সারাদেশ

নড়াইলে নাশকতা মামলায় বিএনপির ১২ নেতাকর্মী কারাগারে

ডেস্ক রিপোর্ট: নড়াইলে নাশকতা মামলায় বিএনপির ১২ নেতাকর্মী কারাগারে

ছবি: বার্তা২৪.কম

হাইকোর্টের আগাম জামিনে থাকা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতাকর্মীকে মামলার অপরাধ বিবেচনায় জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জজ আলমাচ হোসেন মৃধা এ জামিন নামঞ্জুরের নির্দেশ দেন।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকালে নড়াইল আদালতে নতুন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

আসামিরা হলেন-নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাহিদুল ইসলাম পলাশ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহামুদুল হাসান সনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খন্দকার ফসিয়ার রহমান, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শিবাবুর রহমান শিহাব, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বাচ্চুসহ ১২ নেতাকর্মী।

নড়াইল জেলা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এমদাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের ৩১ অক্টোবর একটি নাশকতার মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৪২ দিনের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। জামিনের শেষ দিন ছিল ৩ এপ্রিল। এদিন নতুন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

ঈদ কেনাকাটা শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৫ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার কলোনিপাড়া মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন-কাউনিয়া উপজেলার পূর্ব চানপাড়া গ্রামের ফয়জুল রহমানের নাহিদ (২১) ও জুনু মিয়া (২৩)। তারা ঈদের বাজার শেষে অটোরিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানান, কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাস রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কের কলোনিপাড়া মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোতে থাকা নাহিদ মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় বাকি পাঁচজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মারা যান জুনু মিয়া। নাহিদের স্বজন আবু তোয়েব জানান, সন্ধ্যায় নাহিদ তার বন্ধুসহ ঈদের কেনাকাটা করতে রংপুরে এসেছিলেন। ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

মাহিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন কবির জানান, বাস ও ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলারের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে জুনু নামে আরেকজন মারা গেছেন। দুর্ঘটনাকবলিত বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। তবে ঘাতক বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

পটুয়াখালীতে ট্রাকের চাপায় রিকশা চালক নিহত; চালক-সহকারী আটক 

ছবি: বার্তা২৪.কম

পটুয়াখালী পৌর শহরে এক বেপরয়া ট্রাকের চাপায় মো. রাজ্জাক মৃধা নামে এক অটোরিক্সা চালকের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নিশ্চিত করেছে। এই ঘটনায় মৃত রাজ্জাক মৃধার স্ত্রী মোসা. হনুফা বেগম বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা করেছেন। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে পটুয়াখালী পৌর শহরের পুরাতন হাসপাতাল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শহরের নতুন বাজার এলাকার জামাল ট্রেডার্স রড আনলোড করে বেপরোয়া ভাবে দ্রুত গতিতে (বগুরা ট-১১-০৩৯২) একটি ট্রাক শহর থেকে বের হচ্ছিলো। পথে মধ্যে পুরাতন হাসপাতাল এলাকায় ট্রাকটি  রাস্তার পাশে থাকা অটোরিক্সায় ধাক্কা দেয়। এসময় অটোরিকশা চালক রাজ্জাক মৃধা ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে কোমড়ের হাড়ভাঙ্গা জখম ও অন্ডোকোষ ফাটিয়া যায়৷ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্য ঘোষণা করেন।  

মৃত রাজ্জাক মৃধা পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন এর হেতালিয়া বাধঘাট মৃধা বাড়ির মালেক মৃধার ছেলে। 

পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম বলেন, আমি পৌরসভার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য টহলরত ছিলাম। হঠাৎ বিকেল ৪টার দিকে আমার কাছে একটা ফোন আসে একটি ট্রাক পুরাতন হাসপাতালে অটোরিকশা চালককে চাপা দিয়ে চলে যাচ্ছে। আমি ট্রাকটিকে সার্কিট হাউজ মোরে বসে সিগনাল দেই, ট্রাকটি না থামিয়ে চলে যেতে চায়, পরে ট্রাকটিকে ধাওয়া করে ফোরলেন সড়কে গিয়ে আটক করা হয়। এসময় ট্রাকের ড্রাইভার মো. জাহিদ হোসেন (মামুন খান) ও হেলপার মো. মারুফ কে আটক করা হয়েছে। 

মরদেহ সুরাত হাল শেষে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আগামীকাল ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 

;

বরিশালে বোমা বিস্ফোরণে আতঙ্কিত গ্রামবাসী

ছবি: বার্তা২৪.কম

বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়ন আধুনা বেদগর্ভ গ্রামের কাওছার বালীর ছেলে পেশকার ইলিয়াস বালীর বাড়ী সংলগ্ন এলাকায় গভীর রাতে একাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে গোটা গ্রামবাসী।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার(৩ এপ্রিল) ভোর রাতে ইলিয়াস বালীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে ১টি বোমা দোকানের সামনে বিস্ফোরিত হয়। বাড়ির ভেতরে বোমা বিস্ফোরণের শব্দে পরিবারের লোকজনসহ এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

চন্নু বাবলী জানান, গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে ছিল তখন হঠাৎ বোমার বিকট শব্দে সবার ঘুম ভাঙে। এ সময় তারা বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। ৯৯৯ জরুরী সেবায় ফোন করলে দ্রুত পুলিশ উপস্থিত হয়। এদিকে বোমা বিস্ফোরণে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বরিশাল গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গতকাল রাতে আমরা জরুরী হেল্পলাইন নাম্বার ৯৯৯ এ কল পেয়ে বোমা বিস্ফোরণের ও হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুটে গেলে । কিছু আলামতের ককটেল বিস্ফোরণের কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনা কে বা করা ঘটিয়েছে তাদেরকে কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

;

বিয়ের নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ, ৪ যুবককে যাবজ্জীবন

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিয়ের নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে চার যুকবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন। দণ্ডিত চারজন হলেন-  নুরুল কবির (৩৩), মো. শহীদ (৩২), মো. শরীফ (৩২) ও মো. বাপ্পী (৩৪)। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভোক্তভুগী নারীর বাড়ি মিরসরাই উপজেলায়। তার প্রথম স্বামী মারা যায়। এরপর ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি নুরুল কবির আত্মীয় পরিচয় দেয়া আরও তিনজনসহ তাদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ইসলামী শরিয়তমতে তাকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে নুরুল কবির ওই বাড়িতেই স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। বিয়ের এক সপ্তাহ পরও স্ত্রীকে নিজের ঘরে তুলে না নিয়ে নুরুল কবির তাকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাবার জন্য চাপ প্রয়োগ শুরু করেন। এতে তার স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। স্ত্রীকে বাড়িতে তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করায় ৩০ জানুয়ারি নুরুল কবির ঘর থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন লোকজন তাকে ধরে ফেলে। এরপর তারা যাচাই করে দেখেন, বিয়ের সময় জমা দেয়া নুরুল কবিরের জন্ম নিবন্ধন সনদের অনুলিপিটি ভুয়া।

বিয়ের নামে প্রতারণা করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের অভিযোগে ওই নারী মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিয়ের সাক্ষী তার আত্মীয় পরিচয় দেয়া তিনজনকেও আসামি করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, মামলার তদন্ত শেষে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ২০১৪ সালের ২১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলায় আটজনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি শরীফ ও শহীদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নুরুল কবির ও বাপ্পী জামিনে গিয়ে পলাতক আছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *