খেলার খবর

ভিজে বন্য হওয়ার ‘সংক্রান’

ডেস্ক রিপোর্ট: থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় স্থানগুলোতে পথে হাঁটতে গেলে আপনাকে এখন ভিজতে হবেই। শুধু হাঁটা নয়, টুকটুক বা বাইকে করে যদি ঘুরতে বের হন, এমনকি ট্যাক্সিতে জানালা খোলা থাকলেও ভেজার সম্ভাবনা বেশি।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে আমরা যাই ব্যাংককের সানাম লুয়াং রয়েল প্যালেস এলাকায়। এখানে প্যালেসের সামনে মাঠে স্থাপন করা হয়েছে প্রায় ফুটবল মাঠের সমান এক ওয়াটার পুল। সেখানে নানা বয়সী, বিশেষত শিশুরা মেতে উঠেছে উৎসবে। আর সড়কগুলো রয়েছে ভিজে। স্থানীয় আর পর্যটকদের হাতে নানা আকার ও নানা ধরনের ওয়াটার গান। পানি ছুড়ছেন একে অপরকে। এই পানি খেলা শুধু বন্ধুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, যে কেউ যে কাউকে পানি ছুড়তে পারবে। সেখানে রাগ বা অভিমান নেই। রয়েছে শুধুই উচ্ছাস।

ব্যাংককের পথে পথে দেখা মিলবে পিকআপে করে পানি ছোড়ার কর্ম। পিকআপ ভ্যানের পেছনে আস্ত পানির ট্যাঙ্কি নিয়ে উঠেছে কিশোর-কিশোরীর দল। সেখান থেকে পাইপে, মগ বা বালতিতে করে ছোড়া হচ্ছে পানি। পুরো গোসল করিয়ে দেয়া হচ্ছে পথচারীদের।

সানাম লুয়াং, সিয়াম সেন্টার, খাওসান রোড, সুকুমভিতসহ সবখানেই ছড়িয়ে পড়েছে পানি খেলার এই আয়োজন। শুধু পানি ছোড়ার খেলা নয়, সঙ্গে রয়েছে কনসার্ট আর নানা ধরনের প্রদর্শনী। যা উৎসবকে করেছে রঙিন।

শুধু থাইল্যান্ড নয়, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়ার মানুষ উদযাপন করছে নতুন বর্ষের এই উৎসব। ২০২৩ সালে থাইল্যান্ডের এই নববর্ষ উৎসব, ‘সংক্রান’কে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কো। তাই চলতি বছর এই উৎসবের রংয়ে লেগেছে নতুন মাত্রা।

সংক্রানকে ঘিরে নিজ নিজ দেশের পর্যটনকে বিকশিত করার নানা উদ্যোগ নিয়েছে দেশগুলো। লাওস এরই মধ্যে ভিয়েনতিয়েনে সংক্রানের জল উৎসবের জায়গা নির্ধারণ করেছে। কম্বোডিয়া সরকার আশা করছে এই সংক্রানকে ঘিরে অন্তত ৫০ হাজার থেকে লাখ বিদেশি পর্যটকের সমাবেশ ঘটাতে পারবে দেশটি।

থাইল্যান্ড এক্ষেত্রে অবশ্যই এগিয়ে আছে। থাইল্যান্ডের পর্যটন ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জানিয়েছে অন্তত সাড়ে ৫ লাখ পর্যটক এরই মধ্যে প্রবেশ করেছে সংক্রান উৎসবে যোগ দিতে।

থাইল্যান্ডের প্রতিটি প্রাদেশিক শহরেই স্থানীয়ভাবে আয়োজন করা হয়েছে সংক্রানের। স্থানীয়রা অনেকেই তাদের বাসার সামনে বসেছেন ওয়াটার পুল নিয়ে। সেখানে যেমন শিশুরা খেলছে আবার পানি ছুড়ছে পথচারীদের।

সংক্রানে পানি ছোড়ার সঙ্গেই আরেকটি বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। সেটা হচ্ছে পাউডার গলিয়ে শরীরে লাগিয়ে দেয়া। এটাও যে কেউ, যে কাউকে দিতে পারবে। বিশেষত গালে লাগিয়ে দেয়া হয়। 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *