সারাদেশ

দেশে এখন আ.লীগ নাই, সব পুলিশ লীগ: মির্জা ফখরুল

ডেস্ক রিপোর্ট: দেশে এখন আ.লীগ নাই, সব পুলিশ লীগ: মির্জা ফখরুল

ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগ সরকার কোনদিন জনগনের ভোটে নির্বাচিত হতে পারেনি অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারা ভয় দেখিয়ে, প্রতারণা করে, ভুল বুঝিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে থাকতে চায়৷ এই রাষ্ট্রকে তারা সত্যিকার অর্থে গভীর পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে৷ দেশে এখন আওয়ামীলীগ নাই সব পুলিশ লীগ।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকালে জেলার হরিপুর উপজেলার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আকরাম হোসেন এর কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ শেষ এসব কথা বলেন৷

তিনি বলেন, শুধু আকরামের ঘটনা নতুন নয়। আমাদের আন্দোলন চলাকালে ৩০ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৬০ লাখ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ৭০০ থেকে ৮০০ জন নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে৷ গত কয়েকদিনের মধ্যে তারা ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে৷ তারা সারা দেশকে নির্যাতনের কারখানায় পরিণত করেছ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এবারে আপনাদের ঈদ আনন্দের হয় নাই। এই দানবীয় সরকারের আপনার সন্তানকে পুলিশ বাহিনী দিয়ে হত্যা করেছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা অধিকার সংগ্রামের জন্য লড়াই করছে। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার আর বেঁচে থাকার অধিকারের জন্য৷ অথচ এই দানবীয় সরকার জোরদখল করে আছে৷

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। সবাই যেন অবাধে, বিনা ভয়ে ভোট দিতে পারে এমন একটা নির্বাচন চাই। গোটা দেশকে তারা ভয়ের রাজত্বে পরিণত করেছে। তারা কাউকে সম্মান করেনা। দেশের আলেম-ওলামা, অধ্যাপক, বিখ্যাত কাউকে তারা সম্মান করেনা। পৃথিবী যাকে চিনে নোবেল বিজয়ী তাকেও তারা শাস্তি দিয়েছে।

এসময় জেলা-উপজেলার বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মৃত্যুবরণকারী উপজেলা যুবদল নেতার কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষার পরিবেশ দু’টিই থাকা উচিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বুয়েটে যেমন অবশ্যই ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত তেমনই শিক্ষার পরিবেশ যেন বজায় থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনের সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি এবং ছাত্রলীগ যুক্ত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে, স্বাধীনতা যুদ্ধে, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে এবং এরশাদ এবং জিয়া যখন আমাদের গণতন্ত্রকে শিকল পরিয়েছিল, গণতন্ত্রকে বন্দী করেছিল সেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ ভূমিকা রেখেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতিই অবদান রেখেছে, সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে অনেক দেশ বরেণ্য রাজনীতিবিদের জন্ম হয়েছে যারা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে, দিচ্ছে। কিন্তু আমি অবাক সেখানে একটি দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হয় এবং ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার জন্য আবার সেখানে আন্দোলনও হয়। এটা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক নয় এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত বলেই আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই আদেশ বাতিল করেছে এবং সেখানে ছাত্র রাজনীতি দুয়ার খুলেছে।

ছাত্রলীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্রলীগকে বলবো সেখানে যেন নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি হয়, হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি যেন না ঢোকে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি থাকা প্রয়োজন, এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতা তৈরি হয়।

এ সময় নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়ে হাছান বলেন, আমি ১৫ বছর বয়সে ক্লাস টেনে পড়ার সময় থেকে ছাত্রলীগের কর্মী, ১৬ বছর বয়সে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক হয়েছি।

মন্ত্রী হাছান বলেন, রাজনীতি যে দেশ ও মানুষের সেবা এবং সমাজ পরিবর্তনের একটি ব্রত, সেটি অনেক রাজনীতিবিদরা ভুলে গেছে, প্রকৃতপক্ষে রাজনীতি কারো পেশা হওয়া উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বস্তুগত উন্নয়নের সাথে একটি মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুকন্যা বহু কল্যাণ ভাতা চালু করেছেন। সেই ব্রত ধারণ করেই আজকে ছাত্রলীগ দুস্থ অসহায় মানুষের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে এজন্য তাদেরকে অভিনন্দন।

সভাশেষে সামগ্রী নিতে সমবেত মানুষের মাঝে উপহার বিতরণ করেন মন্ত্রী।

;

‘ব্যর্থ বিএনপির নেতাকর্মীরা মানুষের মধ্যে হতাশার বীজ বপনের চেষ্টা করছে’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

ব্যর্থ বিএনপির উদভ্রান্ত নেতাকর্মীরা জনগণের মধ্যে হতাশার বীজ বপনের অপচেষ্টা করছে। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের সামনে কোন স্বপ্ন নেই। তারা ইতিবাচক কিছুই দেখতে পায় না। সর্বদা নেতিবাচক বিষয় নিয়ে থাকে এবং দেশের মানুষকে তা বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভুলনীতি ও ভুল কর্মসূচি নেওয়ার মাধ্যমে বিএনপি ভুলের চোরাবালিতে নিমজ্জিত। এখান থেকে উত্তরণের জন্য তাদের স্বভাবজাত পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তারা আরো গভীরে পড়ে যায়। বিএনপির রাজনীতি চরমভাবে দুর্দশাগ্রস্ত। ভুল রাজনীতির কারণে তাদের নেতাকর্মীরা হতাশাগ্রস্ত।

বিএনপি এদেশের গণতন্ত্রের শত্রু ও আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত একটি সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নীতি, আদর্শ ও কর্মপন্থা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থি। রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান গণতন্ত্রের বিপরীত মেরুতে। সামরিক স্বৈরাচারের হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি গায়ে গণতন্ত্রের আলখেল্লা জড়ালেও ভেতরে অগণতান্ত্রিক প্রেতাত্মাকে ধারণ করে। তাই সাংবিধানিক ও নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। অগণতান্ত্রিক শক্তির প্রতিভূ বিএনপি সর্বদাই গণতান্ত্রিক ও স্থিতিশীল পরিবেশ বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তারা নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল। বিএনপি তাদের মজ্জাগত সন্ত্রাসকে রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে আড়াল করার অপচেষ্টা করে। কিন্তু তাদের স্বরূপ আজ জাতির কাছে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃত। কানাডার ফেডারেল আদালত কর্তৃক বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত হয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি আরও উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সব প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আগামীর বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ স্মার্ট বাংলাদেশ।

;

গণতন্ত্র নিয়ে বিএনপির কথায় ইতিহাস বিদ্রুপের হাসি হাসে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মানবসভ্যতার ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের পর খুনি জিয়াউর রহমানের হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি যখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলে, ইতিহাস তখন বিদ্রুপের হাসি হাসে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচার ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাংলাদেশ স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাতে মানবসভ্যতার ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়েছিল। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করা হয়েছিল। একইভাবে হন্তারকের দল ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। সেদিন ঘাতকচক্র অসহায় নারী, শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। সেদিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? কোথায় ছিল মানবাধিকার? ১৯৭৫-এর নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের পর খুনি জিয়ার হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, ইতিহাস তখন বিদ্রুপের হাসি হাসে।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ইতিহাসের নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে অসাংবিধানিক পন্থায় বন্দুকের নলের মুখে জাতিকে জিম্মি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল। বিচারপতি সায়েমকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে সরিয়ে দিয়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি পদ দখল করেছিল। ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ-না ভোটের প্রহসনের নির্বাচনের নামে দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। জিয়ার তথাকথিত গণতন্ত্র ছিল কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র! লাগাতার সামরিক শাসন বলবৎ রেখে জনগণের উপর দুঃশাসনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছিল। ১৯৭৮ সালের ৩ জুন একই সাথে সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করে গণতন্ত্রকামী জনগণের সঙ্গে নির্মম তামাশা করেছিল স্বৈরাচার জিয়া; অবৈধভাবে একই সঙ্গে সেনাপ্রধান, প্রধান সামরিক আইন কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছিল। স্বৈরাচার জিয়া পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে নির্বাসিত করেছিল। স্বৈরাচার জিয়ার হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ধারণ করে চলেছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বৈরাচার জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। জাতিকে মিরপুর ও মাগুরা মার্কা উপ-নির্বাচন উপহার দিয়েছিল বিএনপি! নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতাদখলের পাঁয়তারায় আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে তখন বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের ভয়াবহ নজির স্থাপন করা হয়েছিল। ২০০১ পরবর্তী সময়কালে বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। স্বৈরাচারের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি সুপরিকল্পিতভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপিই এ দেশে গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নের প্রধান প্রতিবন্ধক। বিএনপি নেতৃবৃন্দের উচিত ছিল তাদের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা। অথচ তারা সেটা না করে বরাবরের ন্যায় দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা আজ যখন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে তখন বুঝতে হবে, তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য তাদের মায়াকান্না ছাড়া আর কিছু নয়। গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই। গণতন্ত্রের জন্য তাদের এই আহাজারি মূলত একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের অধিপতি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের বরপুত্র তারেক রহমানের দুঃশাসনের যুগে দেশকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। এদেশের গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজ এই অন্ধকারের অপশক্তির বিরুদ্ধে আজ ঐক্যবদ্ধ।

;

জার্মান ও সুইস রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মঈন খানের ইফতার

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানি রাষ্ট্রদূত আসিম টর্স্টার ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলির সঙ্গে ইফতার ও নৈশভোজ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

রবিবার (৭ এপ্রিল) তার গুলশানের বাসায় এ আয়োজন করা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চীনের উপ-রাষ্ট্রদূত ইয়ান হুয়ালঙ্গ ও দ্বিতীয় সচিব ঝু ঝিকিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

তবে ইফতার ও নৈশভোজের অনুষ্ঠানে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানানো হয়নি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *