খেলার খবর

কবরস্থান পূর্ণ, গাজায় মৃতদের কবর দেওয়া হচ্ছে ফুটবল মাঠে

ডেস্ক রিপোর্ট: উত্তর গাজায় তার বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে মাহমুদ আল-মাসরির একটি কঠিন কাজ ছিল। সেটি হলো, তার তিন ভাই এবং তাদের পাঁচ সন্তানকে কাছাকাছি একটি বাগানে কবর দেওয়া।

তার বাড়ির এলাকা যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হওয়ায় শোকাহত ৬০ বছর বয়সি এই কৃষকের হাতে অস্থায়ী কবর খনন করা ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত তার আত্মীয়দের দ্রুত বিদায় জানানোর আর কোনও উপায় ছিল না।

মাসরি এনডিটিভিকে বলেন, ‘তাদের বাগানে দাফন করতে হয়েছিল। কারণ, কবরস্থানটি সীমান্ত অঞ্চলে যেখানে ট্যাঙ্ক আসছে এবং এটি খুব বিপজ্জনক।’

মাসরি, যিনি এখন দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে তার পরিবারের সঙ্গে আছেন, তিনি গাজা উপত্যকার উত্তর-পূর্বে ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্ত বেড়া থেকে দূরে বেইট হ্যানউনে একটি দ্বিতল বাড়িতে থাকতেন।

যুদ্ধ শুরু হলে প্রাথমিকভাবে ইসরায়েলি সতর্কতা উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন মাসরি।

কিন্তু, দুই সপ্তাহের ভারী বোমাবর্ষণে তার মন পরিবর্তন হয়ে যায় এবং তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার সংকল্প করেন।

মাসরি এএফপিকে বলেন, তিনি এবং তার নিকটবর্তী পরিবার দক্ষিণের একটি উপচে পড়া হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

তিনি স্মরণ করেন যে, তাকে তার ভাই এবং ভাগ্নেদের বাগানে দাফন করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কারণ, ইসরায়েলি সেনাদের অবিরাম বোমাবর্ষণ এবং অনুপ্রবেশের ফলে তার পরিবার বেইট হ্যানউনের কবরস্থানে পৌঁছাতে পারেনি।

যেখানে তার আত্মীয়রা শুয়ে আছে তা চিহ্নিত করার জন্য তিনি মাটিতে ইট গেঁথে রেখেছেন।

এক সময় তিনি জানতে পারেন যে, ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজাররা তার বাড়িটি ধ্বংস করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি না কবরগুলো এখনও সেখানে আছে কি না। কারণ, কিছুই রক্ষা করা হচ্ছে না। কবরস্থানে জায়গা নেই। মৃতদের ফুটবল মাঠে দাফন করা হচ্ছে।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *