাত্রা-সার্কাসের আসর বসানোর বিরোধিতা করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে আসা লোকজন মেলায় হামলা করেন। বাধা দিতে গেলে আয়োজকদের সঙ্গে জাহাঙ্গীরের সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থক রবিন ও তাওহীদ আহত হন।
জানতে চাইলে বিএনপির নেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রামকৃষ্ণপুর মাঠের ফসলি জমিতে মেলা আয়োজন নিয়ে জামায়াত-বিএনপি থেকে শুরু করে সর্বস্তরের এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। এলাকাবাসীর অনুরোধে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে যাত্রা-সার্কাস আয়োজনের আপত্তির কথা জানাতে গেলে মেলার লোকজন তাঁদের ডেকে নেন। এরপর পরিকল্পিতভাবে তাঁরা তাঁর লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এতে দুজন আহত হয়েছেন। পরে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মেলার নামে অশ্লীল যাত্রা ও সার্কাসের আয়োজন বন্ধ করতে তাঁরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল আলম বলেন, ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি মেলা আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে। সেখানে যাত্রা-সার্কাসের আয়োজনের কথাও উল্লেখ আছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সামান্য ঝামেলা হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেননি।