সারাদেশ

লুট করা ধনরত্ন ১৫০ বছর পর ধারে ফেরত দিল যুক্তরাজ্য

ডেস্ক রিপোর্ট: লুট করা ধনরত্ন ১৫০ বছর পর ধারে ফেরত দিল যুক্তরাজ্য

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে আসান্ত সাম্রাজ্য (বর্তমান ঘানা) থেকে লুট করা স্বর্ণ-রৌপ্যের ৩২টি দামি নিদর্শন ফেরত দিয়েছে যুক্তরাজ্যে। তবে এসব নিদর্শন চিরকালের জন্য দেওয়া হয়নি। মাত্র ৬ মাসের জন্য দেওয়া হয়েছে, তাও আবার ধার হিসেবে। 

এ নিয়ে ঘানার মধ্যস্থতাকারীদের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এক প্রতিবেদনে তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯ শতকের দিকে আসান্ত সাম্রাজ্যের সাথে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধচলাকালীন সময়ে এসব নিদর্শন লুট করা হয়। শনিবার (২০ এপ্রিল) ঘানার একদল মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এসব নিদর্শন ৬ মাসের জন্য ধার দেওয়া হয় দেশটিকে।

৩২টি নিদর্শনের মধ্যে ১৫টি রাখা ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামে আর বাকিগুলো ছিল অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে।

তবে এগুলো ফেরত পেতে বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়েছে ঘানার কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত এসব নিদর্শন একেবারের জন্য না পেলেও ৬ মাসের জন্য ধারে পাচ্ছে দেশটি। 

মূলত আসান্তে রাজার রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপনে বছরব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আশান্তি অঞ্চলের রাজধানী কুমাসির মানহিয়া প্রাসাদ জাদুঘরে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

 ১৯ শতকের দিকে এসব নিদর্শন লুট করা হয় নিদর্শনগুলো ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মধ্যস্থতাকারীদের প্রধান আলোচক আইভর অ্যাগিয়েমান-ডুয়া শনিবার সংবাদমাধ্যম এএফপিকে বলেন, য়াগামী ৬ মাসের জন্য ঘানাকে স্বর্ণ-রৌপ্যের ৩২টি দামি নিদর্শন ফেরত দিয়েছে যুক্তরাজ্যে।

এদিকে সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তির কাছ থেকে আফ্রিকান প্রত্নবস্তু ফিরিয়ে আনার জন্য জাদুঘর এবং প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য আন্তর্জাতিক গতি এবং প্রচারণা বেড়েছে। 

প্রদর্শনীটি আগামী ১ মে থেকে শুরু হবে বলে জানান আইভর। ঘানায় ফেরত আসা নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি ৩০০ বছরের পুরোনো তলোয়ার আছে, যা শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে ব্যবহার হতো।

যুক্তরাজ্যের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়াম যে ১৭টি নিদর্শন ঘানার জাদুঘরে ধার দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, তার মধ্যে আছে একটি সোনার শান্তি পাইপ ও সোনার একাধিক চাকতি। রাজার আত্মা পরিচ্ছন্ন করার জন্য দায়িত্বরত রাজ কর্মকর্তারা এগুলো পরতেন।

বদলে যাচ্ছে গাইবান্ধার ‘শ্রুতিকটু’ ৯ বিদ্যালয়ের নাম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ধুতিচোরা, পাগলার চর, গলাকাটি’র মতো বিভিন্ন রকমের শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক নাম থাকা গাইবান্ধার ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে সরকার।

গত ৩ এপ্রিল প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ২৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বদলে দেওয়া দেশের ২৪৭টি বিদ্যালয়ের মধ্যে গাইবান্ধার দুটি উপজেলার নয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামও রয়েছে।

এর মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলার চারটি এবং ফুলছড়ি উপজেলার পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ফুলছড়ি উপজেলার ‘গলাকাটি’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পাল্টে হচ্ছে ‘আনন্দ বাজার’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘পাগলার চর’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাল্টে ‘ভোরের পাখি’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘নাপিতের হাট’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাল্টে ‘থানাপাড়া আদর্শ’ বিদ্যালয়, ‘বাজে ফুলছড়ি’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাল্টে ‘চর ফুলছড়ি’ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ‘কঞ্চিপাড়া ১ নং’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরর নাম পাল্টে হচ্ছে ‘কঞ্চিপাড়া আদর্শ’ প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এছাড়া গাইবান্ধা সদর উপজেলার ‘পঁচারকুড়া’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরর নাম পাল্টে হচ্ছে ‘গিদারী কৃষ্ণচূড়া’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘বাজে চিথুলিয়া’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাল্টে ‘পশ্চিম চিথুলিয়া’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘ধুতিচোরা’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাল্টে ‘রহমাননগর’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ‘পূর্ব ধুতিচোরা’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পাল্টে নতুন নাম হচ্ছে ‘গিদারী আনন্দনগর’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এ বিষয়ে গাইবান্ধার মালিবাড়ি বোরহানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাদী হাবিবা সুলতানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, দেশে এমন কিছু বিদ্যালয়ের নাম আছে যেসব নাম উচ্চারণ করতেও মুখে বাধে। প্রতিনিয়ত শিশুরা ওইসব নাম নিয়ে ট্রলের বা ঠাট্টার শিকার হন। সারা দেশের শ্রুতিকটু নামের বিদ্যালয়গুলো চিহ্নিত করে পরিবর্তন জরুরি।

গাইবান্ধা ফুলছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলাল হোসেন মোবাইল ফোনে বার্তা২৪,কমকে বলেন, ফুলছড়ি উপজেলার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পাল্টেছে। পাল্টে যাওয়া নামগুলো ছিল শ্রুতিকটু । যা শিশুদের মনে খারাপ প্রভাব ফেলত।

তিনি আরও বলেন, রমজান ও ঈদের ছুটি শেষে তাপদাহের কারণে আবারও বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেল। বিদ্যালয় খুললে নাম পাল্টে যাওয়া বিদ্যালয়গুলোর দেয়ালে বা সাইনবোর্ডে নাম পাল্টে দেওয়া হবে। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই সকল পেপারসে নাম পরিবর্তনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, অর্থহীন বা বিদঘুটে নামগুলো থেকে উদ্দীপনা বা অনুপ্রেরণা পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। যার কারণে মানুষ সন্তানের খুঁজে খুঁজে উজ্জ্বল-সুন্দর এবং অর্থপূর্ণ নাম রাখেন। একইরকম বিদ্যালয়গুলোর নামের বেলাতেও।

তবে, যেকোনো কারণে হোক সারা দেশেই স্থানীয় পর্যায়ের লোকজনের মাধ্যমে কিছু বিদ্যালয়ের বিদঘুটে বা শ্রুতিকটু নাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ওইসব নাম পরিবর্তনের উদ্যেগটি একটি ভাল দিক। আমি মনে করি, পরিবর্তন করা অর্থপূর্ণ, শ্রুতিমধুর এবং ইতিহাস সমৃদ্ধ এসব নাম কোমলমতি শিশুদের মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। একই সাথে শিশুরা গর্বের সঙ্গেই তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম উচ্চারণ করবে।

গাইবান্ধায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৪৬৬টি। এসব বিদ্যালয়ের বিপরীতে শিক্ষকের সংখ্যা ৮ হাজার ২১৩ জন এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৭৩ জন।

;

‘প্রচণ্ড তাপদাহে ধানের বোঝা নিয়ে হাঁপিয়ে ওঠছি’

‘প্রচণ্ড তাপদাহে ধানের বোঝা নিয়ে হাঁপিয়ে ওঠছি’

খাঁ খাঁ রোদে প্রচণ্ড গরমে ১০০ আঁটি ধানের বিচুলি কাঁধে বা মাথায় করে নিয়ে যাওয়া যে কতটা কষ্টসাধ্য সেটা আমরা জানি। একদিকে ধানের গরম আর অন্যদিকে প্রচণ্ড তাপদাহ। এই তাপদাহে ধানের বোঝা নিয়ে হাঁপিয়ে ওঠছি। কিন্তু কী করব টাকার বিনিময়ে কাজ করতে আসছি। সেই সকাল ৬টা থেকে কাজ করছি। সকাল-সকাল কাজ শুরু করলে একটু কষ্ট কম হয় কিন্তু যখনই রোদ উঠে আর গরম পড়া শুরু করে তখনই মনে হয় দম বের হয়ে যাচ্ছে। এই গরমে ধানের বোঝা কাঁধে নিয়ে এমনই কষ্টের কথা বলছিলেন জব্বার।

শনিবার (২১ এপ্রিল) সরেজমিনে তালার উপজেলার মুড়াগাছার গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরমে কৃষকদের ইরি ধান মাঠ থেকে ঘরে তোলার ব্যস্ততা। এই গরমে মাঠের দিকে একটু যেতেই দেখা যায় ধানের বোঝা মাথায় নিয়ে আসার লম্বা লাইন। ফাঁড়ি দিয়ে সামনে এগিয়ে তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলাম।

এই গরমে মানুষ বাড়িতে বসে যেখানে স্বস্তি পাচ্ছেন না আপনারা সেখানে ধানের বোঝা নিয়ে কীভাবে পারছেন, এই প্রশ্নে জবাবে তারা বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা যে শ্রমিক। টাকার বিনিময়ে কাজ করে খাই। আমাদের গরম বলতে কিছু নেই। গরম লাগে তো বাবু-মানুষদের। যারা এসি রুমে বসে বসে আরাম করে খায়। আমাদের মতো কাজ করে খেলে গরম একটু কম লাগত। কাজ করা শরীর তো তাই এমন খিটখিটে কথা। কী বলব আর বলুন, প্রচণ্ড গরম সহ্য করা যাচ্ছে না । তারপরও কাজ করতে হচ্ছে। ধান কাটার সময়ে একটু কাজ থাকে, তাই কাজ করে কয়টা টাকা ধরে নিচ্ছি। গরমের জন্য বসে থাকলে তো পেটে ভাত যাবে না। তাই কষ্ট হলেও কাজ করতে হচ্ছে।

যেদিকে চোখ যায় সেদিকে ধান আর ধান। খাঁ খাঁ রোদ্দুর, প্রচণ্ড তাপদাহ, নেই কোনো বাতাস, রয়েছে শুধু ভ্যাপসা গরম। প্রচণ্ড গরমে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত ঠিক তখনই আরেকটু একটু এগোতেই দেখা যায় একদল পুরুষ এবং মহিলারা ধান কাটায় ব্যস্ত। এই গরমে নারী পুরুষ যেন পাল্লা দিয়ে চলছে কাজ। গরমে কাবু হলেও হার মানছেন না তারা সোনার ফসলের কাছে। তাই তো গরমকে অপেক্ষা করে সোনার ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

ধান কাটতে থাকা মনিকা মন্ডল বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রচণ্ড গরমে জীবন বের হয়ে যাচ্ছে। ঘড়ির কাটা ১১টায় গেলে বাঁচি। নারী-পুরুষ সমান-সমান ধান কাটছি, কিন্তু টাকার বেলায় নারীদের কম। সমান কাজ করেও আমাদের বেলায় অবহেলা। এই গরমে জীবন বের হয়ে যাচ্ছে। একদিকে ধানের গরম অন্য দিকে রোদের তাপ। কীভাবে পারব। একটু ধান কাটা বাদ দিয়ে যে দাঁড়াব তাও উপায় নেই, পেছন থেকে তাড়া দিচ্ছে। এই গরমে কাজ ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই। গরম থেকে যে কবে মুক্তি পাব ঈশ্বরই জানেন!

;

গরমে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় চাষি

ছবি: বার্তা২৪.কম

চলমান তাপপ্রবাহে সবজি জাতীয় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। গরমে আম, কাঁঠাল, লিচু ও ড্রাগন ফলের ফুল-ফল ঝরে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে তাপে পুড়ছে যশোর জেলার মানুষ। বৈশাখের শুরু থেকে টানা তাপ প্রবাহ চলছে।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে, আরও চারদিন এ অবস্থা বিরাজ করতে পারে। তীব্র তাপের কারণে সবজির উৎপাদন কমে যেতে পারে। পানির অভাবে গাছের ফল-ফুল শুকিয়ে যেতে পারে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে তাপমাত্রায় লতা জাতীয় সবজি নেতিয়ে পড়ছে। অনেক গাছ শুকয়ে যাচ্ছে। ফল ধরার আগেই ঝরে যাচ্ছে ফুল।

সরেজমিনে দেখা যায়, যশোর জেলার লেবুতলা ইউনিয়নের মাঠে উচ্ছে, পটল গাছ লাল বর্ণের হয়ে গেছে। অনেক গাছ দুমড়ে গেছে। ঘন ঘন সবজি ক্ষেতে সেচ দিয়েও পানি ধরে রাখতে পারছেন না কৃষক। আম এবং লিচুর গুটিও ঝরে পড়ছে।

যশোর আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলায় ২০ এপ্রিল রেকর্ড তাপ ছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

যশোর কৃষি অধিদফতরের তথ্য মতে, যশোর জেলায় সবজি চাষ হয়েছে ১১ হাজার ৮’শ হেক্টর জমিতে। সবজি চাষের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। এদিকে যশোরে মোট ফলের চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৩’শ ৩০ হেক্টর। এর মধ্যে আম চাষ হচ্ছে ৩ হাজার ৯’শ ২৩ হেক্টর, লিচুর চাষ ৬’শ ২৫ হেক্টর, পেয়ারা ৯’শ ৯৯ হেক্টর, কাঁঠাল ৭’শ ৫০ হেক্টর ও ড্রাগনের চাষ হয়েছে ২’শ ৭ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের ফল চাষ হচ্ছে ৬ হাজার ৮’শ ২৬ হেক্টর জমিতে।

বীরনারায়ণপুর গ্রামের কৃষক ইমন হোসেন জানান, এই তাপে সবজি হবে না। কয়েক দিন ধরে দেখছি তাপের কারণে উচ্ছে গাছ নেতিয়ে গেছে। মাঠের অনেক গাছ লাল হয়ে যাচ্ছে।

বাঘারপাড়া উপজেলার কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, এ গরমে জমিতে পানি দেওয়ার পরের দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চললে পানি দিয়ে পারা যাবে না। মাঠে কাজও করা যাচ্ছে না। দুপুরে উচ্ছে গাছ মনে হচ্ছে সব মরে গেছে।

সিতারামপুর গ্রামের ফল চাষি আব্দুস সাত্তার জানান, দেড় বিঘা জমিতে লিচুর চাষ রয়েছে। এ বছর মোটামুটি ভালোই ফুল ও ফল দেখা যায়। কিন্তু কয়েক দিন ধরে দেখছি লিচু ঝরে যাচ্ছে। কয়েকবার স্প্রে করলেও ঝরে পড়া বন্ধ হচ্ছে না। এ তাপে কোন ফল গাছে থাকবে না। আম ও কাঁঠালও ঝরে পড়া শুরু করেছে।

যশোর কৃষি অধিদফতরের উপপরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, সাধারণত অতিরিক্ত তাপে মাঠিতে পানির অভাব দেখা দেয়। বর্তমানে যশোর জেলায় যে পরিমাণ তাপ তাতে লতা জাতীয় সবজি মুচড়ে যাচ্ছে। এভাবে তাপপ্রবাহ চলতে থাকলে সবজি এবং ফল জাতীয় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই গরমে কৃষকের করণীয় ঘন ঘন সেচ দেওয়া এবং জমিতে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা। ফল জাতীয় গাছগুলোতে খড় বা আবর্জনা দিয়ে মালচিংয়ের ব্যবস্থা করে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা।

;

প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব

ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রথমবারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব। আগামী ২৬ ও ২৭ এপ্রিল রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে সুন্দরম ও আইআইডি’র সহযোগিতায় যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করছে ঢাকা থিয়েটার ও ব্রিটিশ কাউন্সিল।

রোববার (২১ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায় উৎসবের আয়োজকরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসবের উৎসব পরিচালক নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘সকলের সাথে, সকল মিলে মানবিক বিশ্ব গড়বো’ স্লোগান নিয়ে আগামী ২৬ ও ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে৷ দু’দিনব্যাপী এই উৎসবে বাংলাদেশের ৮ বিভাগের ৯টি নাটক, কলকাতার পশ্চিমবঙ্গের দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড- এ জার্নিসহ সর্বমোট ১০টি নাটকের প্রদর্শনী করা হবে। এছাড়া অদম্য প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, প্রতিবন্ধীদের নির্মিত শিল্প সমাহার, সেমিনারও থাকবে।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ এক যুগের প্রতিবন্ধী নাট্য ও শিল্পচর্চার নিরলস কাজ করার অভিজ্ঞতায় আজ ঢাকা থিয়েটার ও ব্রিটিশ কাউন্সিল এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে৷ এই সুদীর্ঘ কঠিন ও পরিশ্রমী যাত্রায় দেশের ৮ বিভাগে জন্ম নিয়েছে প্রতিবন্ধী শিল্প সংগঠন সুন্দরম। যোগ দিয়েছে আই আই ডি। সব মিলে একটি মহাযজ্ঞের আয়োজন করছি আমরা।

তিনি আরো জানান, দুই দিনব্যাপী এই উৎসব প্রতিদিন সকাল ১১টায় শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। ২৬ এপ্রিল সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া ২৭ এপ্রিল রাত ৮টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব খলিল আহমেদ।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স, আর্টস প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসবের উৎসব কমিটির কো-পরিচালক সৌরদীপ দাশগুপ্ত, আইআইডি এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী সাঈদ আহমেদ, আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসবের উৎসব কমিটির সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *