আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হবে কি না-ভোট আজ 

ডেস্ক রিপোর্ট: জাতিসংঘের সবচেয়ে ক্ষমতাধর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা পরিষদে পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ফিলিস্তিনের নাম সুপারিশ করা হবে কি না- এ প্রশ্নে আজ ভোট হবে। শুক্রবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেল ৩ টার দিকে হবে ভোট।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের সনদ অনুসারে, কোনো দেশ যদি এই সংস্থার সদস্য হতে চায় সেক্ষেত্রে তাকে প্রথমে আবেদনের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ জোগাড় করতে হয়। আবেদনপত্রের সঙ্গে সেই সুপারিশ সংযুক্ত করলেই কেবল দেশটিকে সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারটি বিবেচনা করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।

শুক্রবারের ভোটে যদি নিরাপত্তা পরিষদের অন্তত ৯টি সদস্যরাষ্ট্র পক্ষে ভোট দেয় এবং স্থায়ী ৫ সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীন- স্থায়ী এই পাঁচ সদস্যরাষ্ট্রের কোনোটিই যদি ভোটের প্রস্তাবে ভেটো না দেয়, তাহলেই নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ অর্জন করতে পারবে ফিলিস্তিন।

উল্লেখ্য, ৮ এপ্রিল নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে মাল্টার জাতিসংঘ দূত ভানেসা ফ্রেজিয়ের জানিয়েছিলেন, জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ফিলিস্তিনের পক্ষে সুপারিশের ব্যাপারে চলতি এপ্রিলেই সিদ্ধান্ত নেবে নিরাপত্তা পরিষদ।

এর আগে, এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার পরিষদের অস্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র আলজেরিয়া ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের সুপারিশ সংক্রান্ত ভোটের একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করে। পরে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ভোটের দিন ঠিক হয়। বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, পূর্ণ সদস্যপদের জন্য বহু বছর ধরে চেষ্টা-তদবিরের পর ২০১১ সালে ‘পর্যবেক্ষক’ হিসেবে জাতিসংঘে প্রবেশের অনুমতি পায় ফিলিস্তিন। এই ক্যাটাগরিভুক্ত দেশ বা ভূখণ্ডগুলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আলোচনা-বিতর্কে যুক্ত হতে পারে, কিন্তু উত্থাপিত কোনো প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই।

পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব জেরুজালেম- এই তিন ভূখণ্ডের সমন্বয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র চায় ফিলিস্তিন। কিন্তু এই ৩টি ভূখণ্ডই ১৯৬৭ সাল থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েল।

শান্তিপূর্ণ দ্বিরাষ্ট্র সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদ গত কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ‘ফিলিস্তিন’ এবং ‘ইসরায়েল’ নামে দু’টি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে সমর্থন ও তৎপরতা জারি রেখেছে। ১৯৯০ সালে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে এ বিষয়ক একটি দলিলে স্বাক্ষরও করেছিল ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা।

গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর ফের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য তৎপরতা শুরু করে ফিলিস্তিন, আর এই তৎপরতার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় শেষ হবে শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের ভোটের মধ্যে দিয়ে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *