সারাদেশ

ঈদের চতুর্থ দিনেও চাপহীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক

ডেস্ক রিপোর্ট: ঈদের চতুর্থ দিনেও চাপহীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক

ছবি: বার্তা২৪.কম

শেষ হলো মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। এরপর চারদিন পার হলেও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঈদ পালন শেষে ঢাকা ফেরা যাত্রীদের চাপ লক্ষ করা যায়নি।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সরেজমিনে টঙ্গী থেকে ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ভ্রমণ করলেও গাড়ি ও বাসে করে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের তেমন একটা চাপ লক্ষ করা যায়নি।

ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গে যাবার প্রধানতম রোড হলো মহাখালী। এখান থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বাস ছেড়ে যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোণা, শেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, গাইবান্ধা, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, রংপুর, কক্সবাজার জেলা। তবে এদিন এই রোডে যাত্রীদের তেমন একটা চাপ দেখা যায়নি।

এদিন টঙ্গী চৌরাস্তা পার হয়ে ঢাকায় ঢোকার রাস্তা ছিলো অনেকটাই ফাঁকা। উপরে ফ্লাইওভার চালু হওয়ায় অনেক গাড়ি ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে চলে গেলেও নিচের মত উপরেও গাড়ির চাপ তেমন লক্ষ করা যায়নি। টঙ্গীর তুরাগ নদী পার হয়ে আব্দুল্লাহপুর। আব্দুল্লাহপুর থেকে একটি রাস্তা চলে গেছে সাভারের দিকে আরেকটি ঢাকার পথে। সেখানে সবসময় যানজট লেগে থাকতে দেখা গেলেও এদিন গাড়িগুলোকেকোনো যানজট ছাড়াই পার হতে দেখা যায়।

এছাড়াও বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, বনানী ও মহাখালীর যানজটে নগরবাসী প্রতিনিয়ত নাকাল হলেও ঈদের চতুর্থ দিনেও এসব রাস্তা অনেকটায় ফাঁকা দেখা যায়।

এর আগে, ঈদ-উল-ফিতর এর সরকারি ছুটি শুরু হয় গত মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) থেকে, যা শেষ হয় গত শনিবার (১৩ এপ্রিল)। তবে অনেকেই ইদের আগে সোমবার ও মঙ্গলবার বাড়তি ছুটি নিয়ে টানা ১০ দিন ছুটি ভোগ করেছেন। কারণ, এর আগে রোববার শবে কদরের এবং শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। আবার ঈদের পর ১৩ এপ্রিল শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। আর আজ ১৪ এপ্রিল রোববার পয়লা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছুটি।

ঈদের ছুটি শেষ, সোমবার খুলছে অফিস-আদালত

ছবিঃ সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে আগামীকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) খুলছে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে উদযাপিত হয় মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। ঈদ উপলক্ষে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল (বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) সরকারি ছুটি ছিল। ঈদের পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সপ্তাহিক ও ১৪ এপ্রিল রোববার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলা নববর্ষের ছুটি। ফলে ১০ তারিখ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত ছুটি কাটাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। টানা পাঁচ দিন ঈদের ছুটি শেষে সোমবার অফিস পাড়ায় যোগ দেবেন কর্মজীবীরা।

তবে যারা ঢাকার বাইরে ঈদ করতে গেছেন তাদের অনেকে ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। এদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় অফিস আদালতে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হতে আরো কয়েকদিন লেগে যাবে। এছাড়া স্কুল-কলেজও আগামী সপ্তাহে খুলবে। তখন স্বাভাবিকরূপে ফিরবে রাজধানী ঢাকা।

এদিকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে প্রথমবারের মতো টানা ৬ দিন ছুটি কাটাচ্ছেন সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি ঘোষণা করে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

;

লক্ষ্মীপুরে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বাড়ির মালিক-সুইপারের মৃত্যু

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে বাড়ির মালিক ও এক সুইপারের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম রাখালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে এক জনের নাম জানা গেছে। তিনি হলেন বাড়ির মালিক রিয়াদ হোসেন। অপরজন সুইপার ছিলেন। তার নাম জানা যায়নি।

স্থানীয়য়া জানান, বিকেলে রাখালিয়া এলাকায় নুরুল হক পাটোয়ারী বাড়ির পাটোয়ারী ভিলার একটি সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নামেন সুইপার। পরিষ্কার করা অবস্থায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে তিনি আটকা পড়েন। পরে বাড়ির মালিক রিয়াদ উদ্ধার করতে গেলে দুইজনেরই মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাংকের ভেতরে অক্সিজেনের অভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে সেপটিক ট্যাংক ভেঙে মৃতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

বৈশাখী মেলার নামে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দায়সারা আয়োজন, বলছেন নারী উদ্যোক্তারা

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আয়োজন করেছে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। মাত্র ১০টি স্টল দিয়ে অব্যবস্থাপনায় ভরা দায়সারা বৈশাখী মেলা আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তাই তিনদিনের মেলা শেষ না হতেই বেশিরভাগ স্টল গুটিয়ে নিয়ে গেছে উদ্যোক্তারা। বৈশাখী মেলা নাম দিলেও বৈশাখী মেলার বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য ছিলো না মেলায়।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে কক্সবাজারের পাবলিক লাইব্রেরির শহিদ দৌলত ময়দানে আয়োজিত মেলা প্রাঙ্গনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ১০টি স্টলের মধ্যে ৪টি স্টল দুপুরের মধ্যেই গুটিয়ে নিয়েছে। বাকি স্টলগুলোও গুটিয়ে নিচ্ছে উদ্যোক্তারা।

উদ্যোক্তারা জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বৈশাখী মেলার নামে তাদের সাথে প্রতারণা করেছে।

ফাতেমা বুটিকস নামের প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নারী উদ্যোক্তা ফাতেমা জান্নাত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাঁকজমকপূর্ণ হবে বলেছে বলে স্টল নিয়ে আমি বিপাকে পড়েছি। সকাল থেকে আমি এবং আমার স্বামীসহ ৫ জন মানুষ পরিশ্রম করেছি। ১ হাজার টাকার মাত্র বিক্রি হয়েছে। কিন্তু খাবার, গাড়িভাড়া খরচ হয়েছে ১ হাজার টাকারও বেশি। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আয়োজন করেছে বলে বিশ্বাস নিয়ে মেলায় এসেছি। আমাদের সাথে একপ্রকার প্রতারণা করা হল।

ফাতেমা জান্নাতের মতো অন্যান্য নারী উদ্যোক্তাদেরও একই অবস্থা। সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসনের উপর।

সালসাস কালেকশন এন্ড ফুডস এর নারী উদ্যোক্তা শামিমা আক্তার মিনা বলেন, কোনরকম দায়সারা আয়োজন করে আমাদের হয়রানি করা হলো। এত কষ্ট করে সকল জিনিসপত্র নিয়ে মেলায় আসলাম কিন্তু প্রথমদিনের যে অবস্থা কাল থেকে আর মেলায় আসতে পারব না। রাত ৮টা পর্যন্ত স্টল খোলা রাখার কথা থাকলেও কোন লাইটের ব্যবস্থা করা হয়নি। এছাড়া সাংস্কৃতিক আয়োজন আজকেই শেষ করে দিয়েছে। মঞ্চও গুটিয়ে নিয়েছে। তাহলে মেলা কিভাবে চলবে বলেন!

হোমাইরাস রেসিপির আরেক নারী উদ্যোক্তা সুরা খাতুন বলেন, ৩ দিনের জন্য খাবার তৈরি করে মেলায় এসেছি। এখন প্রথম দিনেই মেলা শেষ। সব খাবার নষ্ট হয়ে যাবে। পিঠাপুলি থেকে শুরু করে নানান খাবার এনেছিলাম। সাংস্কৃতিক আয়োজন থাকলে হয়তো মেলা ভালোমতো চলতো।

নববর্ষ উদযাপন এবং মেলা কমিটির সদস্য কক্সবাজার জেলা খেলঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আয়োজনটা কিছুটা দায়সারা মনে হয়েছে। মেলাটা যদিও একদিনের তবে নারী উদ্যোক্তারা ৩ দিন না হলে মেলায় অংশগ্রহণ করে না বলেই ৩ দিনের করা হয়েছে কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম ৩ দিনই সাংস্কৃতিক আয়োজন করতে ভাগ করে করে আলাদা সংগঠনের মাধ্যমে। কিন্তু জেলা প্রশাসনের হয়তো নানা সংকটের কারণে এটা করা হয়নি।

বিষয়টি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন শুধু স্টল করে দিয়েছে কিন্তু বিসিক তাদের নিয়ে এসেছে। আর মেলা তো রাতের আগেই শেষ হয়ে যাবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী।

;

নতুন সম্ভাবনা ও আশা নিয়ে এসেছে বাংলা নতুন বছর: পরিবেশ ও বন মন্ত্রী

নতুন সম্ভাবনা ও আশা নিয়ে এসেছে বাংলা নতুন বছর: পরিবেশ ও বন মন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নতুন সম্ভাবনা ও আশার রঙিন স্বপ্ন নিয়ে এসেছে বাংলা নতুন বছর। নতুন ভবিষ্যতকে নতুনভাবে বরণ করে নিতে হবে। অতীতের ভুলভ্রান্তি পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হবে ভবিষ্যৎ সুন্দরের দিকে। সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একুশে টেলিভিশনের ২৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত এবং একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

সাবের চৌধুরী বলেন, অনেকের শ্রম, অনেকের মেধা ও অনেকের ত্যাগের বিনিময়ে একটি প্রতিষ্ঠান জনপ্রিয়তা অর্জন করে। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে, অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে একুশে টেলিভিশন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

মন্ত্রী এসময় দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে একুশে টেলিভিশনের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি একুশে টেলিভিশনের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *