গাজীপুরে বাসের ধাক্কায় দম্পতির মৃত্যু
ডেস্ক রিপোর্ট: গাজীপুরে বাসের ধাক্কায় দম্পতির মৃত্যু
ছবি: বার্তা২৪.কম
গাজীপুরে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ঘাতক বাস আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দম্পতি, কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইতলী গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে আশিফ ও তার স্ত্রী তানজিমা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঘুরতে বের হন আশিফ। এসময় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাইপাস এলাকায় সড়ক পারাপারের সময় টাঙ্গাইলগামী মাহী স্পেশাল পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাস তাদের চাপা দেয়। এতে তারা দু’জন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার কর্মরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
পরে পুলিশ ওই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় বাস জব্দ করা হলেও চালক পলাতক রয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান।
৫ দিন পর সচল বেনাপোল বন্দর
ছবি: বার্তা ২৪
ঈদ ও পহেলা বৈশাখের টানা ৫ দিনের সরকারি ছুটি শেষে আবারও সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেল ও সড়ক পথে ভারতের সাথে শুরু হয়েছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল ৫ দিন এপথে বন্ধ ছিল আমদানি- রফতানি। ৫ দিন পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় এতে সরকারের প্রায় দেড়শো কোটি টাকা রাজস্ব আয় পিছিয়েছে। বন্দরেও জমেছিল পণ্যজট। এখন পণ্য খালাস শুরু হওয়ায় কমতে শুরু করেছে পণ্য জট।
এদিকে আমদানি-রফতানি শুরু হওয়ায় বেনাপোল বন্দরে আবারও কর্মব্যস্ততা ফিরেছে। পণ্য খালাসে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাণিজ্যের সাথে সংশিষ্ট ব্যবসায়ীসহ বন্দর, কাস্টমসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বন্দর শ্রমিকেরা।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানিয়েছেন, সরকারি ছুটি শেষে পুনরায় এ পথে আমদানি-রপ্তানিসহ সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে বন্দর থেকে দ্রুত পণ্য খালাস নিতে পারেন সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ৬ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি, ২শ’ ট্রাকের মত রফতানি হয়। আর বন্দর থেকে ৫শ’ ট্রাক পণ্য খালাস হয়। আমদানি পণ্য থেকে দিনে সরকারের রাজস্ব আসে ৩০ কোটির মত। আমদানি-রফতানি গতিশীল করতে বেনাপোল বন্দরে সপ্তাহে ৭ দিনে ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্য সেবার কথা থাকলেও নানান প্রতিবন্ধকতায় সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন বন্ধ থাকে আমদানি-রফতানি ও পণ্য খালাস কার্যক্রম।
;
আরও ৫ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
ছবি: ফাইল ছবি
২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই আবারো মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৫ সদস্য।
রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতের দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং খারাংখালী এবং ঝিমংখালী সীমান্ত দিয়ে জীবন বাঁচাতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছেন।
এর আগে একইদিন সকালে খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রসহ মিয়ানমার বর্ডারগার্ড পুলিশের ৯ জন সদস্য আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
এ নিয়ে একদিনে মোট ১৪ জন বিজিপি সদস্য টেকনাফের খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
নতুন আরও কয়েকজন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে জানিয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভাষা সমস্যাসহ নানা কারণে আমরা সম্পূর্ণ পরিচয় নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে যেটুকু তথ্য সংগ্রহ করেছি তাতে সকলেই মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশের সঙ্গে যুক্ত বলে জেনেছি। বিজিপির সদস্যরা আমাদের হেফাজতে রয়েছেন।
এর আগে ৩০ মার্চ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু কোনাপাড়া সীমান্ত দিয়ে ৩ সেনা সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। এছাড়া ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিল ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ -বিজিপি সদস্যরা। এরাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রয়েছেন। তাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন বিজিপি সহ ৩৩০ জন। যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। এদের ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।
;
গণপরিবহন সংকটে ঢাকায় ফেরা মানুষ!
ছবি: বার্তা ২৪
পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে কর্মস্থলে যোগ দিতে রাজধানী আসতে শুরু করেছে মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করেও ঢাকায় প্রবেশ করছে কর্মজীবিরা। তবে ঢাকায় আসতে ভোগান্তি না হলেও নগরীতে গণপরিবহন সংকটে ভুগছে ঢাকায় ফেরা মানুষ।
বাড়ি থেকে ফেরা মানুষের অভিযোগ, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভাড়ায় গেছেন নগরের বাসগুলো। এতে রাজধানীর সড়কে নেই গণপরিবহনের দৌরাত্ম। এক সাথে অনেক মানুষ ঢাকায় ফেরায় পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় মিলেছে এর সত্যতাও। সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রায় ২ শতাধিক বাস গাবতলীতে দেখা গেলেও নগরের অভ্যন্তরীণ রুটগুলোর বাস দেখা মিলেছে হাতে গোনা কয়েকটি। দুই একটি বিভিন্ন রুটের বাস আসলেও সেগুলোতে ছিল অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ।
গণপরিবহন কম থাকায় অতিরিক্ত সুবিধা নিচ্ছেন সিএনজি ও পাঠাওগুলো। বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আছে অটোরিকশা ও রিকশাতেও।
প্রদীপ বিশ্বাস নামের একজন বলেন, ৮টা থেকে দাঁড়ায় আছি। কিন্তু বাসে উঠতে পারছিনা। ২০০ টাকার ভাড়া সিএনজি চাচ্ছেন ৫০০ টাকা। নির্দেশনা না মেনে বাসগুলো বাইরের রিজার্ভ যাওয়ায় এই ভোগান্তি পেতে হচ্ছে।
রাখিবা আক্তার জীম নামের এক তরুণী বলেন, আমি প্রায় ১ ঘণ্টা যাবৎ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। ব্যাগ, লাগেজ নিয়ে বাসে উঠতে পারছি না। মিরপুর ১০ এ যাব। সিএনজি ভাড়া ১০০ টাকা বা ১৫০। কিন্তু এরা ভাড়া চাচ্ছে ৫০০ টাকা। এভাবে তো হতে পারে না। প্রতিবার আমাদের এই ভোগান্তি পেতে হয়। দূরপাল্লার বাস সংকট নেই। কিন্তু নগরীর বাসের সংকট এটা ভাবার বিষয়।
এদিকে পূর্বের ব্যস্ততা ফিরছে রাজধানীতে। গত দুই দিনে প্রায় কোটি মানুষের ফিরেছে ঢাকায়। ফলে যানজটও বেড়েছে। যানজট নিরসনে বেগ পেতে হচ্ছে দায়িত্বরতদের।
ট্রাফিক পুলিশ রবিউল ইসলাম বলেন, ভোর ৫টা থেকে গাড়ি ঢুকছে। ৭টার দিকে চাপ বাড়ে। এখন ক্রমশ গাড়ি ঢুকছে ঢাকায়। আমাদের সন্দেহ মনে হলে জিজ্ঞাসা করে কাগজ পত্র চেক করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়েনি।
;
ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ, গণপরিবহনের ভোগান্তি
ছবি: বার্তা ২৪
কর্মস্থলে যোগ দিতে ঈদুল ফিতর ও বৈশাখের আমেজ শেষে রাজধানীতে আসতে শুরু করেছে মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করেও ঢাকায় প্রবেশ করছেন কর্মজীবীরা।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় দেখা গেছে ভোর থেকে দূরপাল্লার বাস ঢুকছে ঢাকায়। বাস থেকে নেমে সিএনজি, অটো মোটরবাইক যোগে নিজ গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছে সবাই। তবে গত কয়েক বছরের মতো চাপ নেই গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে। বাস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রত্যাশার ৬০ শতাংশ মানুষ এই রুটে ঢাকা ফিরছেন।
এদিকে বাড়ি থেকে কর্মমুখী মানুষ ঢাকায় ফেরায় ফাঁকা নগরীতে ফিরেছে ব্যস্ততা। তবে গণপরিবহন সংকট থাকায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে ঢাকায় ফেরা মানুষদের। এতে দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেক কে।
ঠাকুরগাঁও রানিসংকৈল থেকে হানিফ বাসে এসেছেন কামরুল হাসান। রাস্তায় তেমন জটিলতা পাননি তিনি। তবে সকাল ৭টায় গাবতলীতে গণপরিবহন না থাকায় প্রায় ৪০ মিনিট রাস্তায় অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে।
কামরুল হাসান বলেন, সারা রাস্তায় স্বস্তিতে আসছি। কোন ঝামেলা হয় নি। তবে ঢাকা ঢুকে একটি জটিলতা পেয়েছি। গাড়ি ছিল না। সিএনজি অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছিলো। তাই ৪০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করছি।
ফাতেমা আক্তার নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, সকালে গণপরিবহন নেই। ঢাকা ফাঁকা থাকায় বাসও তেমন নাই রাস্তায়। এই সুযোগ টা কাজে লাগাচ্ছে সবাই। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এ ছাড়া আর কোন ভোগান্তি পাইনি।
গাবতলী বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মোস্তাফিজ বিল্লাহ বলেন, আমাদের কাঙ্ক্ষিত যাত্রী যাওয়ার সময়ও মেলেনি। আসার সময়ও নেই। মানুষ ট্রেনের টিকিট বেশি নিচ্ছে। ফলে কিছুটা সংকট বাস সেক্টরে আছে।
এদিকে একের পর এক দূরপাল্লার বাস ঢুকছে রাজধানীতে। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বরতরা বলছেন, প্রতি ঘণ্টায় ২ শতাধিকে বেশি বাস ঢাকায় প্রবেশ করছে। এতে সময়ের সাথে ফাঁকা রাজধানীর যানজট বাড়ছে। বসে থাকা গণপরিবহনগুলোও সড়কে নামছে। ফলে যানজট নিরসনে কিছুটা চাপ নিতে হচ্ছে ট্রাফিকের দায়িত্বরতদের।
গাবতলী মাজার রোডে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ রবিউল ইসলাম বলেন, ভোর ৫টা থেকে গাড়ি ঢুকছে। ৭টার দিকে চাপ বাড়ে। এখন ক্রমশ গাড়ি ঢুকছে ঢাকায়। আমাদের সন্দেহ মনে হলে জিজ্ঞাসা করে কাগজ পত্র চেক করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়েনি।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।