রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে বাংলাদেশে ভারতের প্রতিনিধি দল
ডেস্ক রিপোর্ট: রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে বাংলাদেশে ভারতের প্রতিনিধি দল
ছবি: বার্তা২৪.কম
রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের রাবার বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ভাসান তাগেসানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফআইডিসি) অধীন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির দাঁতমারা রাবার বাগান, নার্সারি ও রাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা পরিদর্শন করেছেন তারা। এ সময় বাংলাদেশ রাবার বোর্ড, বিএফআইডিসি এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ভারতীয় রাবার বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ভাসান তাগেসান বলেন, বাংলাদেশের রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে এসেছি। দুই দেশের আবহাওয়াগত মিল থাকলেও রাবার চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পার্থক্য রয়েছে। ফলে রাবারের মানের তারতম্য হচ্ছে। উন্নতজাতের গাছের চাষ হলে রাবার উৎপাদন বাড়বে এবং তা ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে বিশ্ববাজারে রফতানি করা যাবে।
বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সরওয়ার জাহান বলেন, ভারতীয় প্রতিনিধি দল আমাদের রাবার বাগান পরিদর্শন করেছেন। আমাদের দেশে রাবার গাছের যেজাত আছে তা থেকে যে কষ পাওয়া যায় তা খুবই কম। তাই আমরা চেষ্টা করছি ভারত থেকে রাবারের উন্নত ক্লোনিং জাত আমদানি করতে। তাদের জাতটি আমার যদি ক্লোনিং এর মাধ্যমে কাজে লাগাতে পারি তাহলে দেশের রাবারের উৎপাদন বাড়ানো যাবে।
তিনি বলেন, আমরা যে গাছগুলো থেকে রাবার সংগ্রহ করছি তা প্রায় ৪০-৫০ বছর আগে বিদেশ থেকে আনা জাত। যা থেকে ২০০-৩০০ গ্রাম রাবারের কষ পাওয়া যায়। কিন্তু উন্নতমানের গাছ লাগালে এর উৎপাদন কয়েকগুণ বাড়বে।
নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু
নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে কীটনাশক পানে জ্যোতিষ চন্দ্র (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল।
এর আগে রোববার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত বৃদ্ধ বড়ভিটা ইউনিয়নের খামারডুমরিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে জমিতে দেওয়া কীটনাশক পান করেন। পরে বাড়ির আঙিনায় বমি করা শুরু করলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেসময় দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।
কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, জমিতে দেওয়া কীটনাশক খেয়ে জ্যোতিষ চন্দ্র (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
;
সিলেটে শিবু হত্যা মামলার এক আসামি গ্রেফতার
ফয়সল আহমদ
সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবু (৩৬) হত্যা মামলায় ফয়সল আহমদ (৩২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ফয়সল নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগের ৪৮নং বাসার মৃত আ. মুকিতের ছেলে। তাকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ফয়সল একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
সোমবার রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি ফয়সল আহমদসহ আরও কয়েকজন মিলে গত বৃহস্পতিবার রাতে অমিত দাস শিবুকে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারে। আসামিদের একজন অমিতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
মারধরের একপর্যায়ে অমিত অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) দেবাংশু কুমার দে জানান, ফয়সল আহমদকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।
এর আগে শনিবার দুপুরে নিহত অমিত দাসের বড় ভাই অনুকূল দাস (৪২) বাদি হয়ে নগরীর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগ দলদলি চা-বাগানসংলগ্ন মাঠ থেকে অমিত দাস শিবুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন শুক্রবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে চালিবন্দর মহাশশ্মানে মরদেহ দাহ করা হয়।
নিহত অমিত দাশ শিবু সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার এলেংজুড়ি গ্রামের মৃত গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। সপরিবারে তিনি নগরীর কানিশাইল এলাকায় বসবাস করছিলেন।
;
এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু
এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু
কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া নয়াপাড়া শাল বাগান রাস্তার মাথা থেকে মো. সাইফ (৯) নামের এক ছাত্রকে অপহরণ করেছে অপহরণ চক্রের সদস্যরা। অপহৃত ভিক্টিম জাদিমুড়ার রহমানিয়া হোসাইনিয়া মাদরাসার নুরানি বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ও মৃত মোহাম্মদ হোছনের ছেলে। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে ছাত্রের মামা জামাল উদ্দীন জানান, রোববার বিকালে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে নয়াপাড়া শাল বাগান রাস্তার মাথা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিনের মত মাদরাসা ছুটি হয়ে রাত হলেও ছেলে বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজ করতে বের হয়। অনেক খুঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। পরে সকালে একটি মোবাইলফোন থেকে বাড়িতে কল করে বলে সাইফকে পেতে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে, না হয় তাকে পাওয়া সম্ভব না বলে মোবাইল কেটে দেন। তখন জানতে পেরেছি তাকে অপহরণ করা হয়েছে।
ভিক্টিমের ভাই রিয়াজ উদ্দীন জানান, আমার পিতা নাই। বেশি টাকাও নাই। অপহরণকারীরা এত টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আমরা তা কীভাবে দেব। আমার ভাইকে জীবিত উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে তাহার সহপাঠী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদরাসা ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাইফকে একজন যুবক এসে বলে, তোমার ভাবি আমার থেকে ৫ হাজার টাকা পাবে সেগুলো নেওয়ার জন্য বাড়িতে যায়। এর পরও যখন ভিক্টিমকে বিশ্বাস করাতে পারছিল না তখন অপহরণ চক্রের সদস্য তাহার মোবাইল থেকে সাইফের ভাবিকে কল দিয়ে কথা বলিয়ে দেওয়ার অভিনয় করে ১০ টাকার একটি নোট হাতে দিয়ে তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়।
টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তাকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।
;
কক্সবাজারে র্যাব-ডাকাতের গোলাগুলিতে কৃষক নিহত
ছবি: বার্তা২৪.কম
কক্সবাজারের ভারুয়াখালীতে র্যাব-ডাকাতের গোলাগুলিতে বায়াত উল্লাহ নামের এক কৃষক নিহত হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মুরা পাড়ায় এঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বেসরকারি সংস্থা প্রত্যাশীর এনজিও কর্মী মাসুদ চৌধুরী আজ বিকেলে অপহরণের স্বীকার হয়। বিষয়টি র্যাব জানতে পেরে ভারুয়াখালীর ৯ নং ওয়ার্ড মুরা পাড়ায় এলাকার পাহাড়ে র্যাব অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে ডাকাতরা। এসময় এক পর্যায়ে একজন নিরীহ কৃষক গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
নিহত বায়াত উল্লাহর ভাই করিম উল্লাহ জানান, শেরে বাহিনীর প্রধান ডাকাত ফরহাদ-মোস্তক এঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আমাদের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা বাজারে আসলে সবার মোবাইল ফোনের ভিডিও ক্যামেরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতো।
এঘটনায় এনজিও কর্মী মাসুদ চৌধুরীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেছে র্যাব। এসময় ডাকাত ফরহাদকে আটক করেছে বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।