সারাদেশ

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেফতার ২

ডেস্ক রিপোর্ট: ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেফতার ২

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেফতার ২

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ। এ সময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) রাতে নগরের বহদ্দারহাট থেকে একজন ও বালুচড়া এলাকা থেকে অপরজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন ফারুক হোসেন প্রকাশ মো. নাহিদ (২০) ও মো. ফজলুল প্রকাশ ফজলুল ড্রাইভার (২৭)। তাদের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, সাইফুল ইসলাম নামে একজনের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই হয় গত বছরের ২০ নভেম্বর। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলার তদন্ত করতে সন্ধান মেলে এ ছিনতাইকারী চক্রের।

তিনি আরও বলেন, ছিনাতাইকারী চক্রের একজন যাত্রী সেজে রিকশায় উঠে। অন্যদিকে মাইক্রোবাস নিয়ে রাস্তায় ডিবি পুলিশ সেজে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকে চক্রের বাকি সদস্যরা। পথেই অটোরিকশা আটকে যাত্রীবেশে থাকা সদস্যকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। সাক্ষী হিসেবে চালককেও গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। এরপর অন্য এক সদস্যকে অটোরিকশা চালিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়। পরে ওই চালককে বিভিন্ন সড়কে ঘুরিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে নির্জন রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চক্রটি দ্রুত সটকে পড়ে।

এ ছিনতাইকারী চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ওসি।

ইনসেপটা ফার্মায় নাইট্রিক এসিড লিকেজ, নিয়ন্ত্রণে পাঁচ ইউনিট

ইনসেপটা ফার্মায় নাইট্রিক এসিড লিকেজ, নিয়ন্ত্রণে পাঁচ ইউনিট

ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানায় এসিড লিকেজের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের একটি ক্যামিকেল টেন্ডার ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিট কাজ করে। এতে ছড়িয়ে পড়া ধোঁয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকায় ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ উৎপাদন কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাতের দিকে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি ভবনে নাইট্রিক এসিডের ড্রাম পড়ে গিয়ে সেটি থেকে ব্যাপক ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়।

ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল রানা বলেন, রাতের দিকে খবর পেয়ে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানায় আসি। নাইট্রিক এসিড যেখানে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে সেটি পড়ে যায়। আমরা পানি দেইনি, যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। আগুন লাগেনি। তবে কেমিক্যালের বিষয় ছিল। ধামরাই থেকে তিনটি ইউনিট, মানিকগঞ্জের এক ইউনিট ও ইপিজেড থেকে কেমিক্যাল টেন্ডার ইউনিটসহ মোট পাঁচ ইউনিট সেখানে আসে।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। ফায়ার সার্ভিসও সেখানে গিয়েছে। কাজ চলছে। আমাদের কর্মকর্তা জানালে বিস্তারিত বলা যাবে।

ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মকর্তা ফাইজুর রশিদ বলেন, আমাদের এখানে জার্মানি ও বাংলাদেশের জয়েন্ট ভেঞ্চারে সুইচ বায়ো ফেক্টারি আছে। এখানে যে জিনিস বানানো হয়, সেখানে একটি এসিডের ড্রাম খুলে পড়ে ধোঁয়া হয়। ধামরাই থানা পুলিশ এসেছে। ফায়ার সার্ভিস এসে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনে।

;

বান্দরবানে আরও ৩ কেএনএফ সদস্য আটক

ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফ সন্দেহে আটক আরও ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, ২ নং রুমা সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইডেন পাড়া এলাকার লাল চেও বমের মেয়ে লাল রিন ত্লোয়াং বম (২০), ঙুনদাং বমের ছেলে ভান নুয়াম থাং বম (৩৭), লাল মুয়ান বমের ছেলে ভান লাল থাং বম (৪৫)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বান্দরবান চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের আনা হয়। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মোহাম্মদ নাজমুল হোছেন শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ পর্যন্ত মোট ৫৭ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ীর চালকসহ মোট ৫৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কোট পুলিশ পরিদর্শক একে ফজলু হক বলেন, আদালতের নির্দেশে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

নীলফামারীতে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী ও শাশুড়ী গ্রেফতার

ছবি: বার্তা২৪.কম

নীলফামারীর সদরে পরোকিয়ার জেরে লেবু মিয়া (২২) নামে এক স্বামীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ( ১১ এপ্রিল) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। এর আগে বুধবার নীলফামারী বাজারের শাহপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লেবু মিয়া ওই গ্রামের শাহাবুদ্দিন আলীর ছেলে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নিহতের স্ত্রী খোকশাবাড়ী এলাকার মিন্টু মিয়ার মেয়ে সাথী আক্তার (২০) ও নিহতের শাশুড়ী ওই গ্রামের মিন্টু মিয়ার স্ত্রী ছাবিনা বেগম ( ৪৪)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত লেবু মিয়া নোয়াখালীতে চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ীতে আসেন। পরে তার স্ত্রীসহ শশুড় বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে এসে তারা নীলফামারী শহরে ঈদের কেনাকাটা করে বাড়িতে এসে রাতে স্ত্রীসহ তার শয়ন কক্ষে ঘুমাতে যায়। পরেরদিন সকালে লেবু মিয়ার মা তার বউকে বাড়িতে রেখে বাইরে যায়। এসময় লেবু মিয়ার বাবাকে কল করে তার অসুস্থার কথা জানায় তার শাশুড়ী। পরে তিনি বাড়িতে এসে দেখেন তার ছেলে বিছানায় চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছেন এবং গলায় কালো দাগ ৷ তখন তিনি বাইরে এসে চিৎকার করে কান্নাকাটি করলে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন লেবু মিয়া মারা গেছেন। পরে লেবু মিয়ার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার স্ত্রী ও শাশুড়ীকে গ্রেফতার করেন।

এবিষয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, স্বামীর সাথে অন্য মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক এবং স্বামী নোয়াখালী, কুমিল্লা এলাকায় কাজে যেতো এতে করে সাথীর সঙ্গে প্রায় সময় মোবাইলে ঝগড়া হত। নিজেদের মধ্যে মোবাইল উত্তপ্ত কথা বার্তা থেকেই ঠান্ডা মাথায় সাথী তার স্বামীকে হত্যা করেছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। লেবু মিয়ার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্ত্রী ও শাশুড়ীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

;

নওগাঁর মান্দায় বাংলা মদ খেয়ে তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর মান্দায় বাংলা মদ খেয়ে তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার পাকুরিয়া গ্ৰামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্ৰামের আলী নেকবর আলীর ছেলে নিশাত (১৭), ভারশোঁ ইউনিয়নের পাকুরিয়া গ্ৰামের আক্কাসের ছেলে শারিকুল ইসলাম পিন্টু (১৮) এবং একই গ্ৰামের আব্দুর রশিদের ছেলে আশিক (১৮)। তারা সবাই মান্দার উত্তরা কলেজের একাদশ শ্রেনির ছাত্র বলে জানা যায়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী জানান- বিকেলে পাকুরিয়া গ্রামে বন্ধুরা মিলে বাংলা মদ পান করেন। এদের মধ্যে ওই তিন জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর নিশাত ও শারিকুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত তাদের মৃত ঘোষণা করে। আর আশিক ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

ওসি আরো বলেন- প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত বাংলা মদ প্রাণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *