সারাদেশ

চোরাচালান রোধে সীমান্তবাসীর সাথে বিজিবির মতবিনিময় সভা

ডেস্ক রিপোর্ট: চোরাচালান রোধে সীমান্তবাসীর সাথে বিজিবির মতবিনিময় সভা

ছবি: বার্তা২৪.কম

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাচালান ও মাদক পাঁচার রোধে সীমান্তের জনসাধারণকে নিয়ে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধা পর্যন্ত পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আয়োজনে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের রনচন্ডী বাজারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক (এডি) জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহাবুবুল আলম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মো. যুবায়েদ হাসান।

এতে সীমান্তে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতাধীক মানুষ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হন।

সভায় বক্তারা সীমান্ত রক্ষা করাসহ বিএসএফ কর্তৃক সীমান্ত হত্যা রোধে সকলকে সীমান্ত এলাকায় প্রবেশে নিরুৎসাহিত করেন। একই সাথে সকলকে সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ করা ও সীমান্তের আইন মেনে চলার অনুরোধ জানান বক্তারা।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির (সিও) লে. কর্ণেল যুবায়েদ হাসান বলেন, পঞ্চগড় জেলার তিন পাশে ভারত সীমান্ত হওয়ায়, বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষায় আমরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করে আসছি। সীমান্ত এলাকার মধ্যে তেঁতুলিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তে গরু ও মাদক চোরাচালান বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এতে করে বিএসএফ কর্তৃক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটছে। তাই আমাদের বিজিবির অন্যতম দায়িত্ব সীমান্ত রক্ষা করা, চোরাচালান বন্ধ করা ও বিশেষত সীমান্তের ৫ মাইল তথা ৮ কিলোমিটার এর মধ্যে যেকোন আইনশৃঙ্খলা কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে কীনা তা দেখভাল করা। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করা।

যুবায়েদ হাসান আরো বলেন, সরকারের বিশেষ কিছু আইন রয়েছে এই আইনের মাধ্যমে আমাদেরকে বলপ্রয়োগের নির্দেশ দেয়া আছে। তারপরেও দেশের নাগরিক হিসেবে সবারই কতর্ব্য রয়েছে। সীমান্তে যেসব অপরাধ ঘটে তার জন্য কিন্তু আমাদের ও ওপারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে জবাবদিহি করতে হয়। এ জন্য যারা সীমান্তের শূন্যলাইন অতিক্রম করে ভারতে গিয়ে গরু চোরাকারবারের সাথে জড়িত রয়েছেন, যারা মাদকের সাথে জড়িত রয়েছে তাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে। সীমান্তে এসব অপরাধ দমনে বিজিবি কঠোর অবস্থানে যাবে।

তাই সীমান্তে যারা চোরারকারবারি, মাদক কারবারি রয়েছে তাদেরকে সামাজিকভাবে প্রতিহত করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহব্বান জানান তিনি।

মাছ কেটে চলে শতাধিক সংসার

ছবি: বার্তা২৪.কম

বাজার থেকে মাছ কেনার পরে কাটা একটি ঝামেলা পূর্ণ কাজ ছিল। তবে এখন পেশাজীবীদের কারণে এখন সহজ হয়ে উঠেছে। মাছ কাটাকে পেশা হিসেবে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে বরিশালের নগরীর বিভিন্ন বাজারের শতাধিক নারী পুরুষ।

এই পেশা একদিকে যেমন অর্থনৈতিকভাবে তাদেরকে স্বাবলম্বী করছে অন্যদিকে গৃহস্থলীর কাজকে সহজ করে দিচ্ছে। এতে করে বাজারে মাছের বিক্রিও বেড়েছে অনেক। তাদের কাঁটা মাছের বিভিন্ন উচ্ছিষ্ট অংশ নানা ধরণের শিল্পে ব্যবহার হচ্ছে। এতে করে বাড়ছে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। এক সারিতে বসে বৃহদাকৃতির বটি দিয়ে ছোট বড় প্রায় সব ধরণের মাছ কাটতে দেখা গেছে এই পেশাজীবীদের।

বরিশাল পোর্ট রোর্ডে মাছ কেটে জীবিকা নির্বাহ করে সালাম সিকদার  বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতিটি গদিতে মাছ কাটার কাজে মোট তিনজন লোক কাজ করে। এদের মধ্যে এক জন বটি ওয়ালা, একজন আইশারি ও একজন করে কাস্টমার ডেকে আনার কাজ। সকাল ছয়টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ক্রেতাদের ক্রয়কৃত মাছ তাদের চাহিদা অনুযায়ী কেটে থাকেন। প্রতিদিন বিভিন্ন জাতের মাছ কাটেন একজন গড়ে ১’শ থেকে ১৫০ কেজি করে । এখানে মাছ কাটার পেশার সাথে জড়িত রয়েছে কমপক্ষে ১’শ জন।

তিনি আরো বলেন, তাদের কাঁটা মোট মাছের মধ্যে ৬০ শতাংশ ছোট এবং ৪০ শতাংশ থাকে বড় আকৃতির হয়ে থাকে। ছোট মাছগুলো প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে কাটা হয়। আর বড় মাছের তুলনায় এর খরচ দ্বিগুন। তবে মাছের উচ্ছিষ্টাংশ বিভিন্ন বানিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। মাছের নারীভূড়ি বিক্রি হয় জৈবসার তৈরিসহ পশুপাখির খাবার তৈরির কাজে। বিভিন্ন মাছের আইশ বিক্রি হয় মণ প্রতি দুই থেকে ৪ হাজার টাকায়। একই ধরণের মাছের আইশ আলাদা বিক্রি হয় তবে দর বেশি এবং মিশ্র বিক্রি হয় কিছুটা কম দামে।

তিনিদ বলেন, প্রতিদিন একেকটি গদি থেকে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ কেজি উচ্ছিষ্ট বিক্রি হয়। নির্দিষ্ট সময়ে এগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে যায় এই শিল্পে জড়িতরা। মাছের আইশ থেকে তৈরি হয় চুমকি সহ বিভিন্ন ধরণের শো-পিস। পূর্বে শুধু বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরার মালিকরা এসে মাছ কাটিয়ে নিয়ে যেত। কিন্তু দিনে দিনে গৃহস্থলির ক্রেতাদেরও সংখ্যা বাড়ছে। মাছ কাটার ব্যবস্থা থাকায় প্রতিটি বাজারেই ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। তুলনামূলক কম টাকা খরচে এই সুবিধা পেয়ে ক্রেতারাও বেশ খুশি। পোর্টরোড বাজারে তারাও বেশ সুবিধা নিয়েই ব্যবসা করতে পারছেন।

;

মধ্যরাতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ঠ দুই বাইক আরোহী

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর নিউ ইস্কাটন ইস্টার্ন টাওয়ারের সামনের রাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী মারা গেছে। নিহতদের নাম আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিম।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাত পোনে ১২ টার দিকে এই ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মোটরসাইকেলে থাকা দুজন।

হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ইস্টার্ন টাওয়ারের সামনের রাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাইকে থাকা দুইজন মারা গেছে। ঘটনা স্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

বিস্তারিত এখনো কিছুই জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে। নিহতদের বিস্তারিত ঠিকানা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন জানান, একটি  ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এরপর ট্রাকটি মগবাজারের দিকে পালিয়ে যায়।

;

আকস্মিক আগুনে ঘর পুড়ে নিঃস্ব দিনমজুর

ছবি: বার্তা২৪.কম

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নে চকমল বর্মন নামের এক দিনমজুরের বাড়িতে আগুন লেগে চারটি ঘরসহ ঘরের আসবাপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় বলে অসহায় ওই দিনমজুরের পরিবার জানান।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাতে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের বালইরহাট এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার দিকে আকস্মিক দিনমজুর চকমল বর্মনের বাড়িতে আগুন লাগে। মুহুর্তেই সে আগুন দাউ দাউ করে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আশপাশের লোকজন এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই চকমলের চারটি বাড়িসহ বাড়ির  আসবাবপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা সুবোধ চন্দ্র জানান, বাজারে যাওয়ার পথে আগুন লাগার বিষয়টি শুনে দ্রুত সেখানে যাই এবং উপস্থিত সকলের সাথে আগুন নেভানোর জন্য পানি দেই। এরপরেও আমরা ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আসার আগেই আগুনে পুড়ে যায় চকমল বর্মনের চারটি ঘর। আগুনে পুড়ে যাওয়ায় চকমলের পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেল।

কান্না জড়িত কন্ঠে নিঃস্ব দিনমজুর চকমল জানান, আমার সব শেষ গেল। অনেক কষ্টে ঘরগুলো বানিয়েছিলাম। বাড়িতে হঠাৎ আগুন লেগে আমার সব শেষ করে দিল।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কালীগঞ্জ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আবু তাহের বলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর পরই আমরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেই। স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব বেশি হওয়ায় আসতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে আগুন লাগার সূত্র এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে জানানো হবে।

গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, আগুন লাগার ঘটনাটি শুনেছি। সেখানেই যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খবর নিতে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চকমলকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা হবে বলেও জানান তিনি।

;

সরকারের উন্নয়ন নিয়ে যাত্রাপালা ‘জননীর স্বপ্নপূরণ’ মঞ্চস্থ

ছবি: বার্তা২৪.কম

‘শিল্প সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ এই শ্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে গণজাগরনের যাত্রাপালা উৎসব শিরোনামে ‘জননীর স্বপ্নপূরণ’ নামে একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়।

পলাশ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে পলাশ উপজেলা শহীদ মিনারে এই নাটক মঞ্চস্থ হয়। নরসিংদীর দিপা অপেরা নামে একটি যাত্রাপালা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশনায় এতে অভিনয় করেন প্রায় আট থেকে দশ জন কলা-কুশলী।

এই যাত্রাপালায় সারমর্ম হিসেবে বাংলাদেশের পদ্ধাসেতু উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি, পদ্ধাসেতু বিরোধী দুস্কৃতিকারীর ভূমিকা এবং সেতু মন্ত্রীর ভূমিকায় সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মানের ফলে দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তা জনসম্মুখে তুলে ধরা হয়েছে।

যাত্রাপালাটি নাট্যকার শাহ আলম এর উপস্থাপনায় শেখ হাসিনার চরিত্রে জননী পরিচয়ে অভিনয় করেছেন সুমি আক্তার, সেতু মন্ত্রীরত ভূমিকায় গোলজার হোসেন, দেশ প্রেমিক যুবকের ভূমিকায় মোঃ হাসান ও ইকবাল হোসেন, গ্রামের দুস্কৃতিকারীর ভূমিকায় মকবুল হোসেন ও কালাম হোসেন, পদ্ধবুড়ির ভূমিকায় দিপ্তী এবং পাগলের ভূমিকায় মামুন।

যাত্রাপালা প্রসঙ্গে পলাশ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সংগীত প্রশিক্ষক মাজেদুল হক শরীফ জানান, দেশের একটি বৃহৎ প্রকল্প হচ্ছে পদ্মা সেতু। এই সেতু তৈরী করতে কার কী ভূমিকা ছিল তা জনগণের মধ্যে অনেকেই জানে না। আর এই বাস্তবিক বিষয়টা জনসম্মুখে তুলে ধরায় জনগণ প্রকৃত বিষয়টি জানতে পেরেছে। এটি খুবই ভালো লেগেছে বলে আমি মনে করি।

এ যাত্রাপালা প্রসঙ্গে পারুলিয়া তিতুমীর সংঘের সদস্য ও নাট্যাভিনেতা জাইদুল হক জিলু জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য উন্নয়নের অংশ হিসেবে পদ্মা সেতু করতে গিয়ে যে বাধা বিড়ম্ভনার শিকার হয়েছেন তা এই যাত্রাপালায় তুলে ধরা হয়েছে। এটি সময়োপযোগী একটি নাটক।

এসময় নরসিংদী জেলা যাত্রাশিল্পী সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম স্বদেশ উপস্থিত ছিলেন।নাটকের তাল যন্ত্রের অংশ হিসেবে কিবোর্ডে ছিলেন রুবেল, প্যাডে জীবন ও তবলায় বাদশা। এসময় আশপাশের প্রায় সহস্রাধিক জনসাধারণ নাটকটি উপভোগ করেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *