সারাদেশ

মুক্তির পর এমভি আবদুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা বললেন, বাংলাদেশ তোমাকে ভালোবাসি

ডেস্ক রিপোর্ট: বর্ণাঢ্য আয়োজনে চলছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান মেলার আয়োজন করেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন। সব আয়োজনের মধ্যে ছিল পান্তা ভাত খাওয়া। আর এই পান্তা ভাত ছিল উক্ত অনুষ্ঠানে আগত সব দর্শকদের জন্য একেবারে ফ্রি। যা আগত দর্শকদের মধ্যে দারুণভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সরেজমিনে সকাল ৯ টায় বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাস ভবনে গিয়ে দেখা যায়, মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সবাই শিশুপার্কে ঢুকছে। সেখান থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সঞ্চালক ঘোষণা দেন- সম্মানীত সুধী, পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছে। আপনারা শুনে আনন্দিত হবেন আপনাদের সবার জন্য পান্তা ভাতের আয়োজন করা হয়েছে।

সঞ্চালকের কণ্ঠে এমন ঘোষণা শুনে উপস্থিত সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। কেউ কেউ প্রশ্ন করতে থাকেন- প্রতি প্লেটের দাম কত? সাথে সাথে আবার সঞ্চালক সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে পুনরায় ঘোষণা দেন- সবার জন্য একেবারে ফ্রি। ইচ্ছা করলেই যে কেউ খেতে পারবেন।

এমন ঘোষণার পরই পার্কে থাকা সবাই ছুটে যান নির্বাহী কর্মকর্তার বাস ভবনে। সেখানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে প্লেট হাতে নিয়ে যার যার পান্তা ভাত সংগ্রহ করেন। পান্তা ভাতের সঙ্গে ছিল আলু ভর্তা, ডাল ভর্তা, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ ও দেশি রুই মাছ। খাবার পেয়ে সবাই বেশ খুশি।

খাবার শেষে অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে জয়িতা, স্নেহা বসু, রিয়া কুন্ডু বার্তা২৪.কমকে জানান, তারা সবাই শিক্ষার্থী। প্রশাসন আয়োজিত পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য সকালে বাসা থেকে বের হয়েছি না খেয়ে। ৯ টার দিকে মাইকের ঘোষণা শুনে প্রথমে বুঝতে পারিনি। পরে ভালো করে খেয়াল করে শুনি। নিশ্চিত হওয়ার পর দৌড়ে ইউএনও স্যারের বাস ভবনে চলে যায়। সেখান থেকে পান্তা ভাত সংগ্রহ করে পেট ভরে খেয়েছি। উদ্যোগটা দারুণ ছিল।

সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসিবুল হাসান বার্তা২৪.কমকে জানান, আয়োজনটা স্মরণীয় করে রাখার জন্যই প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা ধরনের আয়োজন ছিল। তার মধ্যে সবার জন্য ফ্রি পান্তা ভাতটার আয়োজন করা ছিল অসাধারণ। আমরা ৫০০ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করেছিলাম। খাবার সবাই খেয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, বৈশাখ মানেই বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাঙালির প্রাণের এই উৎসবকে আকর্ষণীয় ও স্মরণীয় করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তা ভাত, গ্রামীণ নানা ধরনের খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। এরমধ্যে আমরা মঙ্গল শোভাযাত্রা ও অনুষ্ঠানে আসা সবার জন্য ফ্রি পান্তা ভাতের আয়োজন করেছিলাম। সবাই খুব খুশি পান্তা ভাত খেয়ে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *