সারাদেশ

কেএনএফ’র আরও ২ সদস্য কারাগারে

ডেস্ক রিপোর্ট: কেএনএফ’র আরও ২ সদস্য কারাগারে

কেএনএফ’র আরও ২ সদস্য কারাগারে

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় কেএনএফ সন্দেহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক আরও ২ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে বান্দরবান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোসাইনের আদেশের প্রেক্ষিতে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের।

আসামিরা হলেন, বান্দরবান সদরের ৪নং সুয়ালক ইউপির ৬নং ওয়ার্ড ফারুক পাড়া এলাকার লাল টুয়ান বমের ছেলে টাইসন বম (২৩) ও সানকিম বমের ছেলে ভান খলিয়ান বম (৩৭)।

আদালতের জিআরও বিশ্বজিত সিংহ জানান, থানচিতে ব্যংক ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ পর্যন্ত মোট ৬৪ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ীর চালকসহ মোট ৬৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জন নারী রয়েছেন।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন

সিরাজগঞ্জে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন

সিরাজগঞ্জে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের পটভূমি ও তাৎপর্যের উপর ভিত্তি করে “মুজিবনগর দিবস” এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) জেলা প্রশাসন আয়োজনে সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহিদ এ.কে. শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন-সিরাজগঞ্জ-২ (সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরী তালুকদার৷

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সরকারের অগ্রগণ্য অবদান রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালে প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে বহিঃবিশ্বে যোগাযোগ স্থাপন ও যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে “মুজিব নগর সরকার” গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বেই বাঙালির স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু হয়। আর এরই ধারাবাহিকতায় গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালের ১৭ মার্চ এই দিনেই শপথ গ্রহণ করেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী ও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে তারা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। আমাদের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে এবং তাদেরকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। বাঙালি জাতির প্রকৃত ইতিহাস জানলে আজকের শিশুরা দেশ প্রেমিক হয়ে উঠবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কে. এম. হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. আব্দুস সামাদ তালুকদার, সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু ইউসুফ সূর্য, মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক আলী, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল মতিন মুক্তা, মুক্তিযোদ্ধা ফজলার রহমান ফজলু, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি, মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলী প্রমুখ।

এসময়ে অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, মুক্তিযোদ্ধাগণ, আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুধীজন, গুণীজন এবং প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

সিজারিয়ান প্রসবের ওপর বিধি-নিষেধ চায় মানবাধিকার কমিশন

ফাইল ছবি

দেশে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সিজারিয়ান প্রসবের হার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে মর্মে একটি পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। প্রয়োজন ছাড়া শিশু জন্মে অস্ত্রোপচার করা মা ও নবজাতকের জন্য মারাত্বক হুমকিস্বরূপ। সিজারিয়ান প্রসবের হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার প্রকৃত কারণ কী তা খতিয়ে দেখা এবং সিজারিয়ান প্রসবের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন মনে করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় মানবাধিকার কমিশ জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৩ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘গর্ভবতী মাকে মিডফোর্ড হাসপাতাল থেকে বের করে দিলেন গাইনী চিকিৎসক’ শিরোনামে লেখাটি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের মাধ্যমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়।

সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, রাজধানীর শ্যামপুর থেকে এক গর্ভবতী নারী মিডফোর্ড হাসপাতালে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সবকিছু ঠিক আছে মর্মে স্বাস্থ্যকর্মী জানান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তার আর্থিক অবস্থার কথা জিজ্ঞাসা করেন এবং সিজার করতেই হবে বলে জানান। কিন্তু গর্ভবর্তী নারীর পূর্বে দুটি সন্তান স্বাভাবিক ডেলিভারি হয়েছে উল্লেখ করেন এবং সিজার করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এতে সে চিকিৎসক ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর উপর নানা প্রকার মানসিক চাপ তৈরি করেন। চিকিৎসক আপত্তিকর মন্তব্যসহ হয়রানিমূলক কথা বলেন মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তী সময়ে উক্ত নারীর মুগদা নবস্বাস্থ্য নামক একটি সরকারি হাসপাতালে স্বাভাবিক ডেলিভারি হয়।

পাশাপাশি গত বছরের ১০ জুন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার অনলাইনে “শিশু জন্মে অস্ত্রোপচার যেন সুনামির মতো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদে উল্লেখ করা হয়, পেশাজীবী চিকিৎসকদের সংগঠন অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) ৩১তম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের একটি অধিবেশনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেছেন, দেশে শিশু জন্মে অস্ত্রোপচার যেন সুনামির মতো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অস্ত্রোপচার বাড়ছে। দুটি শিশু জন্মের একটি হচ্ছে অস্ত্রোপচারে। এতে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। বাড়ছে স্বাস্থ্য ব্যয়।

স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দেশে সিজারিয়ান প্রসবের হার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে মর্মে পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। প্রয়োজন ছাড়া শিশু জন্মে অস্ত্রোপচার করা মা ও নবজাতকের জন্য মারাত্বক হুমকিস্বরূপ। যেখানে স্বাস্থ্য খাতে প্রতি বছর সরকারকে বিপুল পরিমাণে অর্থ ভর্তুকি প্রদান করতে হয়, সেখানে মিডফোর্ডের মতো একটি স্বনামধন্য হাসপাতালে চিকিৎসক কর্তৃক সিজার করতে চাপ প্রয়োগ করার বিষয়টি কমিশনের নিকট বোধগম্য নয়। এরূপ সিজারিয়ান প্রসবের হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার প্রকৃত কারণ কী তা খতিয়ে দেখা এবং সিজারিয়ান প্রসবের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন মর্মে কমিশন মনে করে।

এ অবস্থায়, মিডফোর্ড হাসপাতালের বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করতে পরিচালক, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিডফোর্ড) হাসপাতাল -কে বলা হয়েছে। একইসাথে প্রসবে অপ্রয়োজনীয় সিজার/সি-সেকশন বন্ধ, এ লক্ষ্যে নারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সিজারিয়ান প্রসবের হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির পেছনে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।

;

সিজারিয়ান প্রসবের ওপর বিধি-নিষেধ চায় মানবাধিকার কমিশন

ছবি: সংগৃহীত

সিজারিয়ান প্রসবের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৩ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিক মোহসিন কবিরের ‘গর্ভবতী মাকে মিডফোর্ড হাসপাতাল থেকে বের করে দিলেন গাইনি চিকিৎসক’ শিরোনামে লেখাটি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের মাধ্যমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়।

সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, রাজধানীর শ্যামপুর থেকে এক গর্ভবতী নারী মিডফোর্ড হাসপাতালে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সবকিছু ঠিক আছে মর্মে স্বাস্থ্যকর্মী জানান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তার আর্থিক অবস্থার কথা জিজ্ঞাসা করেন এবং সিজার করতেই হবে বলে জানান। কিন্তু গর্ভবর্তী নারীর পূর্বে দুটি সন্তান স্বাভাবিক ডেলিভারি হয়েছে উল্লেখ করেন এবং সিজার করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এতে ওই চিকিৎসক ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর ওপর মানসিক চাপ তৈরি করেন। চিকিৎসক আপত্তিকর মন্তব্যসহ হয়রানিমূলক কথা বলেন মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ওই নারী মুগদা নবস্বাস্থ্য নামক একটি সরকারি হাসপাতালে স্বাভাবিক ডেলিভারি হয়।

আরও বলা হয়, গত বছরের ১০ জুন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার অনলাইনে ‘শিশু জন্মে অস্ত্রোপচার যেন সুনামির মতো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদে উল্লেখ করা হয়, পেশাজীবী চিকিৎসকদের সংগঠন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) ৩১তম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের একটি অধিবেশনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেছেন, দেশে শিশু জন্মে অস্ত্রোপচার যেন সুনামির মতো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অস্ত্রোপচার বাড়ছে। দুটি শিশু জন্মের একটি হচ্ছে অস্ত্রোপচারে। এতে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। বাড়ছে স্বাস্থ্য ব্যয়।

স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দেশে সিজারিয়ান প্রসবের হার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে মর্মে পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। প্রয়োজন ছাড়া শিশু জন্মে অস্ত্রোপচার করা মা ও নবজাতকের জন্য মারাত্বক হুমকি স্বরূপ। যেখানে স্বাস্থ্য খাতে প্রতি বছর সরকারকে বিপুল পরিমাণে অর্থ ভর্তুকি প্রদান করতে হয়, সেখানে মিডফোর্ডের মতো একটি স্বনামধন্য হাসপাতালে চিকিৎসক কর্তৃক সিজার করতে চাপ প্রয়োগ করার বিষয়টি কমিশনের নিকট বোধগম্য নয়। এরূপ সিজারিয়ান প্রসবের হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার প্রকৃত কারণ কী তা খতিয়ে দেখা এবং সিজারিয়ান প্রসবের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন মর্মে কমিশন মনে করে।

এ অবস্থায়, মিডফোর্ড হাসপাতালের বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করতে পরিচালক, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিডফোর্ড) হাসপাতালকে বলা হয়েছে। একইসাথে প্রসবে অপ্রয়োজনীয় সিজার/সি-সেকশন বন্ধ, এ লক্ষ্যে নারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সিজারিয়ান প্রসবের হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির পেছনে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।

;

অবৈধ অস্ত্রধারীদের ছাড় দেয়া হবে না: র‍্যাব মহাপরিচালক

ছবি: বার্তা২৪.কম

স্বাধীন দেশে কোন অবৈধ সংগঠন থাকবেনা, অবৈধ অস্ত্রধারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। তারা যতক্ষণ শান্তির পরে ফিরে না আসবে ততক্ষণ যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।

তিনি বলেন, গজিয়ে ওঠা সশস্ত্র সন্ত্রাসী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’র (কেএনএফ) জন্য শান্তির পথে ফিরে আসতে এখনো আলোচনার পথ খোলা আছে। তারা চাইলে আত্মসমর্পণ করে শান্তির পথে ফিরে আসতে পারে। তাদের জন্য যা যা করা লাগবে সে সবগুলো আমরা করবো।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ৩টায় বান্দরবানের সার্কিট হাউজে এক ব্রিফিং-এ একথা বলেন তিনি।

এর আগে তিনি সকালে রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, অস্ত্র লুটের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর সার্কিট হাউজে জেলার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো খুবই নিন্দনীয় কাজ। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে এবং বিপদগামীরা যতদিন পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না আসে ততদিন পর্যন্ত এই অভিযান চলমান থাকবে।

এছাড়া এই এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি রয়েছে তাদের সাথে কিংবা জেলা প্রশাসক, সেনাবাহিনী, পুলিশ, ডিজিএফআই, এনএসআই,আনসার ও র‍্যাব সদস্যরা রয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে বিপদগামীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন। শান্তি আলোচনার পথ এখনো খোলা রয়েছে। সংঘর্ষ বা সংঘাত কারোই কাম্য নয়, বিপদগামী সকলের শুভবুদ্ধি উদয় হোক এই কামনা করেন তিনি।

আটজন ত্রিপুরাদের গ্রেফতারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে প্রশ্ন করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। কেননা তাদের সাথে সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ থাকতে পারে। তারা চিহ্নিত বা দেখিয়ে দিলে আমাদের জন্য সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান করা আরো সহজ হবে বলে মনে করি।

এসময় তিনি আরও বলেন, তারা যদি আত্মসমর্পণ করতে চায় তাহলে তাদের স্বাগত জানাবো। তাদের পুর্নবাসন করা হবে, সহযোগিতা করা হবে।

র‍্যাবের মহাপরিচালক বলেন, আমরা শান্তি চাই। সরকার প্রধান পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সেনাবাহিনী নিযুক্ত করেছে। যাতে পাহাড়ি অঞ্চলে সকল জাতিগোষ্ঠী শান্তিতে বসবাস করতে পারে। কিন্তু পাহাড়ের অশান্তি সৃষ্টি তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বসে থাকবে না। তাই আমরা চাই তারা শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মাধ্যমে আলোচনায় এসে আবার শান্তির পথে ফিরে আসুক।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস্) কর্নেল মোঃ মাহাবুব আলম, বিজিবি বান্দরবান সেক্টর সদর দপ্তরের কর্নেল সোহেল আহমেদ, ডিজিএফআই এর কর্নেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ জামশেদসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *