আন্তর্জাতিক

‘নিজেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে ইসরায়েল’

ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বুধবার (১৭ এপ্রিল) বলেছেন, ‘কীভাবে নিজেকে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে ইসরায়েল তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবে।’

রয়টার্স জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো ইরানের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় সংযমের আহ্বান জানিয়েছে।

নেতানিয়াহু বুধবার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে কথা বলার পর বলেন, ‘আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, আমরা আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেব এবং রাষ্ট্র নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে ইসরায়েল।’

এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে বিকল্পগুলো নিতে পারে তার বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করার কথা রয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার।

ইসরায়েলের একটি সরকারী সূত্র সিনহুয়া নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছে, বেশিরভাগ মন্ত্রীরা পাল্টা আক্রমণকে সমর্থন করেন তবে আক্রমণের মাত্রা কতোটা হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি তারা।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে গাজা সংঘাতের ছয় মাসেরও বেশি সময় পরে তা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ এড়াতে ও বিধ্বস্ত গাজায় আরও মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর উপায় খুঁজছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর গ্রুপ জি-৭ সবাই ইরানের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

অন্যদিকে, জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য ফিলিস্তিনের অনুরোধে শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

ইসরায়েল বলেছে, তারা জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য একটি বিরতি নিয়ে আলোচনা করবে তবে হামাস নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না।

অন্যদিকে হামাস বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি দেবে না।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তার ভূমিকা পুনঃমূল্যায়ন করছে কাতার।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী এ সময় গাজায় সংঘাত থামানোর দায়িত্ব নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান এবং রাজনৈতিক সুবিধার হাতিয়ার হিসেবে মানবিক সহায়তা ব্যবহার থেকে বিরত থাকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি গত বুধবার ১৫ সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ‘গাজাজুড়ে একটি মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ তার গ্রাসকে শক্ত করছে। উত্তরে শিশুরা অপুষ্টি এবং পানিশূন্যতায় মারা যেতে শুরু করেছে আর সীমান্তের ওপারে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অপেক্ষা করছে।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *