সারাদেশ

মেটা AI স্মার্ট নতুন ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ

ডেস্ক রিপোর্ট: টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, করখাত পুনর্গঠনের সাথে সাথে টেলিযোগাযোগ খাত কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে সেই লক্ষে কাজ করতে হবে। রাজস্ব আদায়ের বড় খাত এখন টেলিযোগাযোগ। এই খাতের অবদানকে কীভাবে জিডিপি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সমন্বয় করা যায় তা চিন্তা করতে হবে।

মোবাইল অপারেটরেরা এখন আসলে ডিজিটাল অপারেটর। বিটিআরসিও যেন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা না হয় সেই দিকে খেয়াল করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কমিশনকে উদ্ভাবনী সংস্থা হিসেবে তৈরি হতে হবে। এনবিআরকেও স্মার্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। টেলিযোগাযোগ খাতকে স্মার্ট খাত হিসেবে তৈরি করতে হবে। স্মার্ট ট্যাক্সেশন ইকোসিস্টেম গড়তে কাজ করতে হবে।

রোববার (৭ এপ্রিল) সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ টেলিকম এন্ড টেকনোলজি রিপোটাস নেটওয়ার্ক (টিআরএনবি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) আয়োজিত রাউন্ড টেবিল বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এসব একথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী।

এসময় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, এমটবের প্রেসিডেন্ট ও গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, রবির চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম, গ্রামীণফোনের সিনিয়র ডিরেক্টর (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ) হোসেন সাহাদাত, বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তাইমুর রহমান, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির, ফাইবার@হোমের সিটিও সুমন আহমেদ সাবির উপস্থিত ছিলেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমটের সেক্রেটারি জেনারেল লে: কর্নেল (অব) জুলফিকার আহমেদ। বক্তব্য রাখেন- টিআরএনবি’র সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষে পৌঁছতে হলে টেলিযোগাযোগ খাতের কর পুনর্বিবেচনা করাসহ সবকিছু সহজিকরণ করতে হবে। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে ভিন্ন পৃথিবী দেখবে মানুষ। বাংলাদেশও সেই ভিন্ন পৃথিবীর অংশ হবে।

বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ করনীতি পুনর্গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এমটবের প্রেসিডেন্ট ও গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, শুধু ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি যেন বাদ দেওয়া হয়। স্মার্টফোনকে বাদ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জন কঠিন হবে। তাই মোবাইল ফোনের পেনেট্রেশন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ফোনের ওপর থেকে যৌক্তিক কর ধার্য করা উচিত। সবকিছুতে জটিলতার জায়গা থেকে সহজিকরণ কীভাবে করা যায় সেই চিন্তা করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কর যেন অনেক বড় বোঝা না হয়।

রবির চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম বলেন, করের ক্ষেত্রে শুরুতেই এন্ট্রি ব্যারিয়ার থাকে। যেমন সিম ট্যাক্স শুরুতে ১২০০ টাকা ছিল, যা এখন ১০০ টাকা। অথচ এন্ট্রি ব্যারিয়ার তৈরি না করলে বরং পরবর্তীতে এখান থেকে আরো বেশি কর আদায় সম্ভব। টেলিযোগাযোগ খাতকে স্পেশাল খাত হিসেবে গণ্য করা হলেও স্পেশাল মর্যাদা দেওয়া হয় না। তরঙ্গের ওপর কর বিশ্বের কোথাও নেই। আমাদের এখানে তরঙ্গকে অবকাঠামো হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

গ্রামীণফোনের সিনিয়র ডিরেক্টর (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স) হোসেন সাহাদাত বলেন, এবারের বাজেটে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবো। স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে সম্মিলিতভাবে যাতে এগিয়ে যেতে হবে। কর্পোরেট ট্যাক্সটাকে রেশনালাইজ করা উচিত।

বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তাইমুর রহমান বলেন, স্মার্ট ট্যাক্সেশন তৈরি করতে হবে। ট্যাক্স নেট কীভাবে বাড়াবো সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত চেঞ্জ মেকার। সিগারেট কোম্পানি ও টেলিকম খাতের কর কেন একই হারে হবে। কারণ সিগারেট কোম্পানি স্বাস্থ্যখাতের ব্যয় বাড়াবে। প্রযুক্তি কোনো আলাদা খাত নয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। অমীমাংসিত ইস্যুগুলো যদি সমাধান না হয় তাহলে খাত এগোবে না।

ফাইবার@হোমের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে যাচ্ছি। যে-সব দেশে কর কম সেদেশে জিডিপি তত বেশি। প্রতিটি লেয়ারে আমরা ভ্যাট দিচ্ছি। কর এমনভাবে আরোপ করা হোক যাতে এটি বোঝা না হয়।

লে: কনেল (অব) জুলফিকার আহমেদ বলেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটির পর এবার ডিজিটাল ইকোনমিতে সফলতা চাই। তবে এক্ষেত্রে অনেক ধরনের বাধা রয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ খাতে ৮ম সর্বোচ্চ মোবাইল মার্কেট। ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রায় প্রতি বছর ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। অথচ এই খাতে যৌক্তিক কর আদায় হচ্ছে না। বিশ্বের বহু দেশের চেয়ে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে কর বেশি।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *