বিনোদন

পাঠ্যসূচিতে স্থান পেল কাজল রেখা

ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশের জনপ্রিয় সিনেমা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কাজল রেখা’। চলতি বছর ঈদুল ফিতরে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ গীতিকাব্য কাজল রেখার প্রেক্ষিতে সিনেমার গল্প সাজানো হয়েছে।

কাজল রেখা নামের মেয়ের জীবনের গল্প ফুটে উঠেছে গীতিকাব্যে৷ সিনেমাতে অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, সাদিয়া আয়মান, শরিফুল রাজ,ইরিশ জাকের, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, খাইরুল বাসার সহ আরো অনেকে।

সম্প্রতি কাজলরেখা সিনেমাটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে বাংলা সাহিত্যের প্রতীকী হিসেবে প্রতিটি হিসেবে সিনেমাটিকে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের কোর্সের অন্তর্ভুক্ত পাঠের অংশ হবে সিনেমাটি। এই নিয়ে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সম্মাননার জন্য।

এর আগেও বাংলার ঐতিহ্যবাহী উপন্যাস গুলোতে তৈরি হওয়া সিনেমাগুলোকে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বহিপীর, লালসালু,  হাজার বছর ধরে, পদ্মা নদীর মাঝি ইত্যাদি অনেক সিনেমাকে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের উদ্দেশ্যে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।এইবার সেই দলে যোগ দিল কাজল রেখা সিনেমাও। সিনেমার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান, চরিত্র সম্পর্কে জ্ঞান, গল্পের গভীরতা ও ধারাবাহিকতা  ইত্যাদি নানারকম বিষয় বুঝতে সুবিধা হয়।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজলরেখার শুটিং হয়েছে প্রায় ৫০ দিন। সিনেমার মূল শুটিং লোকেশন সুসঙ্গ দুর্গাপুরের লক্ষ্মীপুর অঞ্চল। এছাড়া খুলনার সুন্দরবন, কক্সবাজার, সিলেটের হাওর অঞ্চল এবং ঢাকার মিরপুর অঞ্চলে সিনেমাটির শুটিং হয়েছে। তরুণ ও অভিজ্ঞদের মিশ্রণে শতাধিক শিল্পী-কুলাকুশলী এতে কাজ করেছেন। আর ছবিটির বিভিন্ন শুটিং পর্যায়ে সহস্রাধিক কর্মী সরাসরি এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মিত পাঁচটি সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি ‘কাজলরেখা’। ময়মনসিংহ গীতিকার আদি গল্পকাহিনী নিয়ে নির্মিত ‘কাজলরেখা’ সিনেমাটির সব শিল্পী ও কলাকুশলী বাংলাদেশের হলেও ভিএফএক্সসহ কিছু কারিগরি সহায়তায় যুক্ত ছিলেন ভারতের কুশলী শিল্পীরা।

গীয়াসউদ্দিন সেলিম ছবিটি দীর্ঘ বছর ধরে মনের আঙিনায় যত্ন করে তিনি ২০০৯ সালের শেষ দিকে ‘কাজলরেখা’ নির্মাণের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেন। দীর্ঘ ১২ বছর গবেষণা, গীত সংগ্রহ, চিত্রনাট্য রচনা, লোকেশন নির্বাচন ইত্যাদি শেষে ২০২২ সালে ছবিটির দৃশ্যায়ন শুরু হয়। অবশেষে তা এখন দর্শকের আঙিনায়। তিনি বাংলাদেশের মতো ছোট্ট সিনেমা বাজারের ছোট্ট বাজেটে কয়েকশ’ বছরের পুরনো গল্পকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তার গভীর গবেষনা সিনেমায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *