সারাদেশ

দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারত ও চীন যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে এশিয়ার দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তি ভারত ও চীন সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই দেশ দুটির সঙ্গে আরো বড় পরিসরে যুক্ত হতে এ সফরের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ-ইউএনবি।

ইউএনবির খবরে বলা হয়, আগামী তিন মাসের মধ্যে ভারত ও চীন সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে ইউএনবি জানায়, প্রতিবেশী দেশ ভারতে জুনের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন শেষে নতুন সরকার গঠনের পর প্রথমে ভারত যাবেন দ্বিপক্ষীয় সফর হিসেবে।

ভারতে ৫ বছরের জন্য সরকার নির্বাচনের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক নির্বাচন ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুনের মধ্যে ৭ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এবং ভোট গণনা করা হবে ৪ জুন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জোট পার্লামেন্টের নির্বাচনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আসনে জয়লাভ করতে পারে বলে এক জরিপে উঠে এসেছে।

এবিষয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ৭৩ বছর বয়েসি মোদি ২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন এবং ফের নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) ভারত সফর অবশ্যই হবে। তবে তা হবে ভারতের নির্বাচনের পর। তিনি বলেন, সফরটি ঠিক কবে হবে, তা নিয়ে সরকারি পর্যায়ে এখনো আলোচনা হয়নি।

জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

৮ জানুয়ারি পাঠানো অভিনন্দনপত্রে নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে তার দেশকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের অপরিবর্তনীয় অংশীদারত্বের সব ক্ষেত্রে গভীরতর হতে থাকবে।

তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও প্রবৃদ্ধিতে সমর্থন অব্যাহত রাখবে ভারত।

ওই বার্তায় বাংলাদেশের জনগণের অব্যাহত অগ্রগতি, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এদিকে, একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, পুনর্নির্বাচিত হলে মোদি তার শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দক্ষিণ এশিয়া ও বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন।

বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে চীনা কোম্পানিগুলোর বৃহত্তর বিনিয়োগ এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জনগণ থেকে জনগণে যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়নের সম্ভাবনা তুলে ধরেন। পাশাপাশি জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফর এই বিষয়গুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় রাষ্ট্রদূত ইয়াও জনগণ থেকে জনগণে আদানপ্রদান জোরদারে এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততাকে সহায়তার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

চীনের একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, এই সহায়তার লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়ন এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ অর্জনের অভিযাত্রাকে ত্বরান্বিত করা।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *