সারাদেশ

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশেবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি

ডেস্ক রিপোর্ট: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশেবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী সকল বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এই শুভেচ্ছা জানান।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর।’

ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ-এ প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, ঈদের এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে, সারা বাংলায়, সারা বিশ্বে। এ দিন সকলশ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, কূপমন্ডূকতার কোনো স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য ও পারস্পরিক সহাবস্থান এবং পরমতসহিষ্ণুতাসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী নানাবিধ সংকটের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও এ মন্দার প্রভাব দৃশ্যমান। ফলে সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠী স্বাভাবিক জীবনধারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এমতাবস্থায়, আমি সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিবর্গের প্রতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই ঈদের আনন্দ সমানভাবে উপভোগ করতে পারে।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মানবতার মুক্তির দিশারি হিসেবে ইসলামের মর্মার্থ ও শাশ্বত বাণী ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র, বিশ্ব ভরে উঠুক শান্তি আর সৌহার্দ্যে-পবিত্র ঈদুল ফিতরে এমন প্রত্যাশা করেন।

নরসিংদীতে মাইক্রোবাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ৪

ছবি: সংগৃহীত

মাইক্রোবাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নরসিংদীর মাধবদীতে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৮ জনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলায় মাধবদীর টাটাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঈদ করতে ঢাকা থেকে একটি যাত্রীবোঝাই মাইক্রোবাস ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছিল। মাইক্রোবাসটি নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী টাটাপাড়া এলাকার পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ-এর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন চারজন।

নরসিংদী সদর থানার ওসি মো. তানভীর আহমেদ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় চারজন মারা গেছে। আহত হয়েছে ১০ জন। নিহতদের মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

;

মাঝরাতেও নাড়ির টানে ফেনী আসছেন ঘরমুখো মানুষ

ছবি: বার্তা ২৪.কম

রাত পোহালেই ঈদুল ফিতর। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মধ্য রাতেও ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে। সড়কে নেই যানজট। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন সাধারণ মানুষজন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

ঢাকা থেকে আসা একাধিক যাত্রী বলেন, ঢাকা থেকে বের হওয়ার সময় কিছু অংশে যানজট থাকলেও ফেনী অব্দি মহাসড়ক ফাঁকা ছিল। এজন্য স্বস্তির সঙ্গে বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি তারা।

রেজাউল করিম নামে এক যাত্রী বলেন, সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকা থেকে ফেনী এসেছি। যানজট নিয়ে শুরুতে অনেকটা চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু আসতে তেমন কোন সমস্যা হয়নি।

সায়েম উল্ল্যাহ নামে আরেক যাত্রী বলেন, সড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও যানজট ছিল না। সুন্দরভাবে বাড়িতে আসতে পেরেছি এজন্য অনেক ভালো লাগছে। এ অনুভূতি অন্যরকম।

নবী নামে ঢাকা রুটে চলাচলরত স্টারলাইন পরিবহনের এক চালক বলেন, ঈদের এ সময়ে স্বাভাবিক ভাবেই সড়কে চাপ বেশি থাকে। তবে সড়কের কোথাও তেমন সমস্যা না থাকায় নির্বিঘ্নে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি।

একাধিক বাস চালক জানান, মহাসড়কের ফেনীর ২৬ কিলোমিটার সড়কে মহিপালে ছয়লেনের ফ্লাইওভারের কারণে যানজট অনেকটাই কমেছে। এ ফ্লাইওভার দিয়ে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো দ্রুত চলাচল করছে। ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে আঞ্চলিক গাড়িগুলো জেলা পর্যায়ে চলাচল করছে। এতে আগের মতো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না যাত্রীদের।

স্টার লাইন গ্রুপের পরিচালক মাঈন উদ্দিন বলেন, এবারের ঈদযাত্রা অনেকটাই নির্বিঘ্ন। মানুষ স্বস্তির সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি আসতে পারছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাগবে অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছে বাসগুলো, যাতে ঘরমুখো মানুষ গুলো ফেনী ফিরতে পারে। যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি।

ফেনী হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, মানুষের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফেরা নিশ্চিতে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জরুরি সেবা নিশ্চিতে তিনটি রেকার, দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এজন্য একটি কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত রয়েছে। পাঁচ সদস্যের দুটি মোবাইল টিম ২৪ ঘণ্টা মহাসড়কে কাজ করছে। এ ছাড়া দুটি মেকানিক টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়লেও সড়কে যানজট নেই।

;

ঈদের দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া

ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরের দিন সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন দেশে বৃষ্টির কোনো আভাস নেই। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

বুধবার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, বৃহস্পতিবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

পাবনা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, কক্সবাজার, বান্দরবান ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকার আভাস দেন তিনি।

তবে ঈদের পর দিন শুক্রবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাঙামাটিতে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

;

রাজধানী ছেড়েছেন ৫৭ লাখ সিমধারী  

ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে গত ৬-৯ এপ্রিল চারদিনে ৫৭ লাখ সিমধারী রাজধানী ছেড়েছেন। আর এ সময়ে ঢাকায় ঢুকেছেন ২৩ লাখের মতো সিমধারী। তবে গত বছর ঈদুল ফিতরে এক কোটির বেশি সিমধারী ঢাকা ছেড়েছিলেন।

অপারেটরদের তথ্যমতে চার দিনের মধ্যে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ১৯ লাখের মতো সিমধারী ঢাকা ছেড়েছেন। আর প্রবেশ করেন সাড়ে ৪ লাখের বেশি মানুষ।

এছাড়া ৬ ও ৭ এপ্রিল ঢাকা ছেড়েছিলেন ২০ লাখের বেশি মুঠোফোন সিমধারী। এ সময় ঢাকায় প্রবেশ করেছেন সাড়ে ৯ লাখের মতো। ৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে বের হওয়া ও ঢাকায় প্রবেশ করা সিমধারীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৭ লাখের বেশি ও ৫ লাখের মতো।

তবে সিমধারী একজন ব্যক্তির সঙ্গে পরিবারের আরও সদস্য থাকেন, যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। এর ফলে ঢাকা থেকে কত মানুষ গেলো বা এলো তার প্রকৃত হিসাব বের করা কঠিন।

তথ্য বলছে, গত বছর ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন উপলক্ষে (১৮-২২ এপ্রিল) এক কোটির বেশি সিমধারী ঢাকা ছেড়েছিলেন। সে হিসেবে এবার প্রায় অর্ধেকের মতো মানুষ ঈদের আগে ঢাকা ছেড়েছেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *