দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনগণের স্বস্তি ফিরে এসেছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট: সাংগ্রাইমা ঞি-ঞি ঞা-ঞা রিকজাইগাইপামে/ওও ঞি কো রো ওও মি ও রো/ লাগাই লাগাই/ চুইপ্যগাইমেলেহ। অর্থাৎ বাংলা নববর্ষে সবাই মিলে একসঙ্গে জল খেলিতে যায়, ও ও ভাইয়েরা ও ও বোনেরা, খুশিতে মিলিত হও।
মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই জল উৎসবের অন্যতম জনপ্রিয় গানটি গেয়ে যখন মারমা শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করলেন ঠিক সেই সময়ে হাজার হাজার মানুষের কলরবে মুখরিত হয়ে ওঠে চিংম্রং বৌদ্ধ বিহার মাঠ। এভাবেই তারা প্রাণের উৎসবে মিলিত হয়েছেন।
নববর্ষকে বরণ এবং পুরানো বর্ষকে বিদায় উপলক্ষে মারমা যুবক যুবতীরা একে অপরের প্রতি জল ছিটিয়ে পুরোনো বছরের দুঃখ, গ্লানি, বেদনাকে ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে চিংম্রং বৌদ্ধ বিহার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সাংগ্রাই রিলংপোয়ে উৎসব। এ আয়োজন করেছে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী চিংম্রং বৌদ্ধ বিহার এর সাংগ্রাই রিলংপোয়ে উদযাপন কমিটি।
এই উপলক্ষে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সাংগ্রাই র্যালি, আলোচনা সভা এবং জলকেলি অনুষ্ঠিত হয়। এইসময় পার্বত্য চট্টগ্রামসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা হতে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে।
সাংগ্রাই রিলংপোয়ে উৎসব উপলক্ষে বিহার সংলগ্ন মাঠে এদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার।
এসময় তিনি বলেন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন উৎসবে মেল বন্ধন হয়, এটাই আমাদের সংস্কৃতির প্রধান অনুষঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেন, এই দেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। তিনি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে সবসময় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকেন।
জল উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ্যাডভোকেট হ্লাথোয়াই মারমা এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই ৪১ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্নেল আমীর হোসেন মোল্লা, কাপ্তাই ৫৬ বেঙ্গল এর অধিনায়ক লে: কর্নেল নুর উল্লাহ জুয়েল, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো মহিউদ্দিন, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য প্রকৌশলী থোয়াইচিং মং মারমা, রাজস্থলী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল আহমেদ ভুইঞা। পরে অতিথিরা বিহার সংলগ্ন মাঠে জলকেলি উৎসবের উদ্বোধন করেন।
জলকেলি উদ্বোধন শেষে মনোমুগ্ধকর মারমা সম্প্রদায়ের নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা।
মূলত ১৫ এপ্রিল মূল সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন হলেও গত ১৩ এপ্রিল হতে চিংম্রং এলাকায় বসে বৈশাখী মেলা। দূর দূরান্ত হতে হরের রকম পণ্য নিয়ে প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা তাদের পসরা সাজিয়েছেন বিহার সংলগ্ন মাঠে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।