আন্তর্জাতিক

তীব্র তাপদাহ : বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস ও যাত্রী পারাপার কমেছে

ডেস্ক রিপোর্ট: যশোরে সর্বচ্চ তাপমাত্রায় অসহনীয় হয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন। বিশেষ করে ভারী,ভারী পণ্য খালাসে হিমশিম খেতে হচ্ছে বন্দর শ্রমিকদের। এতে কমেছে পণ্য খালাস।

এদিকে অসহনীয় গরমে পাসপোর্টধারীরাও পড়েছেন ভোগান্তিতে। বিপদ এড়াতে কমেছে যাত্রী যাতায়াতও। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন দ্রুত যাতে যাত্রীরা পাসপোর্টের কাজ সারতে পারে সব ধরনের সহযোগীতা করা হচ্ছে। আর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, তীব্র তাপদাহে হিট ষ্টক এড়াতে সর্বসাধারনকে নানান পরমর্শ দেওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২.৬ ডিগ্রি। রবিবার (২১ এপ্রিল) তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি। আরো কয়েক দিন বিরাজ করবে এ অবস্থা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ইতিমধ্যে সরকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৭ দিনের জন্য ছুটির ঘোষনা দিয়েছে। এতে বন্ধ রয়েছে স্কুল,কলেজ। এতে অবিভাবকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছে বিপাকে।

জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে তাদের ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক পণ্য খালাস করে থাকেন বন্দর শ্রমিকেরা। কিন্তু এ ভেপসা গরমে ভারি পণ্য ওঠা-নামানোর কাজ করতে যেয়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে পণ্য খালাসের পরিমান কমেছে।

অপরদিকে এ গরমের মধ্যে দীর্ঘ লাইনে পড়ে ভোগান্তি ভোগ করতে দেখা গেছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারীদের। এতে যাত্রী যাতায়াতের পরিমান কমেছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বন্দর শ্রমিকেরা জানান, বন্দরে আমদানি পণ্য খালাসের জন্য দুই হাজার শ্রমিক রয়েছে। কিন্তু, প্রচন্ড গরমে পণ্য খালাস করা কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। ভারী পণ্য মাথায় নিয়ে এ গরমের মধ্যে কাজ করা কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।

সড়কে মাটি ভরাটের কাজ করা দিনমজুর আব্দুর রহিম জানান, গরমের কারণে বাড়ি থেকে সন্তানেরা বের হতে দিচ্ছিল না। কিন্তু, পেটের দায়ে কাজ করতে বের হয়েছি।

পাসপোর্টধারী যাত্রী মকলেসুর রহমান জানান, চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় ভারত অংশে ৩ ঘন্টা লাইনে দাড়াতে হয়েছে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার লঙ্কীন্দার কুমার দে জানান, দেশের সর্বচ্চ তাপমাত্রা যশোরে। তীব্র তাপদাহে হিট ষ্টক এড়াতে সর্বসাধারনণকে পরমর্শ দেওয়া হচ্ছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে বলা হচ্ছে। এ ছাড়া বেশি বেশি খাবার পানি পান ও পাতলা কাপড় পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাছেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ নাহিদুজ্জামান জানান,স্বাভাবিক সময়ে দিনে পণ্য খালাসের পরিমান ৫ ট্রাকের বেশি হলেও বর্তমানে তীব্র তাপদাহের কারনে কমে দাড়িয়েছে ৩০০ ট্রাকের ঘরে।

অন্যদিকে স্বাভাবিক সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াতের সংখ্যা ৭ হাজারের বেশি হলেও বর্তমানে কমে দাড়িয়েছে ৫ হাজারের মধ্যে। তবে যারা জরুরী প্রয়োজনে যাতায়াত করছেন তারা যাতে দ্রুত পাসপোর্টের কাজ সারতে পারে সে ব্যাপারে সহযোগীতা করা হচ্ছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *