খেলার খবর

‘বিএনপির আমলে অনিয়মের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলোয়াড় কোটা বন্ধ ছিল’

ডেস্ক রিপোর্ট: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিএনপি সরকারের আমলে খেলোয়াড় কোটায় ভর্তিতে অনিয়মের কারণে আন্দোলন হয়েছিলো, তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খেলোয়াড় কোটায় ভর্তি বন্ধ হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী আবার খেলোয়াড় কোটায় ভর্তির বিষয়ে নির্দেশ দেন। এ বছর থেকে আবার ভর্তি চালু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনের শেখ কামাল মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষাবৃত্তি ২০২৩ ও চিকিৎসা সহায়তা চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন কারিকুলামে খেলাধুলাকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটায়। ক্রীড়া ক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের ক্রীড়ায় উৎসাহিত করার জন্য বৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার ৬ দিন আগে এই ফাউন্ডেশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবার ক্রীড়াপ্রেমী। বাল্যকালে বঙ্গবন্ধুর নিজের ফুটবল দল ছিল, ওনার বাবারও ছিলো। শেখ কামালও ছিলেন একজন ক্রীড়া সংগঠন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বাংলাদেশের ক্রীড়ার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে এই কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। ১৫ আগস্ট মৃত্যুর পর এই ফাউন্ডেশন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর শেখ হাসিনা আবার এটি চালু করেন। আজকে যারা বৃত্তি পাবে তাদের জন্য এটি একটি বিশেষ দিন।

তিনি আরও বলেন, জাতীর পিতা নিজেই একজন ফুটবল প্লেয়ার ছিলেন। তিনি ৮ বছর ফুটবল ক্লাবে খেলেছিলেন। শিক্ষা মানুষকে আত্মীক করে তুলে, আর আত্মীক গুনাবলী বিকাশে ক্রীড়া ভূমিকা রাখে। আজকে যেই বৃত্তি দেয়া হচ্ছে তার লক্ষ্যই হলো শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা, নেতৃত্ব দেয়ার উপযোগী করে গড়ে তোলা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ৫ম শ্রেণি হতে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসিক এক হাজার টাকা হারে বাৎসরিক বারো হাজার টাকা এবং একাদশ শ্রেণি হতে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাসিক দুই হাজার টাকা হারে বাৎসরিক চব্বিশ হাজার টাকা করে ১ হাজার জন ক্রীড়া শিক্ষার্থীদের মাঝে সর্বমোট এক কোটি তিরাশি লাখ ছিয়ানব্বই হাজার টাকা বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, এই সরকারের আমলে আমরা ২০১৯ সাল থেকে এই বৃত্তি দেয়া শুরু করেছি। বঙ্গবন্ধু যখন এই ফাউন্ডেশন গঠন করেন তখন ৭ লাখ টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন। ২০১১ সালের আইন পাসের মাধ্যমে এই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় আমাদের অভিভাবকরা লেখাপড়াকে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে সন্তান খেলাধুলা করতে দেন না। আমি আশাকরি আমাদের অভিভাবকরা উদ্বুদ্ধ হবে, খেলাধুলা করলেও যে বৃত্তি পাওয়া যায় সেটি করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উপজেলা পর্যায়ে ১২৫টি স্টেডিয়াম স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। আরও ১৮৬টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলছে। নতুন করে আরও ১২৬টি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সচিব কৃষ্ণেন্দু সাহা, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিস্টার কল্পনা কস্তা। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ ড. কামালউদ্দীন আহমদ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *