সারাদেশ

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগের অবরোধ বিরোধী মিছিল

ডেস্ক রিপোর্ট: লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগের অবরোধ বিরোধী মিছিল

ছবি: বার্তা২৪.কম

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির-জামাতের ডাকা অবরোধ বিরোধী মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রায়পুর-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের রায়পুর বাজার এলাকায় মিছিল করেন তারা। মিছিলটি উপজেলা বাস স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। 

রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা তছলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এতে অংশ নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান, পৌর আওয়ামী লীগের  সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ জুটন, জাকির পাটোওয়ারী, জাকির হোসেন নোমান, মাহাবুবুর রহমান রিজভী, পৌর ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি সোহেল মিয়াজী ও সম্পাদক বাহার সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপির ডাকা অবরোধ হরতালের মতো কর্মসূচিতে রায়পুরে কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। বিগত দিনে রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলেই ছিল। যেকোনো ধরনের ঘটনার মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত আছি।

এদিকে বিএনপি জামাতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন কোনো নেতাকর্মীকে রাজপথে দেখা যায়নি। তবে কাকডাকা ভোরে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি স্থানে মিছিল করে গা ডাকা দেয় তারা। সকাল থেকে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়কে দূরপাল্লা বাস দেখা যায়নি। তবে ছোট বড় বিভিন্ন মালবাহী পরিবহন চলাচল করছে।

অবরোধের শেষদিনেও গুলিস্তানে সতর্ক অবস্থানে আওয়ামী লীগ

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা অবরোধের তৃতীয় দফার শেষ দিনেও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এ সময় যোগ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর গুলিস্তানে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন।

উপস্থিত নেতাকর্মীরা বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে বিএনপি-জামায়াত। তারা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশকে উল্টোপথে টেনে ধরতে চায়। নির্বাচন বানচাল করতে চায়। অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের শান্তি নষ্ট করতে চায়। আমরা এই অপশক্তিকে রুখতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। তাদের সহিংসতা রুখতে সতর্ক পাহারা দিচ্ছি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ নগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সকাল থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন।

তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, সরকারের পদত্যাগের দাবি আদায়ে তৃতীয় দফায় বিএনপির দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির আজ শেষ দিন। দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা অন্য বিরোধী দলগুলোও এ কর্মসূচি পালন করছে।

সোমবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে বলেন, এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে। আমাদের অবরোধ কর্মসূচি জনগণের দাবির ওপর ভিত্তি করে। এটা শুধু বিএনপির কর্মসূচি নয়। যারা দেশের মালিকানা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের সবার কর্মসূচি এটি।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে মাঝ পথেই পণ্ড হয় যায় বিএনপির সমাবেশ। সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরের দিন (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি। এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়।

এরপর৫ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে ২ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও সমমান বিরোধী দলগুলো। এসব কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর গ্রেফতারের বাইরে থাকা নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।

;

ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের অবরোধ বিরোধী অবস্থান

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে রাজপথে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ধানমন্ডি ১৫ নং বাসস্ট্যান্ডে নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন।

উপস্থিত নেতাকর্মীরা বার্তা২৪.কমকে জানান, বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। আগুন সন্ত্রাস করে দেশের মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়। তারা আগামী দ্বাদশ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা রাজপথে আছি, তাদের ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ১৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি খায়রুল মজিদ ভূঁইয়া কবির, সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল চৌধুরী পলাশ, ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ বাবুল, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল জলিল, ১ নং ইউনিট সভাপতি কাজী মঞ্জুরুল আলম অশ্রু, ৪ নং ইউনিট সভাপতি মো: আলীম আল রাজী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সুরাইয়া চৌধুরী তুহিন, ধানমন্ডি ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি অর্নব সাহা বাপ্পি, আসিফ আহমেদ শ্রাবন, মাসুম হোসেন, তাহজিব করিম, হাফিজুক হক খান শুভ্র, ফরহাদ হোসেন সহ ধানমন্ডি আওয়ীমী লীগের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, সরকারের পদত্যাগের দাবি আদায়ে তৃতীয় দফায় বিএনপির দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির আজ শেষ দিন। দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা অন্য বিরোধী দলগুলোও এ কর্মসূচি পালন করছে।

;

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক সন্ধ্যায়

ছবি: বার্তা২৪.কম

কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক ডেকেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তফসিল ঘোষণার আগে এ সভা অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করছে।

দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ বৈঠক শুরু হবে।

বৈঠকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, উপকমিটি গঠন এবং দলের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের অগ্রগতিসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছে তারা। এমন প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের দুই মাসের কম সময় হাতে থাকতে আজকের বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কয়েক নেতা।

;

এমপি প্রার্থী হওয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল ইসলাম শফি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হওয়ার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ ছাড়লেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল ইসলাম শফি। সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে সদ্য পদ ত্যাগকারী চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত (৬ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়মানুসারে পদত্যাগপত্র জমা দেন শফিকুল ইসলাম শফি।

পদত্যাগের পর বুধবার বিকেল থেকে তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় শোভাযাত্রা ও উঠান বৈঠক করছেন তিনি।

গাজী শফিকুল ইসলাম শফি ১৯৯০ সালে উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। নবম সংসদে তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।

২০১৮ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, আমি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি হয়েছিলাম। আবার সাধারণ মানুষের দাবিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

তিনি আরও বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার আমাকে মনোনয়ন দেবেন। আমি মনোনয়ন পেলে সিরাজগঞ্জ-৪ আসনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা উপহার দেব। উল্লাপাড়া ও সলঙ্গাকে স্মার্ট, মডেল ও সন্ত্রাসমুক্ত আসন হিসেবে গড়ে তুলব।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *