সারাদেশ

শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, চট্টগ্রামে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ডেস্ক রিপোর্ট: শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, চট্টগ্রামে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে নিয়ে কটূক্তির মামলায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবীর শুনানি শেষে এ পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার তানিম বাদী হয়ে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলার আবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের ১ জুন আসামি ছাত্র যুব অধিকার পরিষদের নামে সমাবেশ ডেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীকে (সাবেক উপমন্ত্রী) বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি করেছেন। এরপর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করেছেন। যে ভিডিওতে শিক্ষামন্ত্রীকে ‘গুন্ডাবাহিনী বলে সম্বোধন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১৪ জুন মামলাটি দায়ের করা হলে ২৮ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।

বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্তভার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দিলে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আজ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এবার ঈদে মানুষ চরম দুর্দশায় দিন কাটিয়েছে: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দেড় দশক ক্ষমতায় থেকে জনগণের পকেট কাটার কারণে দেশে হাহাকার পড়েছে। অনাহার—অর্ধাহারে ক্ষুধার্ত মানুষ এবারের ঈদে চরম দুর্দশায় দিন কাটিয়েছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বাজারে আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতির কারণে ভাত—তরকারি জোগাড় করা যেখানে কষ্টকর সেখানে ঈদের পোশাক কিনবে কিভাবে?’ তিনি বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত একজন গার্মেন্ট শ্রমিক নিজের শিশু সন্তানের জন্য ফুটপাত থেকে জামা কিনতে পারেনি। চট্টগ্রামে ঈদ বাজারে গত বছরের তুলনায় এবার ৩০ শতাংশ কেনাকাটা কমেছে। এই পরিস্থিতি সারা দেশে। ঢাকাতে ধনীদের কেনাকাটা বাড়লেও নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। কাপড় ব্যবসায়ীরা শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবী তাদের টার্গেটের অর্ধেকও বিক্রি করতে পারেনি। অনেক ব্যবসায়ী ঈদের প্রাক্কালে বাকিতে কাপড় নিয়ে বিক্রি করার পর তার টাকা পরিশোধ করে। এখন তাদের কপালে হাত।

তিনিও বলেন, আওয়ামী নেতাদের অনেকেই বলেছেন, দেশে বিত্তশালীদের সংখ্যা বেড়েছে, যারা মূলতঃ বেনজীর শ্রেণির। এখন প্রশ্ন হচ্ছে—এই বিত্তশালী কারা? এই বিত্তশালী শ্রেণি হচ্ছে বেনজীর শ্রেণি—যারা বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীদের গুম, খুন করে প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। এছাড়া মেগা প্রজেক্ট ও অবাধে ব্যাংক লুটের কথা এখন কল্পকাহিনীতে পরিণত হয়েছে যা অতিবাস্তব। এটা বাস্তব সত্য যে, দুর্নীতির সঙ্গে ক্ষমতার ওপরের দিকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। অত্যাচারী শাসকের পদতলে পিষ্ট আজ বাংলাদেশ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক, আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইঁয়া, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক সরফুদ্দিন আহমেদ সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল আলম তেনজিং, রফিকুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম প্রমুখ।

;

বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মাজা ভেঙে গেছে: হানিফ

ছবি: বার্তা২৪.কম

এদেশের মানুষ জানে, নেতাকর্মীরাও জানে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মাজা অনেক আগেই ভেঙে গেছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, মাজা ভাঙা বলেই তারা ঘরে উঠে গেছে, তারা আবার কিভাবে মাজা সোজা করে দাঁড়াবে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শহরের পিটিই রোডে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন ।

তিনি বলেন, বিএনপির সাবেক নেতা কর্নেল অলি আহম্মেদ এক জনসভায় বলেছিলেন খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া মিলে দেশটারে খাইলো। আরও বলেছিলেন এই দুজনই দেশ ধ্বংসের মূল কারণ। যেখানে তাদের দলের এক সময়ের নেতা এসব কথা বলেছিলেন সেখানে মির্জা ফখরুল ইসলামরা নতুন করে পুত-পবিত্র সাধু সেজে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এটা করে কোনো লাভ নেই।

তিনি আরও বলেন, কোথাও যুদ্ধ হোক এটা আমরা সমর্থন করি না। আমরা চাই গোটা পৃথিবীই শান্তিপূর্ণ থাকুক। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদ করেছি, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধেরও বিপক্ষে ছিলাম। আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হোক।

এসময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

জেলে থাকা ৬০ লাখ লোকের তালিকা দিন, বিএনপিকে ওবায়দুল কাদের

ছবি: বার্তা ২৪

অধিকাংশ নেতাকর্মী জেলে বিএনপির এমন দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৬০ লাখ লোকের তালিকা চাই। ছিলো ২০ হাজার এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কি করে? ৬০ লাখ বন্দীর তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুল কে ক্ষমা চাইতে হবে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, সেই দিনটিকে তারা অস্বীকার করে। ১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন হয় সেটা অস্বীকার করে। স্বাধীকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ জুন অস্বীকার করে। বিএনপির কাছ থেকে বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। 

বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। ৭১ এ তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফু দিলে অমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন। ২৪ বছরের যে আন্দোলন এসবের কোন দাম নেই?

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

লাখো মানুষের ভালবাসায় সিক্ত ছাত্রদল সভাপতি রাকিব

লাখো মানুষের ভালবাসায় সিক্ত ছাত্রদল সভাপতি রাকিব

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, লাখো মানুষের ভালোবাসায় আমি সিক্ত হয়েছি। যেহেতু আমি মুক্তাগাছার সন্তান, তাই আপনাদের কাজে আমার একটা দাবি; আগামীতে স্বৈরাচারী সরকার পতনের যে আন্দোলন আসবে আপনারা দলমত নির্বিশেষে রাজপথে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখবেন। মনে রাখবেন, বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে। এ জন্য সবাইকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার বানারপাড়ে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিবের মুক্তাগাছায় আগমন উপলক্ষে উপজেলা ছাত্রদল, যুবদল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মনতলা বাজার সংলগ্ন ব্রিজ এলাকায় বিকাল ৪টায় ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও ময়মনসিংহ জেলার নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি সহস্রাধিক মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে মিছিল ও স্লোগানে স্লোগানে রাকিবকে তার গ্রামের বাড়ি কাশিমপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সময় রাস্তার দুপাশে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ, শুভাকাঙ্ক্ষী ও দলীয় সমর্থকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া উপজেলার নতুন বাজার, ভাবকীর মোড়, কালিবাড়ী এবং বানারপাড় এলাকায় একাধিক পথসভায় অংশ নেয় রাকিব।

এ সময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীসহ ময়মনসিংহ জেলা এবং মুক্তাগাছা উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রাকিবের বাড়িতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, মতবিনিময় ও গণভোজের আয়োজন করা হয়।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *