সারাদেশ

বিএনপি যে আগুন লাগাবে সে আগুনে তাদের পুড়তে হবে:নানক

ডেস্ক রিপোর্ট: ওরা (বিএনপি) গাড়িতে আগুন দিলে সে আগুনে ওদের পুড়তে হবে। ওদের ধরে গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পৌছে দিবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর গুলিস্তানে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।

নানক বলেন, ৭৫ এর ৭ নভেম্বর এ সিপাহী বিপ্লবের নামে রক্তের হলিখেলা হয়েছিলো। ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে প্রতিনিয়তই মুক্তিযুদ্ধা সামরিক সদস্যদের হত্যা করেছে। ১৫০০ সামরিক সদস্যকে এক রাতে নির্মম ভাবে হত্যা করে। বিমান বাহিনীর সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। হত্যার পর মাত্র ৫৭ জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জীবিত ছিল। তার ক্ষমতা কে মুষ্ঠিবদ্ধ করার জন্য, প্রধান সামরিক কর্মকর্তা, চিফ অফ স্টাফ ও সর্বশেষ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে রক্তপিপাসু জানিয়ে নানক বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তার হাত ধরেই ক্ষমতায় এসেছিলো। পরে তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে রক্তের হলি খেলেছিলো বাংলাদেশে। একুশ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছে। ২১ আগস্ট চূড়ান্ত আঘাত করেছিলো। যে গ্রেনেড রণাঙ্গনে ব্যবহার হয় সেই গ্রেনেডের মাধ্যমে হত্যা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলো। হত্যা যখন নিশ্চিত হয়নি, গাড়ি যখন বেড়িয়ে যাচ্ছিলো তার গাড়ির উপর গুলি চালিয়েছিলো।

তিনি বলেন, যখন এই দেশ উন্নয়নের সর্ব শিখরে পৌছে গেছে দন্ডিত তারেক রহমান এই দেশকে শান্তিতে থাকতে দিবে না। যে দেশে সে আসতে পারে না সে দেশকে সে শান্তিতে থাকবে দিবে না। তাই সে নির্দেশ দিয়ে রক্তের হলি খেলা শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ভোট ও ভাতের অধিকার নিরবিচ্ছিন্ন লড়াই করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিএনপি গত দেড় বছর ধরে ধাপে ধাপে আন্দোলন করে ২৮ অক্টোবর সর্বশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। তারা নাকি ৭ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করে ক্ষমতায় যাবে। আপনারা জানেন,আওয়ামী লীগ এই দিনটিকে সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। কিন্তু তারা এই দিনটিকে হাসিঠাট্টার দিন হিসেবে পালন করে আসছিলো কিন্তু তারা আজ কোথায়? তারা আজ একটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েও দিবসটি পালন করতে পারেনি। বিএনপির নাকি এক কোটি কর্মী আছে, সবাই এখন গর্তে ঢুকে গেছে। যারা খুনি, দেশবিরোধী তাদের অবস্থা কিন্তু এমনই হয়।

এছাড়াও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপূ মনি বলেন, বিএনপি জয় বাংলা নিষিদ্ধ করেছিলো, বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ করেছিলো, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলো এবং এই বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা তা রুখে দিয়েছেন। আজ তারা পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা ডিজিটাল, উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। তিনি সমৃদ্ধ, সুখী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আসুন নৌকার বিজয়কে সুনিশ্চিত করার জন্য আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকি।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *