খেলার খবর

বিফলে মুশফিকের সেঞ্চুরি, আবাহনীর দশে দশ

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছে আবাহনী। তামিম-মুশফিকদের প্রাইম ব্যাংককে ৫৮ রানে হারিয়ে দশে দশ পূর্ণ হয়েছে তাদের।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় আবাহনীকে। এনামুল হক বিজয় এবং নাঈম শেখের উদ্বোধনী জুটিতেই ১১০ রান পেয়ে যায় তারা। ৪৫ রান করে বিজয় রানআউট হলে ভাঙে সে জুটি। তবে নাঈম আপন গতিতে ব্যাট করে তুলে নেন সেঞ্চুরি।

অবশ্য সেঞ্চুরির আগেই ফিরতে পারতেন নাঈম, তবে তার বিরুদ্ধে ‘অনেকটা নিশ্চিত’ এলবিডাব্লিউর সিদ্ধান্ত দেননি আম্পায়ার আসাদুর রহমান। সে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে একচোট বচসাও হয় আম্পায়ারদের, খেলাও কিছু সময় বন্ধ থাকে।

জীবন পেয়ে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম। তিনে নেমে তিন অঙ্কের দেখা পান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। তার ব্যাটে আসে ১১৮ রান। জোড়া সেঞ্চুরির সঙ্গে তাওহিদ হৃদয়ের ৩৫ বলে ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংসে চড়ে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৪১ রানের পাহাড় গড়ে আবাহনী।

বোলারদের খরুচে দিনে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ দুই উইকেট পান হাসান মাহমুদ।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হতাশ করেন তামিম। ৭ বলে ১ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে নাঈম শেখের ক্যাচ হন প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক। অন্য ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৫৬ রান করে প্রাইমের রানের গতি সচল রাখেন।

এদিকে চোট থেকে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পান অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। প্রাইম ব্যাংকের মিডল অর্ডারের অন্য ব্যাটাররা তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে না পারলে একাই লড়াই চালিয়ে যান। ১০৫ বলে ১৪ চারে অপরাজিত থাকেন ১১১ রানে।

তবে শেষ পর্যন্ত তার সে ইনিংস প্রাইম ব্যাংকের জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। ৪৯.৪ ওভারে ২৮৩ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।

আবাহনীর পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে  উইকেট পান জাতীয় দলের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ এবং তানজিম হাসান সাকিব। ম্যাচসেরা হয়েছেন আবাহনীর সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *