বিনোদন

কমেন্ট বক্সেই বেরিয়ে এলো জাহ্নবীর ‘থলের বিড়াল’

ডেস্ক রিপোর্টঃ শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুরের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই একাধিক প্রেমের গুঞ্জন উঠেছে। প্রথম সিনেমা ‘ধাড়াক’-এর নায়ক ঈষান খাট্টারের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন দিয়ে শুরু। এরপর তো তেলেগু ছবির সুপারস্টার বিজয় দেবারাকোন্ডার প্রতি নিজের দুর্বলতার কথা জানান জাহ্নবী নিজেই। এরপরও এসেছে তার একাধিক প্রেমের গুঞ্জন। তার সর্বশেষ প্রেমের গুঞ্জন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে। এই তরুণের সঙ্গে তাকে বহুবার দেখা গেছে। তবে এবার ওই তরুণই যেন প্রেমের গুঞ্জনে সিলমোহর দিয়ে দিলেন। যা এতোদিন লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন সেই থলের বিড়াল এবার বেরিয়ে এলো সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট বক্সেই! বিষয়টি ইতোমধ্যে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল!

মুম্বাই ইন্ডাস্ট্রির তরুণ তারকাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ওরহান আওত্রামানি তথা ওরি। তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি পার্টির ভিডিও শেয়ার করেছেন সম্প্রতি। যেখানে দেখা যায়, সারা আলি খান, সুহানা খান, খুশি কাপুর, সারা টেন্ডুলকার ও শিখর কাপুরসহ অনেকেই আনন্দ-উল্লাস করছেন। কিন্তু এই পার্টিতে যাননি জাহ্নবী। বিপত্তিটা বাঁধে অন্য জায়গায়। ভিডিওর এক দৃশ্যে দেখা যায়, শিখরকে জড়িয়ে ধরেছেন গোলাপি রঙের পোশাক পরা এক তরুণী।

ওই ভিডিওর মন্তব্যের ঘরে জাহ্নবী প্রথমে লেখেন, ‘শিকু (শিখর পাহাড়িয়া)। প্রেমিকার মন্তব্যে সাড়াও দেন তিনি। এরপরই জাহ্নবী প্রশ্ন করেন, ‘এই গোলাপি মেয়েটা কে?’ শিখর আঁচ করতে পেরেছেন যে, প্রেমিকার দিক থেকে সন্দেহের তীর ছুটে আসছে। বিলম্ব না করেই তিনি জাহ্নবীর উদ্দেশে লিখলেন, ‘আমি পুরোটাই তোমার’।
ব্যাস, এটা দেখার পর নেটিজেনদের কারও আর বোঝার বাকি নেই যে, শিখর ও জাহ্নবী প্রেমে ডুবে আছেন। যদিও ওই মন্তব্য পরে তারা মুছে দিয়েছেন। কিন্তু ততক্ষণে স্ক্রিনশট ছড়িয়ে গেছে চারদিকে।

জাহ্নবী কাপুর ও শিখর পাহাড়িয়ার পুরনো দিনের ছবি

শিখর পাহাড়িয়া হলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের নাতি। তার সঙ্গে জাহ্নবীর বন্ধুত্ব অনেক পুরনো। এমনকি বলিউডে আসার আগে থেকেই নাকি তাদের সম্পক।

উল্লেখ্য, জাহ্নবীকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘বাওয়াল’ সিনেমায়। এটি গত জুলাইতে মুক্তি পেয়েছিল। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’, ‘দেভারা’, ‘উলাঝ’ ছবিগুলো।

 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *