সারাদেশ

গণপরিবহন সংকটে ঢাকায় ফেরা মানুষ!

ডেস্ক রিপোর্ট: গণপরিবহন সংকটে ঢাকায় ফেরা মানুষ!

ছবি: বার্তা ২৪

পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে কর্মস্থলে যোগ দিতে রাজধানী আসতে শুরু করেছে মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করেও ঢাকায় প্রবেশ করছে কর্মজীবিরা। তবে ঢাকায় আসতে ভোগান্তি না হলেও নগরীতে গণপরিবহন সংকটে ভুগছে ঢাকায় ফেরা মানুষ। 

বাড়ি থেকে ফেরা মানুষের অভিযোগ, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভাড়ায় গেছেন নগরের বাসগুলো। এতে রাজধানীর সড়কে নেই গণপরিবহনের দৌরাত্ম। এক সাথে অনেক মানুষ ঢাকায় ফেরায় পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় মিলেছে এর সত্যতাও। সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রায় ২ শতাধিক বাস গাবতলীতে দেখা গেলেও নগরের অভ্যন্তরীণ রুটগুলোর বাস দেখা মিলেছে হাতে গোনা কয়েকটি। দুই একটি বিভিন্ন রুটের বাস আসলেও সেগুলোতে ছিল অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ।

গণপরিবহন কম থাকায় অতিরিক্ত সুবিধা নিচ্ছেন সিএনজি ও পাঠাওগুলো। বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আছে অটোরিকশা ও রিকশাতেও। 

প্রদীপ বিশ্বাস নামের একজন বলেন, ৮টা থেকে দাঁড়ায় আছি। কিন্তু বাসে উঠতে পারছিনা। ২০০ টাকার ভাড়া সিএনজি চাচ্ছেন ৫০০ টাকা। নির্দেশনা না মেনে বাসগুলো বাইরের রিজার্ভ যাওয়ায় এই ভোগান্তি পেতে হচ্ছে।

রাখিবা আক্তার জীম নামের এক তরুণী বলেন, আমি প্রায় ১ ঘণ্টা যাবৎ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। ব্যাগ, লাগেজ নিয়ে বাসে উঠতে পারছি না। মিরপুর ১০ এ যাব। সিএনজি ভাড়া ১০০ টাকা বা ১৫০। কিন্তু এরা ভাড়া চাচ্ছে ৫০০ টাকা। এভাবে তো হতে পারে না। প্রতিবার আমাদের এই ভোগান্তি পেতে হয়। দূরপাল্লার বাস সংকট নেই। কিন্তু নগরীর বাসের সংকট এটা ভাবার বিষয়।  

এদিকে পূর্বের ব্যস্ততা ফিরছে রাজধানীতে। গত দুই দিনে প্রায় কোটি মানুষের ফিরেছে ঢাকায়। ফলে যানজটও বেড়েছে। যানজট নিরসনে বেগ পেতে হচ্ছে দায়িত্বরতদের।

ট্রাফিক পুলিশ রবিউল ইসলাম বলেন, ভোর ৫টা থেকে গাড়ি ঢুকছে। ৭টার দিকে চাপ বাড়ে। এখন ক্রমশ গাড়ি ঢুকছে ঢাকায়। আমাদের সন্দেহ মনে হলে জিজ্ঞাসা করে কাগজ পত্র চেক করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়েনি।

ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ, গণপরিবহনের ভোগান্তি

ছবি: বার্তা ২৪

কর্মস্থলে যোগ দিতে ঈদুল ফিতর ও বৈশাখের আমেজ শেষে রাজধানীতে আসতে শুরু করেছে মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করেও ঢাকায় প্রবেশ করছেন কর্মজীবীরা। 

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় দেখা গেছে ভোর থেকে দূরপাল্লার বাস ঢুকছে ঢাকায়। বাস থেকে নেমে সিএনজি, অটো মোটরবাইক যোগে নিজ গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছে সবাই। তবে গত কয়েক বছরের মতো চাপ নেই গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে। বাস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রত্যাশার ৬০ শতাংশ মানুষ এই রুটে ঢাকা ফিরছেন।

এদিকে বাড়ি থেকে কর্মমুখী মানুষ ঢাকায় ফেরায় ফাঁকা নগরীতে ফিরেছে ব্যস্ততা। তবে গণপরিবহন সংকট থাকায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে ঢাকায় ফেরা মানুষদের। এতে দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেক কে।

ঠাকুরগাঁও রানিসংকৈল থেকে হানিফ বাসে এসেছেন কামরুল হাসান। রাস্তায় তেমন জটিলতা পাননি তিনি। তবে সকাল ৭টায় গাবতলীতে গণপরিবহন না থাকায় প্রায় ৪০ মিনিট রাস্তায় অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে।

কামরুল হাসান বলেন, সারা রাস্তায় স্বস্তিতে আসছি। কোন ঝামেলা হয় নি। তবে ঢাকা ঢুকে একটি জটিলতা পেয়েছি। গাড়ি ছিল না। সিএনজি অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছিলো। তাই ৪০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করছি।

ফাতেমা আক্তার নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, সকালে গণপরিবহন নেই। ঢাকা ফাঁকা থাকায় বাসও তেমন নাই রাস্তায়। এই সুযোগ টা কাজে লাগাচ্ছে সবাই। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এ ছাড়া আর কোন ভোগান্তি পাইনি। 

গাবতলী বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মোস্তাফিজ বিল্লাহ বলেন, আমাদের কাঙ্ক্ষিত যাত্রী যাওয়ার সময়ও মেলেনি। আসার সময়ও নেই। মানুষ ট্রেনের টিকিট বেশি নিচ্ছে। ফলে কিছুটা সংকট বাস সেক্টরে আছে।

এদিকে একের পর এক দূরপাল্লার বাস ঢুকছে রাজধানীতে। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বরতরা বলছেন, প্রতি ঘণ্টায় ২ শতাধিকে বেশি বাস ঢাকায় প্রবেশ করছে। এতে সময়ের সাথে ফাঁকা রাজধানীর যানজট বাড়ছে। বসে থাকা গণপরিবহনগুলোও সড়কে নামছে। ফলে যানজট নিরসনে কিছুটা চাপ নিতে হচ্ছে ট্রাফিকের দায়িত্বরতদের। 

গাবতলী মাজার রোডে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ রবিউল ইসলাম বলেন, ভোর ৫টা থেকে গাড়ি ঢুকছে। ৭টার দিকে চাপ বাড়ে। এখন ক্রমশ গাড়ি ঢুকছে ঢাকায়। আমাদের সন্দেহ মনে হলে জিজ্ঞাসা করে কাগজ পত্র চেক করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়েনি।

;

ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের মেঘনা বাজার এলাকায় প্রতিপক্ষের এলোপাতাড়ি দায়ের কোপে জোছনা আক্তার (৩০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এসময় কুপিয়ে আহত করা হয় তার স্বামী আলাউদ্দিনকে (৩৬)।

তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে অবস্থার অবনতিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত-রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের মেঘনা বাজার এলাকার নুরুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহত স্বামী-স্ত্রী দুজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রযেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আহত আলাউদ্দিন একই বাড়ির মৃত শাহে আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী।

অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার পার্শ্ববর্তী বকুলের বাপের বাড়ির আবদুর রব এর ছেলে সিরাজ, মাহফুজ ও নিজাম। তারা সম্পর্কে আলাউদ্দিনের খালাতো ভাই।

আহত আলাউদ্দিনের মামা নুরুল হক ও স্বজনরা জানান, রমজান মাসে আলাউদ্দিনের বসতঘরের পাশের একটি পুকুরে ড্রেজিং এর মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করে নিয়ে যায় অভিযুক্ত সিরাজ। এরপর গেল সপ্তাহে ওই পুকুরে আবারও পানি নিষ্কাশনের জন্য সেচ পাম্প বসায় সিরাজ। এতে বাড়িঘর পুকুরে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় বাধা দিলে আলাউদ্দিনের সাথে সিরাজের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় সিরাজ।

এরই মধ্যে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন সিরাজের ভাই পারভেজ ও নিজাম।

ওই বিরোধের জের ধরে রাত দুইটার দিকে আলাউদ্দিনের বসতঘরে হামলা চালায় সিরাজ, মাহফুজ ও নিজামসহ ১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। এসময় দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী জোছনা বেগমকে গুরুতর আহত করে তারা। পরে স্থানীয়রা আহত স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জোছনা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় আলাউদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. এ কে আজাদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই জোছসা বেগমের মৃত্যু হয়। তবে স্বামী আলাউদ্দিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

;

বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

সারাদেশে চলছে গরমের দাপট। এর মধ্যে এবার বৃষ্টি নিয়ে সুসংবাদ দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, রোববার ও সোমবার রোদ-গরমের দাপট থাকলেও মঙ্গলবার থেকে তিন বিভাগে ঝোড়ো বৃষ্টিসহ শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেওয়া এক পুর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, নীলফামারি ও নেত্রকোণা জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

সোমবারের আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে সংস্থাটি জানায়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে এবং সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

১৬ এপ্রিলের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

;

‘নতুন বছরে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আরো আন্তরিক সেবা প্রদান করা হবে’

নতুন বছরে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আরো আন্তরিক সেবা প্রদান করা হবে: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বাংলা নববর্ষে দেশের রেমিটেন্স যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, নতুন বছরে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের আরো আন্তরিক সেবা প্রদান করা হবে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সিলেটে স্থানীয় জনসাধারণ ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান চৌধুরী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে আরো বলেন, ‘বাংলার অগ্রযাত্রা অটুট সম্প্রীতি-ঐতিহ্যের আবাহনে জীর্ণ-পুরনো ভুলে, সম্ভাবনার নতুন দিনে’- সকলকে জানাই “শুভ নববর্ষ ১৪৩১”।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন বাংলা বছরে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে আধুনিক যুগোপযোগী যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে- জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে নতুন বাংলা বছরের মধ্যেই কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ ঢেলে সাজাতে সক্ষম হবো। 

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *