সারাদেশ

গণতন্ত্র নিয়ে বিএনপির কথায় ইতিহাস বিদ্রুপের হাসি হাসে: কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: গণতন্ত্র নিয়ে বিএনপির কথায় ইতিহাস বিদ্রুপের হাসি হাসে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মানবসভ্যতার ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের পর খুনি জিয়াউর রহমানের হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি যখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলে, ইতিহাস তখন বিদ্রুপের হাসি হাসে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচার ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাংলাদেশ স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাতে মানবসভ্যতার ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়েছিল। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করা হয়েছিল। একইভাবে হন্তারকের দল ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। সেদিন ঘাতকচক্র অসহায় নারী, শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। সেদিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? কোথায় ছিল মানবাধিকার? ১৯৭৫-এর নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের পর খুনি জিয়ার হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, ইতিহাস তখন বিদ্রুপের হাসি হাসে।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ইতিহাসের নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে অসাংবিধানিক পন্থায় বন্দুকের নলের মুখে জাতিকে জিম্মি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল। বিচারপতি সায়েমকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে সরিয়ে দিয়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি পদ দখল করেছিল। ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ-না ভোটের প্রহসনের নির্বাচনের নামে দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। জিয়ার তথাকথিত গণতন্ত্র ছিল কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র! লাগাতার সামরিক শাসন বলবৎ রেখে জনগণের উপর দুঃশাসনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছিল। ১৯৭৮ সালের ৩ জুন একই সাথে সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করে গণতন্ত্রকামী জনগণের সঙ্গে নির্মম তামাশা করেছিল স্বৈরাচার জিয়া; অবৈধভাবে একই সঙ্গে সেনাপ্রধান, প্রধান সামরিক আইন কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছিল। স্বৈরাচার জিয়া পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে নির্বাসিত করেছিল। স্বৈরাচার জিয়ার হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ধারণ করে চলেছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বৈরাচার জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। জাতিকে মিরপুর ও মাগুরা মার্কা উপ-নির্বাচন উপহার দিয়েছিল বিএনপি! নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতাদখলের পাঁয়তারায় আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে তখন বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের ভয়াবহ নজির স্থাপন করা হয়েছিল। ২০০১ পরবর্তী সময়কালে বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। স্বৈরাচারের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি সুপরিকল্পিতভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপিই এ দেশে গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নের প্রধান প্রতিবন্ধক। বিএনপি নেতৃবৃন্দের উচিত ছিল তাদের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা। অথচ তারা সেটা না করে বরাবরের ন্যায় দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা আজ যখন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে তখন বুঝতে হবে, তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য তাদের মায়াকান্না ছাড়া আর কিছু নয়। গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই। গণতন্ত্রের জন্য তাদের এই আহাজারি মূলত একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের অধিপতি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের বরপুত্র তারেক রহমানের দুঃশাসনের যুগে দেশকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। এদেশের গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজ এই অন্ধকারের অপশক্তির বিরুদ্ধে আজ ঐক্যবদ্ধ।

জার্মান ও সুইস রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মঈন খানের ইফতার

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানি রাষ্ট্রদূত আসিম টর্স্টার ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলির সঙ্গে ইফতার ও নৈশভোজ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

রবিবার (৭ এপ্রিল) তার গুলশানের বাসায় এ আয়োজন করা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চীনের উপ-রাষ্ট্রদূত ইয়ান হুয়ালঙ্গ ও দ্বিতীয় সচিব ঝু ঝিকিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

তবে ইফতার ও নৈশভোজের অনুষ্ঠানে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানানো হয়নি।

;

পাকিস্তানিদের চেয়েও কর্তৃত্ববাদী শাসক আওয়ামী লীগ: গয়েশ্বর

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক বৈষম্যের কারণে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর পর আমরা দেখতে পাচ্ছি পাকিস্তানিদের চেয়েও ভয়ানক কর্তৃত্ববাদী শাসক এই আওয়ামী লীগ। এরা ক্ষমতার স্বার্থে দেশ বিক্রি করে দিতে পারে।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আজকে ব্যাংকে টাকা নেই। এই টাকা তো ইঁদুর খায়নি। কে খেল? প্রধানমন্ত্রী একটি নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছেন।

রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়া মঞ্চ আয়োজিত এক গণইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, চলমান আন্দোলন ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন। এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান। আন্দোলন এরই মধ্যে অনেকাংশে সফল হয়েছে।

তিনি বলেন, জনগণ একতরফা ভোট বর্জন করে সরকারকে ‘না’ বলে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলও বাংলাদেশকে একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। চলমান আন্দোলনের মুষল বৃষ্টিতে ভেসে যাবে এই অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজউল্লাহ ইকবালের সভাপতিত্বে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জিয়া মঞ্চের সিনিয়র সভাপতি আবু তালেব, সহ-সভাপতি নোটারী নাজমুল হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আব্দুল হামিদ মামুন, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর ইসলাম সায়েম ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান মাসুদ প্রমুখ।

;

পাহাড় সামলাতে সরকার ব্যর্থ: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

পাহাড় সামলাতে সরকার ব্যর্থ বলে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের বলেছেন, সরকারি বাহিনীর সব ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে। কিন্তু কাজের ব্যাপারে জবাবদিহিতা নেই। যে যার ইচ্ছে মতো কাজ করছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের হামলা নতুন কিছু নয়। এর আগেও হয়েছে, সেটি আবার সমাধানও হয়েছে। কিন্তু এবারের ঘটনা একেবারেই আলাদা। ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ ও খুনসহ বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এতে সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে। এর দায় সরকারকে নিতে হবে।

দেশে গণতন্ত্র না থাকায় সাধারণ মানুষের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় গণতন্ত্র ভেঙেছে। মানুষ তার অধিকার হারিয়েছে। জাতীয় পার্টি চেষ্টা করছে অধিকার নিয়ে কথা বলার। কিন্তু সরকার ভেতর থেকে কলকাঠি নেড়ে দলকে দু’ভাগ করার চেষ্টা করছে। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ তৈরির অপচেষ্টা চলছে। জাতীয় পার্টিকে ধরে রাখতে দলীয় নেতাকর্মীদেরও শক্ত অবস্থান তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি।

এসময় রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলাউদ্দিন মিয়া, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীরসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

অন্য দেশের অস্ত্রধারী সংগঠন দেশে হামলা করছে: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

ডামি নির্বাচনের সরকার দেশকে একটি দুর্বল রাষ্ট্রে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্য দেশের বিভিন্ন সন্ত্রাসীরা ঢুকে ব্যাংক লুট করছে, হামলা করছে। দেশে স্বাধীনতা আছে কিনা, বলতে পারি না। সার্বভৌমত্ব রয়েছে কিনা, জানি না।

রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর উত্তরায় নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, একটি দেশ বারবার আমাদের সীমান্তে আক্রমণ করছে। প্রায় প্রতিদিন গুলি করে মানুষ হত্যা করছে। কিন্তু সরকার এর প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারছে না। ন্যায্য পানির অধিকারও এই সরকার আদায় করতে পারেনি। সরকার কোনো নিরাপত্তা দিতে পারছে না। এভাবে দেশ চলতে পারে না।

তিনি বলেন, কুষ্টিয়াসহ সারা দেশে মনে হচ্ছে ডকাতদের রাজত্ব চলছে। মনে হচ্ছে এখানে কোনো ভদ্রলোক বাস করছে না। মনে হচ্ছে অর্থসহ সবকিছুর মালিক এ ডাকাতরা। সরকার কোনো নিরাপত্তা দিতে পারছে না। সরকার নিজেই দস্যুদের মতো আচরণ করছে।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমনিুল হক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কফিল উদ্দিন আহেমদ, আব্দুর রাজ্জাক, আতাউর রহমান প্রমুখ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *