সারাদেশ

সহজেই রক্তদাতার খোঁজ দিতে চালু হচ্ছে ‘বাঁধন অ্যাপ’

ডেস্ক রিপোর্ট: সহজেই রক্তদাতার খোঁজ দিতে চালু হচ্ছে ‘বাঁধন অ্যাপ’

ছবি: বার্তা২৪

রক্তগ্রহীতাদের জন্যে ভোগান্তি এড়াতে সহজেই রক্তদাতার খোঁজ দিতে চালু হচ্ছে ‘বাঁধন অ্যাপ’।

বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে বাঁধন অ্যাপ উদ্বোধন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে জানানো হয় আগামীকাল বিকাল ৪টায় লেকচার থিয়েটার ভবনের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বাঁধন অ্যাপের উদ্বোধন করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বাঁধন ফাউন্ডেশন এর সভাপতি রকিব আহমেদ বলেন, ‘বাঁধন অ্যাপ’ স্বেচ্ছায় রক্তদান আন্দোলনে নতুন সংযোজন, যার মাধ্যমে সেবাগ্রহীতারা খুব সহজে এবং দ্রুত, সময়ের মধ্যে নিজেই রক্তদাতার সন্ধান করতে পারবেন। দেশের যেকোনো জায়গা থেকে রোগীর অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় রক্তদাতার সন্ধান দেবে এই অ্যাপ। রোগীর অবস্থানের পার্শ্ববর্তী রক্তদাতাকে খুঁজতে রোগীর অবস্থানকৃত হাসপাতালের নাম ইনপুট দিতে হবে ডিজিটাল চাহিদাপত্রে। এই অ্যাপের মাধ্যমে রক্তদাতা ও রক্তগ্রহীতা সরাসরি নিজেদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে উপকৃত হবে। স্বেচ্ছায় রক্তদানের ২৬ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে রক্তদাতা ও রক্তগ্রহীতাদের বিবেচ্য ইস্যুগুলো বিবেচনা করে বাঁধন অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে; যার মূল ফোকাস ছিল রক্তদাতার সর্বনিম্ন ত্যাগের বিনিময়ে রক্তগ্রহীতা /সন্ধানকারীর সাথে কম সময়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে বাঁধন অ্যাপ-এ সারাদেশের ৬৪ টি জেলা থেকে প্রায় ৬০,০০০ রক্তদাতার তথ্য ইনপুট দেওয়া আছে এবং প্রতিদিন এই সংখা বাড়ছে এবং প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকবে। প্রতি বছরে বাঁধন এর কার্যক্রম আছে এমন ইউনিটগুলোর নবীন ছাত্রদের মধ্য থেকে নতুন রক্তদাতা এই অ্যাপ-এ যুক্ত হতে থাকবে। এছাড়াও রক্তদাতা অনুসন্ধান করতে যারা রেজিস্ট্রেশন করবে তারাও চাইলে রক্তদাতা হিসেবে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। এভাবে নতুন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে রক্তদাতার সংখ্যা বাড়তে থাকবে। রক্তদাতার তথ্যের পাশাপাশি দেশের ৬৪ জেলার ২০০০ হাসপাতালকে অ্যাপের ডেটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়েছে। অ্যাপের সার্চিং অ্যালগরিদম এমনভাবে করা হয়েছে যে, কম সময়েরমধ্যে রক্তদাতার সন্ধান পাওয়ার জন্য হাসপাতাল সমূহের জিওলোকেশন ও রক্তদাতার বর্তমান ঠিকানা বিবেচনায় নিয়ে রক্তদাতা অনুসন্ধান করবে। যার ফলে রোগীর চিকিৎসাধীন হাসপাতালের আশেপাশে অবস্থানকারীদের মধ্য থেকে রক্তদাতা সন্ধান করা যাবে; যা প্রচলিত সেবাদানকারী অন্যান্য এ্যাপ থেকে “বাঁধন অ্যাপ কে অনন্য করবে।

বাঁধন অ্যাপ- এ রক্তদাতার খোঁজ পাওয়ার পদ্ধতি :

রক্তদাতা অনুসন্ধানে রক্তগ্রহীতা প্রথমে ‘বাঁধন অ্যাপ -এ লগইন করে প্রয়োজনীয় রক্তের গ্রুপ ও হাসপাতালের তথ্য দেওয়ার পর অ্যাপ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৫ জন রক্তদাতার তথ্য সরবরাহ করা হবে। প্রদর্শিত হওয়া নাম্বারে কল করার পর যদি কাঙ্খিত রক্তদাতা পাওয়া না যায়, সেক্ষেত্রে পুনরায় আরও ৫জনের তথ্য চলে আসবে। এভাবে রক্তগ্রহীতা/সন্ধানকারী একবারে সর্বোচ্ছ ২৫ জনের তথ্য পর্যায়ক্রমে পাবে। এতেও যদি প্রয়োজনীয় রক্তদাতার সন্ধান না পাওয়া যায় তাহলে হাসপাতালের ঠিকানা অনুসারে পার্শ্ববর্তী বাঁধন ইউনিটে চাহিদাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হস্তান্তর করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিট তার অ্যাপ বহির্ভূত ডোনার লিস্ট থেকে চাহিদাকৃত রক্ত সংগ্রহ করার চেষ্টা করবে।

এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাঁধন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা কুরবান আলী, মো. তাজুল ইসলাম সহ বাঁধনের বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতির ও সাধারণ সম্পাদক।

প্রসঙ্গত, ‘একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন’ মন্ত্রে স্বেচ্ছায় রক্তদানকে সামাজিক আন্দোলনে সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল থেকে যাত্রা শুরু করেছিল বাঁধন। গত ২৬ বছরে ৫৪ জেলার ৭৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে।

খাবার অর্ডারে জবি শিক্ষার্থীদের ‘জেএনইউ ক্যান্টিন’ অ্যাপ

ছবি: সংগৃহীত

খাবার অর্ডার ও পেমেন্টে ভোগান্তি লাঘবে ‘জেএনইউ ক্যান্টিন’ নামের একটি বিশেষ অ্যাপ উদ্ভাবন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুইজন শিক্ষার্থী। তারা হলেন ২০১৮-১৯ সেশনের সুস্মিতা সাহা (প্রিয়া) এবং তানভীর আহম্মেদ হৃদয়। অ্যাপটি কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রয়োগ করা যায় সেদিকেই এখন লক্ষ্য সংশ্লিষ্টদের।

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারে অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট কোর্সের অংশ হিসেবে এই অ্যাপটি উদ্ভাবন করেন সুস্মিতা ও তানভীর৷ বিশেষ অ্যাপটি উদ্ভাবনের কাজ গত বছরের আগস্টে শুরু করেন তারা। যা শেষ হয় নভেম্বরে। সার্বিক প্রক্রিয়াটির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সজীব সাহা।

‘জেএনইউ ক্যান্টিন’ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটির বিশেষত্ব হলো এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পছন্দের খাবারের আইটেম অর্ডার করতে পারবেন। প্রথমে খাবারের আইটেম নির্ধারণ করে অর্ডার দিবেন। অর্ডার কনফার্ম হলে স্ট্যাটাসে ‘ডান’ লেখা চলে আসবে। একইসাথে শিক্ষার্থীদের অর্ডারের সার্বিক তথ্য সম্বলিত একটি নির্দিষ্ট কিউআর কোড তৈরী হবে। এই কিউআর কোডটি স্ক্যান করেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে তার খাবারের আইটেম দিবেন দোকান বা ক্যান্টিন থেকে। তবে খাবার অর্ডারের পর মূলত নির্ধারিত দাম পরিশোধ করতে হবে। এরপরই অর্ডার কনফার্ম হবে। যেটি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেই করা যাবে।

প্রাথমিকভাবে অ্যাপটিতে ছয়টি খাবারের আইটেমের নাম সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে ক্যান্টিনে বা ফুড ডেলিভারিতে অ্যাপটি ব্যবহার করা হলে খাবারের আইটেম আপডেট করা যাবে। অ্যাপটি সহজভাবে অপারেট করার জন্য রয়েছে বেশ কিছু ফিচার। ট্রায়াল সেশনে ৫টি ডিভাইসে অ্যাপটি ইনস্টল করা হয়।

মূলত ক্লাস-পরীক্ষা কিংবা অন্য কোন একাডেমিক কাজের জন্য শিক্ষার্থীদের সময়মত খাওয়া সম্ভব না হওয়া এবং ক্যান্টিনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বেশ খানিকটা সময় অপেক্ষা করে খাবার পাওয়ার ঝামেলা রোধেই এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি উদ্ভাবন করেছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা৷

এটি পুরোপুরি ডিজিটাল সিস্টেম। অনলাইনভিত্তিক হওয়াতে শিক্ষার্থী কিংবা খাবার সরবরাহকারী কাউকেই ঝামেলা পোহাতে হবেনা৷ বরং কম সময়েই পেমেন্ট ও অর্ডার কনফার্ম সম্ভব হবে। যখন চাইবে তখনই শিক্ষার্থীরা খাবারটি সংগ্রহ করতে পারবে। স্ট্যাটাস এবং অর্ডারের সার্বিক তথ্য সম্বলিত কিউআর কোড থাকায় অর্ডারে কোনরূপ গড়মিল হওয়ার সুযোগও নেই।

পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ক্যান্টিন থেকে বছরে কত টাকার খাবার বিক্রি হয়েছে এবং অর্ডার বেড়েছে নাকি কমেছে সেটির সার্বিক হিসাব পিডিএফ ফরমেটে বের করা যাবে। এই অ্যাপটি খাবার ডেলিভারি বা সংগ্রহের জন্য যেকোন ব্যক্তিই ব্যবহার করতে পারবেন বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

অ্যাপটির উদ্ভাবনকারী শিক্ষার্থী সুস্মিতা সাহা প্রিয়া বলেন, একাডেমিক কোর্সের অংশ হিসেবে আমরা এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি তৈরী করি। এই অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। আমাদের কাজে কারো উপকার হলে সেটি আমাদের জন্য আনন্দদায়ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কিছু করতে পারার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায়না।

অপর শিক্ষার্থী মো. তানভীর আহম্মেদ হৃদয় বলেন, জেএনইউ ক্যান্টিন অ্যাপটি নিয়ে আমরা অনেক আশাবাদী। এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহার করা হলে ছাত্র-শিক্ষক সবাই উপকৃত হবে। সর্বোপরি আমারা চেষ্টা করেছি অ্যাপটি যেন সবার ব্যবহার উপযোগী হয়।

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সজীব সাহা বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পদ সীমিত, সুযোগ-সুবিধা কম৷ এর মধ্যেও শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন বা সফলতায় শিক্ষক হিসেবে আমরা গর্বিত। আমাদের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের ভালোভাবে গাইডলাইন দিতে পারলে তারা আরও সফল হবে। আমরা অ্যাপটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে প্রয়োগ করা যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করবো।

;

ঘুরতে এসে গ্রেফতার ঢাবি ছাত্রদলের ফারহান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

বন্ধুর সাথে ঘুরতে এসে গ্রেফতার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারহান আরিফ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ সেশনের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই থানায় মামলা ছিল।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ঢাবির কার্জন হলে ঘুরতে আসেন আরিফ। সেখানে তাকে আটক করে প্রক্টর অফিসে জানানো হলে প্রক্টর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তবে কে বা কারা তাকে আটক করেছিল সেটা জানা যায়নি। তবে ছাত্রদলের অভিযোগ এটি ছাত্রলীগের কর্মীরা করেছে।

ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল অভিযোগ করে জানান, আমরা জানতে পেরেছি বিকেলে ক্যাম্পাসে ঘুরতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক আটক হয় ফারহান আরিফ। পরবর্তীতে তাকে ঢাবির শহিদুল্লাহ হলে নিয়ে যাওয়া হয়। চ

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান জানান, সে বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না। পুর্বে থাকলেও তার লেখাপড়া শেষ হয়ে গেছে। তাই আমরা তাকে প্রক্টর অফিসে না এনে শাহবাগ থানায় তুলে দিয়েছি। পরবর্তীতে জানতে পেরেছি তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই থানায় মামলা ছিল।

কে বা কারা তুলে দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এরা সাধারণ শিক্ষার্থী ছিল। ছাত্রলীগের কেউ ছিল কি না আমার জানা নেই।

কোন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে থানায় দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওকে নিয়ে আসার সময় শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের কথা বলেছে। তবে তিনি স্পষ্ট কোনো অভিযোগের কথা জানাননি। টেকনিক্যাল কারণেই তাকে পুলিশে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাবি প্রক্টর।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদ বার্তা২৪.কমকে জানান, আমরা তাকে রমনা থানায় পাঠানোর কথা ভাবছি।  সম্ভবত তাকে সেখানে ট্রান্সফার করা হবে। তবে এ বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্য দিতে চাই না।

;

২৫ লাখ টাকার ক্যাফেটেরিয়া, উদ্বোধনের ৪ বছরেও খোলেনি

ছবি: বার্তা২৪.কম

উদ্বোধনের পর পেরিয়ে গেছে চারটি বছর, পরিবর্তন হয়েছে দুইজন ডিন। তবু একদিনের জন্যও খোলেনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পুরাতন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের শিক্ষার্থী ক্যাফেটেরিয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য মতে, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগ ও তিনটি ইনস্টিটিউট রয়েছে। দুইটি ইনস্টিটিউট ও ৪ টি বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম বাহিরে পরিচালিত হয়। বাকি ১১টি বিভাগ ও একটি ইনস্টিটিউটের প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন ক্লাস, পরীক্ষাসহ বিভিন্ন কাজে অনুষদে আসেন। কিন্তু এখানে কোনো ক্যান্টিন না থাকায় শিক্ষার্থীদের ভরসা ঝুপড়ির দোকান কিংবা চাকসু (চবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) ক্যান্টিন। দুপুরের খাবার কিংবা নাস্তার জন্য নির্ভর করতে এসব জায়গাগুলোতে৷ অথচ ঝুপড়ির দোকান গুলোতে খাবারের দাম তুলনামূলক বেশি। এসব দোকানগুলোর বিরুদ্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না ও নিম্নমানের খাবার পরিবেসন সহ নানা অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৯ মে তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী কলা অনুষদের পশ্চিম পার্শ্বে নতুন ক্যান্টিনটি উদ্বোধন করেন। পরের মাসে ১৫ জুন অবসরে যান ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। ১৬ জুন থেকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব ও পরে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ক্যান্টিনটি খোলার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে দৃষ্টিনন্দন শৈলীতে নির্মাণ করা হয় ক্যাফেটেরিয়াটি। কিন্তু চালু না হওয়ার কারণে অযত্ন অবহেলায় ময়লা আবর্জনা ও আগাছা আর শ্যাওলাতে ভরে গেছে ক্যাফেটেরিয়াটির চারপাশ।

চালু না করার পেছনে কারণ জানতে চাইলে অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.মোহাম্মদ মাহবুবুল হক বলেন, ‘নাট্যকলা বিভাগের একটা অফিসিয়াল আপত্তি থাকায় ক্যান্টিনটি চালু করা সম্ভব হয়নি। আমি কিছুদিন আগেও ওদের সাথে এটা নিয়ে কথা বলেছি। তারা সেখানে ক্যান্টিনটি না করার পেছনে যে যুক্তিগুলো দিয়েছে, সেগুলোর বাইরে যেতে পারছিনা। এছাড়াও তাদের রুম সংকট থাকায় তারা এটাকে নিজেদের বিভাগের সাথে সংযুক্ত করে নিতে চাই। কিন্তু আমি বলেছি এখানে ১২টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে তাদের একটি ক্যান্টিন প্রয়োজন এবং এটা এ জন্যই নির্মাণ করা হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না করে তাদেরকে এটি দিয়ে দিতে পারি না।’

কবে নাগাদ চালু হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সকল বিভাগের সভাপতি ও পরিচালকদের নিয়ে একটা মিটিং করব কয়েক দিনের মধ্যে। সেখানে এ ব্যাপারে আলোচনা হবে।তবে আমার চেষ্টা থাকবে চলতি মাসের (নভেম্বর) মধ্যে চালু করার।’

অপরদিকে নাট্যকলা বিভাগের আপত্তির ব্যাপারে বিভাগটির সভাপতি শাকিলা তাসমিনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘কাফেটেরিয়াটি আমাদের ডিপার্টমেন্টের সাথে হওয়ায় এটি চালু হলে আমাদের ক্লাস ও রিহ্যার্সালের সমস্যা হবে। বিধায় আমাদের শিক্ষার্থীরদের স্বার্থে শিক্ষা ও শিক্ষার পরিবেশ যাতে ব্যাহত না হয় এজন্য ক্যাফেটেরিয়াটি চালু করতে আমরা আপত্তি জানিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ডিপার্টমেন্টের রুমের সংকট রয়েছে যদি আমাদের ডিপার্টমেন্টের সাথে এটি সংযুক্ত করে দেওয়া হয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়।’

;

ছাত্রলীগ মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে অভিযোগে ঢাবি ছাত্রদলের নিন্দা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে অভিযোগ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রদল।

মঙ্গলবার (০৭নভেম্বর) ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো.মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জ্ঞাপন ও প্রতিবাদ প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলন শুরুর পর থেকে ছাত্রলীগ কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসসহ বিভিন্ন রুটের পাবলিক বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে, যা ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল দীর্ঘদিন যাবৎ গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার ও রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো জঘন্য ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যার মাধ্যমে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো জঘন্য ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা জনগণের কাছে দিনের আলোর মতোই পরিষ্কারভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

মূলত, ছাত্রলীগ তাদের নিজেদেরকৃত অপকর্মের দায় ছাত্রদলের উপর চাপাতে এবং জনসাধারণের কাছে ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ব্যর্থ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ছাত্রলীগের এহেন ঘৃণিত ষড়যন্ত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের দেউলিয়াত্বকেই প্রমাণিত করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ছাত্রলীগের এহেন ঘৃণিত মিথ্যা প্রোপাগান্ডার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ছাত্রলীগকে এহেন ঘৃণিত মিথ্যা প্রপাগান্ডা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *