সারাদেশ

বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

ডেস্ক রিপোর্ট: বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে।

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

‘মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে’ সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিকের দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে এক ভিডিও বার্তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেনজীর আহমেদ বলেন, মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

বেনজীর আহমেদের দাবি, কিছু তথ্য ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।

বিমানবন্দরের টার্মিনালে বাস ঢুকে ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু: চালকের স্বীকারোক্তি

ছবি: সংগৃহীত

আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের সীমানা প্রাচীর ভেঙে রাইদা পরিবহনের বাস ভেতরে ঢুকে সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকীর মৃত্যুর মামলায় ঘাতক বাসচালক হাসান মাহমুদ হিমেল ।

রোববার (২১ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুমন চন্দ্র দাস আসামিকে আদালতে হাজির করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিমানবন্দর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মোজাফফর হোসেন এতথ্য জানান।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সামনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালে নিরাপত্তা দেয়াল ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ঢুকে যায়।

এ ঘটনায় সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী নিহত হন। তিনি সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।

এ ঘটনায় সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। মামলা দায়েরের পর ২০ এপ্রিল ভোরে বরিশালের হিজলা এলাকা থেকে হিমেলকে গ্রেফতার করা হয়।

;

বিএনপির তিন নেতার জামিন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর রমনা মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ফারুক ও নিতাই রায় চৌধুরী।

রোববার (২১ এপ্রিল) তারা ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস্ সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, আসামিরা উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে ৬ সপ্তাহের জামিন পান। জামিনের মেয়াদ শেষে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন বর্ধিত করেন। রোববার শুনানি শেষে আদালত তাদের স্থায়ী জামিন দেন।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা সমাবেশে নাশকতার অভিযোগে রমনা মডেল থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

;

হাইকোর্টে ফের জামিন আবেদন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্নির

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে ফের জামিন আবেদন করেছেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।

মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বছরের ৮ মে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। সেসময় জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় আসলেও পরে আর শুনানি হয়নি।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ডের নেতৃত্বে একদল যুবক প্রকাশ্যে রিফাতকে কুপিয়ে জখম করেন। ইন্টারনেট ব্যবসায় জড়িত রিফাত সেদিনই বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

বর্বরোচিত হামলার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ক্ষোভ তৈরি হয়। ভিডিওতে দেখা যায় মিন্নি তার স্বামীকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন। হামলার সময় তাকে চিৎকার করতে দেখা যায়। ওই ঘটনায় হওয়া মামলায় মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করা হলেও পরে মামলার তদন্ত নাটকীয় মোড় নেয়। মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। পরে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার আদালত মিন্নিসহ ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড দেন।

পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। খালাস পান- মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন।

;

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের ৩ কর্মকর্তার জামিন বাতিল

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের ৩ কর্মকর্তার জামিন বাতিল

অর্থ আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল, অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের পৃথক দুই মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের তিন কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আসামিরা হলেন, করপোরেট ফাইন্যান্সের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ব্যবস্থাপক আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক।

রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম জানান, আজ বাদি পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এই তিন আসামির জামিন বাতিল করেন এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত এই তিন আসামির জামিন বাতিল করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার নথী সুত্রে জানা যায়, রাজধানীর গুলশান থানার এক মামলায় করপোরেট ফাইন্যান্সের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর মো. কামাল হোসেন। একই থানায় আরেক মামলায় ব্যবস্থাপক আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোসাদ্দেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন একই তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে প্রত্যেকের আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজরেহ হক বাদি হয়ে গুলশান থানায় পৃথক তিন মামলা করেন। পরে তাদেরকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করার অভিযোগ আনা হয়েছে।   

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *