পূজার সাজে খেয়াল রাখবেন যে বিষয়গুলো
ডেস্ক রিপোর্ট: পূজার সাজে খেয়াল রাখবেন যে বিষয়গুলো
ছবি: সংগৃহীত
হিন্দুধর্মাম্বালীর সবচেয়ে বড় উৎসব হলো দূর্গা পূজা। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গোৎসব পালিত হয়। পূজার শেষ তিনদিন বেশি আনন্দ উৎসবে মেতে উঠে মানুষ। ঢাক ঢোলের বাজনায় চারদিক মেতে ওঠে, ভক্তদের উল্লসিত হাসির সঙ্গে ধূপের সুবাস মিশে যায়।
এদিকে পূজায় আনন্দ করা, ঘুরতে যাওয়ার পাশাপাশি কোনদিন কেমন পোশাক পরবেন, কীভাবে সাজবেন তা নিয়ে নিশ্চয়ই জল্পনাকল্পনার শেষ নেই।
অনেকেই অবশ্য আগেই ঠিক করে রাখেন পূজার সাজ। আবার কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন পূজার সাজের ট্রায়াল ভিডিও। সেলিব্রের্টি ও তারকাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সেজে থাকেন অনেকে। তবে সবাই চান দূর্গাপূজাতে তাকেই যেনো সাজে ভিন্ন ও সেরা দেখায় ।
আরামপ্রদ পোশাক নির্বাচন
প্যান্ডেল ঘুরে ঠাকুর দেখা এ পূজার সবচেয়ে আনন্দময় সময়। পূজা মণ্ডপে অনেক ভিড় হয়। তাই নিবার্চন করুণ আপনি কেমন পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। যদি শাড়ি পরতে চান তবে জামদানি, কাতান ও বেনারসি শাড়ি রাখতেই পারেন। এটি ঐতিহ্যবাহী এবং সমসাময়িক ফ্যাশানের মিশ্রণ, পাশাপাশি দূর্গাপূজার সারমর্ম ফুটে উঠবে। তাছাড়া কূর্তির বা আনারকলি মধ্যেও খুঁজে নিতে পারেন আপনার সাজ। এটি আরামদায়ক হওয়ার পাশাপাশি সুন্দর দেখাবে।
পূজার সাজের আগে মেকআপের প্রস্তুতি
অনেকেই কম বেশি মেকআপ করে থাকেন। তবে মেকআপ করার আগে সানস্কিন ক্রিম দিতে ভুলবেন না। অনেক সময় দেখা যায়, মেকআপ করার পরে মুখ ঘামতে থাকে। তাই মেকআপ করার আগে বরফ বা ঠান্ডা পানি দিয়ে কিছুক্ষণ মুখ ধুয়ে তারপরে মেকআপ করুণ। যারা হালকা মেকআপ করেন তারা ময়েশ্চরাইজারের সাথে একটু ফাউন্ডেশন মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
সাজের সাথে মিল রেখে যে অলংকার
শাড়ি বা কুর্তির সাথে মিল রেখে পরতে পারেন আপনার পছন্দ মতো অলংকার । তবে খেয়াল রাখবেন খুব বেশি ভারী কিছু না পরার। এমন কিছু রাখুন যেটি খুব ভারী না, আবার আপনার সাজের সাথে মানানসই।
পূজার পরিপূর্ণতায় জুতা
পূজায় স্বাচ্ছন্দ্যভাবে ঘুরতে পোশাকের মতোই জুতার ব্যাপারে ভাবুন। একটি পরিপাটি লুক সম্পূর্ণ হয় জুতার মাধ্যমে । আবার দেখা যায়, কিছু জুতা থেকে পায়ে ফোসকা পড়ার সম্ভবনা থাকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। নতুন জুতা পরার আগে পায়ে বডিলোশন ব্যবহার করে নিন। এতে ফোসকা পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
এছাড়াও পায়ে আলতা পরতে পারেন । পূজা ও শাড়ির সাথে এটি বেশ মানাবে আপনাকে।
ঢ্যাঁড়শের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
ঢ্যাঁড়শের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি ঢ্যাঁড়শ। অনেকের কাছেই এটি ভেন্ডি হিসাবে পরিচিত। এতে আছে ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফলিক অ্যাসিডসহ আরও নানা পুষ্টি উপাদান। নিয়মিত ঢ্যাঁড়স খেলে তা আমাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় নানাভাবে সাহায্য করে।
ঢ্যাঁড়সে থাকা ফাইবার, ভিটামিন বি৬ এবং ফোলেটের মতো উপাদান স্নায়ুর নানা সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এসব উপাদান হোমোসিস্টেইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই উপাদানগুলো রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যাবে:
১। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে: চোখ ভালো রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন-এ। ঢ্যাঁড়শে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন-এ রয়েছে। চোখে বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন রোধ করতে আমাদের নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খাওয়া প্রয়োজন।
২। হাড় মজবুত করে: হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় দু’টি উপাদান ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আছে ঢ্যাঁড়শে। এসব উপাদান হাড়ের রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ফাইবার। ঢ্যাঁড়শে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। নিয়মিত এই সবজি খেলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে।
৪। হজমে সহায়ক: অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পুষ্টিবিদেরা নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খাওয়ার পরামর্শ দেন।
৫। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: ফাইবারের পাশাপাশি ঢ্যাঁড়শে পলিফেলনের মতো উপাদান রয়েছে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৬। ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি: ঢ্যাঁড়শে ভিটামিন-এ এবং সি। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার পাশাপাশি বয়সজনিত লক্ষণগুলিও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
;
একটি ফল খেলেই পাবেন সাতটি উপকার
ছবি: সংগৃহীত
ফল হিসেবে কিউই অনেকটা অপরিচিত। দেখতেও ছোট্ট একধরনের ফল। তবে গুণাগুণ অনেক। একটি কিউই ফল আমাদের শরীরের সাতটি প্রয়োজন মেটায়। এটা অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে কিউই ভালো জন্মায়। কম তাপমাত্রায় উৎপাদন ভালো হয় না। তবে শীতপ্রধান এলাকায় কিছু মাঝারি ধরনের কিউই জন্মায়। এটাকে চাইনিজ গুজবেরিও বলা হয়। চীনেই এর আদিনিবাস এবং সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কিউই উৎপাদন হয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশেও পাওয়া যায় এই ফল। কিউই কে বলা হয় পুষ্টির কারখানা। চলুন তাহলে জেনে নেই কিউই ফলের উপকারিতা সম্পর্কে।
১. অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে
ফাইবার নামক উদ্ভিদের খাবারের অপাচ্য উপাদান স্বাস্থ্যকর পরিপাকতন্ত্র বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিউই হলো প্রিবায়োটিকের একটি সমৃদ্ধ উৎস যা পাচনতন্ত্রে প্রোবায়োটিক ও ইস্টের বিকাশ করে। এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। কোষ্টকাঠিন্য দূর করে, পেট ব্যথা ও ফোলাভাব কমায়।
২. ত্বক ভালো রাখে
কিউইতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন শরীরের আঘাত থেকে পুরুদ্ধার করার ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বকের জন্য কোলাজেন উৎপাদন করে। এটি ত্বককে শক্ত করে এবং সংযোগকারী টিস্যু তৈরি করে। ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।
৩. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
কিউই ফলে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ও ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। এটি চোখের রোগ প্রতিরোধ করে এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৪. চুল পড়া কমায় কিউইতে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই থাকায় এটি চুল পড়া কমায়। এছাড়াও এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং জিংক। যা চুলে পুষ্টি জোগায় এবং চুলের বিকাশে সহায়তা করে।
৫. হার্ট ভালো রাখে
কিউইতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং পটাসিয়াম যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পটাসিয়াম রক্তনালী শিথিল করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে।
৬. হাঁপানি রোগে সহায়তা করে
হাঁপানি রোগের জন্য মোক্ষম ওষুধ হল কিউই ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শ্বাসকষ্ট উপশম করে।
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
কিউই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কিউই ফল আমাদের শরীরের দৈনিক ভিটামিন সি এর প্রায় ২৩০% সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে ফ্রী র্যাডিক্যাল দূর করতে এবং স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
;
চোখের পাতা কাঁপার কারণ ও সমাধান
ছবি: সংগৃহীত
রাত জেগে অনেকেই সিনেমা দেখে থাকেন। তবে কয়েক দিন ধরেই সিনেমা দেখার সময় চোখে এক অদ্ভুত সমস্যা হচ্ছে। একটানা ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলেই চোখের পাতা কাঁপছে। সব সময়ে দু’টি চোখেই যে এমন হচ্ছে, তা নয়। তবে এই লক্ষণ যে স্নায়ুর সমস্যার কারণে হতে পারে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
চোখের পাতা কাঁপার কারণ কী?
চিকিৎসকেরা বলেন, এই সমস্যার নির্দিষ্ট কোনো একটি কারণ নেই। শারীরিক, মানসিক, স্নায়বিক— এই তিনটির যে কোনও একটি কারণে চোখের পাতা কাঁপতে পারে। তবে, সাধারণত চোখের পাতা কাঁপার মূল কারণ ক্লান্তি। এ ছাড়াও উদ্বেগ, ঘুম কম হওয়া, ঘন ঘন ধূমপান, অতিরিক্ত কফি খাওয়া, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকা ইত্যাদি কারণেও চোখের পাতা কাঁপতে পারে।
এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী কী করবেন?