সারাদেশ

প্রার্থী অপহরণ, ফেঁসে যাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রার্থী অপহরণ, ফেঁসে যাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক

ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসনেকে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনার সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব।

ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। সেখানে ঘটনার সতত্য মিলেছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে কমিশন সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। কমিশন পর্যালোচনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

এর আগে, সোমবার (১৪ এপ্রিল) নাটোর জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ার‌ম্যান প্রার্থী দোলায়ার হোসেনকে একটি কালো গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে মেরে প্রার্থীর বাড়ির পাশে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।

ভুক্তভোগী প্রার্থীর পরিবার এই ঘটনার জন্য আরেক প্রার্থী লুৎফুল হাবীব ও তার সমর্থকদের দায়ী করেন। দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে লুৎফুল হাবীব ছিলেন একক প্রার্থী।

অপহরণ ও মারধরের ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে স্বপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু টানেলে টোল আদায় ৮১ লাখ টাকা

ফাইল ছবি

ঈদের ছুটিতে গত এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে ৩৩ হাজার ৭৭৩টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ৮০ লাখ ৯৭ হাজার ৭৫০ টাকা। তবে এই যানবাহনের মধ্যে অধিকাংশই পর্যটকবাহী। পর্যটকবাহী এই গাড়িগুলো ঈদের দিন থেকে চলাচল করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্রাপিক) তানভীর রিফা জানান, ঈদের আগে ও পরে এক সপ্তাহে টানেল দিয়ে যান চলাচল ও টোল আদায়ের তথ্য এটি। এদিকে ঈদযাত্রায় টানেল ব্যবহার নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেক যাত্রী।

ঢাকা থেকে আসা বাসযাত্রী নাজমুল ইসলাম বলেন, কোনো যানজট ছাড়াই চট্টগ্রামের এক প্রান্ত থেকে মাত্র তিন মিনিটে অন্য প্রান্তে চলে এসেছি, ঢাকা থেকে সাত ঘণ্টার মধ্যে কক্সবাজার পৌঁছে যাব।

আরিফুল ইসলাম নামে আরেক যাত্রী জানান, টানেল হয়ে আনোয়ারা প্রান্তে এসে আবার পটিয়া সড়ক দিয়ে যেতে হয়, এতে ভোগান্তি বেশি। তাই আনোয়ারা থেকে বাঁশখালী-পেকুয়া হয়ে কক্সবাজারের সড়ক হলে ভোগান্তি ছাড়া দ্রুত সময়ে কক্সবাজার টেকনাফে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই টানেল উদ্বোধনের পর দৈনিক ১৭ হাজার ২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচলের সংবাদ প্রচার করা হয়। এতে বছরে ০.১৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়াতেও সাহায্য করবে বলে সেতু মন্ত্রণালয় জানায়। তবে টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে সড়কের কাজ সম্পন্ন না হওয়া এবং টানেল নিয়ে বিকল্প নতুন সড়ক না হওয়ায় যানবাহন চলাচল বাড়ছে না। এতে করে টানেলের কাঙ্খিত আয়ও পূরণ হচ্ছে না বলে জানা যায়।

;

বাংলাদেশে আশ্রয় নিল আরও ১৬ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী

বাংলাদেশে আশ্রয় নিল আরও ১৬ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী

৩৩০ জন বিজিপি সদস্যকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর পর আবারও কয়েক ধাপে নতুন করে ২শ’ এর অধিক মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এবং সেনা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও তারা বাংলাদেশের আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আশ্রয় নিতে বাংলাদেশে প্রবেশ করল মিয়ানমারের ১৬ সীমান্তরক্ষী ও সেনা সদস্য। গত তিন দিনেই ৩২ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি ও সেনা সদস্য অনুপ্রবেশ করেছেন এপারে।

এরমধ্যে টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ১৮ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি অনুপ্রবেশ করেন। এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ১৪জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি এপারে পালিয়ে আসেন। এসব সদস্যদের নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আজ সকাল দশটার দিকে ঘুমধুমের রেজু আমতলী সীমান্ত দিয়ে ২ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি এপারে পালিয়ে আসেন। বর্তমানে ঘুমধুম বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া ভোরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আছাড়তলী সীমান্ত দিয়ে ১০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি এপারে অনুপ্রবেশ করেন। পরে টেকনাফের ঝিমংখালী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ৪ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি পালিয়ে আসেন।

এর আগেও ১৭৭ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তারা সকলেই বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে ১৫ দিন পর কক্সবাজারের ইনানী নৌবাহিনীর জেটি ঘাট দিয়ে সাগরপথে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

;

বান্দরবানে সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ ৮ সন্ত্রাসী আটক

বান্দরবানে সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ ৮ সন্ত্রাসী আটক

বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৮ সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বান্দরবান রিজিয়নের ১৬ ইস্ট বেঙ্গলের ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সুংসাং পাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীব।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়নের অন্তর্গত ১৬ বেঙ্গল কর্তৃক ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করে। কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়। পরে সেনা সদস্যদের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।

আটক সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে নয়টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্তুজ, দুটি মোবাইল ফোন এবং দুটি আইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে, বান্দরবানে সন্দেহভাজন কেএনএফ’র এক সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মাইসুমা সুলতানা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সন্দেহভাজন কেএএনএফ সদস্য হলো হাও লিয়ান বম (৬৭)। তিনি বান্দরবান সদরের লাইমিপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

এ পর্যন্ত মোট ৬২ জন কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৬৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

বিদেশে কর্মী প্রেরণে রিক্রুটিং এজেন্সিকে মানবিক হওয়ার আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশে কর্মী প্রেরণে রিক্রুটিং এজেন্সিকে অবশ্যই মানবিক দিক বিবেচনা করতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন আরও উজ্জ্বল হয় তা বিবেচনা করে দক্ষ কর্মী প্রেরণ করতে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিক/কর্মীদের ন্যূনতম বেতন-ভাতা ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বায়রা এ মন্ত্রণালয়ের প্রধান অংশীজন জানিয়ে শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, আপনারা বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন কাঠামো সংক্রান্ত বিষয়ে যৌক্তিক প্রস্তাব প্রেরণ করবেন। ন্যূনতম বেতনের বিষয়ে মন্ত্রণালয় কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। পাশাপাশি, আমরা আরও কম অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ করতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশে কর্মী প্রেরণের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মন্ত্রণালয়ের সাথে বায়রাকে একসূত্রে কাজ করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও এর অংশীজনবৃন্দ সমন্বিতভাবে কাজ করলে মন্ত্রণালয়ের সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দ্রুত সময়ে একটি স্মার্ট মন্ত্রণালয় তৈরি করতে পারবো।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দক্ষ কর্মী পাঠানোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ লক্ষ্যে আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে আধুনিক ও যুগোপযোগি যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, জনশক্তি কমর্সংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, বায়রার মহাসচিব মো. আলী হায়দার চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *