সারাদেশ

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ইউপি সদস্য আহত

ডেস্ক রিপোর্ট: অচিরেই পায়রা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ‘ইকোনমিক হাবে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফরের সাথে বৈঠককালে বন্দর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

পায়রা বন্দর দক্ষিণ অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান আল মামুন চৌধুরী বলেন, পায়রা বন্দরটি বাংলাদেশের কেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় একটি আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর হিসেবে এটি ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্দরটি মূল সমুদ্র থেকে খুব কাছে এবং বড় মাদার ভ্যাসেল সহজেই এই বন্দরে আগমন করতে পারে।

এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান পায়রা বন্দরে বিনিয়োগ করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত এর বিনিয়োগকারীদের অনুরোধ জানানোর জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলটি খুবই প্রশস্ত এবং সমগ্র চ্যানেলে ন্যূনতম ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীরতা রয়েছে, যা দেশের অন্য বন্দরগুলোর তুলনায় বেশি। পায়রা বন্দর দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পায়রা বন্দরটি প্রতিষ্ঠা করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি দূরদর্শী ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর জানান, পোর্ট সেক্টরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পায়র বন্দর এখন একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় সেক্টর। তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দুবাইয়ের সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান। পায়রা বন্দরে কেমিক্যাল ও পেট্রোলিয়ম স্টোরেজ সুবিধাদি খাতে দুবাইয়ের বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করতে পারেন বলে তিনি জানান, যেমনটি দুবাই সরকার ইতিপূর্বে সিঙ্গাপুরে করেছে।

এছাড়াও পায়রা বন্দরে বন্দর ব্যবস্থাপনা খাতে দুবাই কর্তৃক আরও কোন কোন জায়গায় বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে সে বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের অবহিত করতে শীঘ্রই পায়রা বন্দর থেকে একটি প্রতিনিধি দল সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করতে পারে বলে রাষ্ট্রদূত মতামত প্রকাশ করেন।

এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করেন এবং এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে জানান। পায়রা বন্দর পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ দূতাবাস, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং অদূর ভবিষ্যতে পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী অঞ্চলটি দ্বিতীয় সিঙ্গাপুরে রূপান্তরিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

সভায় বন্দর চেয়ারম্যান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- কমান্ডার মাহমুদুল হাসান খান (চিফ হাইড্রোগ্রাফার, পাবক), মূর্শিদুল ইসলাম (পরিচালক প্রশাসন, পাবক), ক্যাপ্টেন এস এম সরিফুর রহমান (হারবার মাস্টার, পাবক), লে. কমান্ডার রিফাত মাহমুদ, (উপ পরিচালক নিরাপত্তা, পাবক), মো. আজিজুর রহমান (উপ পরিচালক ট্র্যাফিক), অমিত চক্রবর্তীসহ (যুগ্ম পরিচালক, এস্টেট, পাবক) অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *