কালাই

কালাইয়ে হাসপাতালে বেড়েছে রোগী, বাড়তি চাপ সামলাতে হিমশিম

ডেস্ক রিপোর্ট:

তীব্র তাপ প্রবাহের কারনে প্রচন্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে হাসপাতালে বাড়ছে রুগী।  কোনোভাবেই এই গরম সহ্য করতে পারছে না নবজাতক, শিশু, বৃদ্ধসহ সকলেই। চলতি দাবদাহে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড, হিটস্ট্রোকসহ গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। 

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় কোন শয্যা ফাঁকা নেই। ওয়ার্ডগুলোতে শয্যা না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। জরুরি বিভাগ ও বহিঃ বিভাগে অনেক ভিড়। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক ও নার্সরা হিমশিম খাচ্ছেন।

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক রোগী। গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে শিশু, পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে ৪৯ জন নতুন রুগীসহ সর্বমোট ৮৪ জন রোগী ভর্তি ছিল। যাদের বেশির ভাগই ডায়রিয়া, জ্বর, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত। এছাড়াও বহিঃবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ জন রুগী  চিকিৎসা নিতে আসেন।

উপজেলার মোসলেমগঞ্জ এলাকার আনোয়ার হোসেন পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি তিনি জানান পেটের সমস্যা ও গরমে ডায়রিয়া লক্ষণ মনে করে সকালে ভর্তি হয়েছেন।

কালিমহর মহল্লার শাহিনুর ইসলাম জানান শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি তার বারো মাস বয়সী শিশু। জ্বর ও বমি নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। গরমে শরীর খুব দুর্বল হয়ে পড়েছে, কিছু খেতে পারছেন না।

আওড়া মহল্লার রবিউল ইসলাম জানান সতেরো মাস বয়সী তার শিশু একদিন আগে জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। এখনো ভালো হচ্ছে না। তীব্র গরমের কারনে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পরেছে। 

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রেজাউল করিম  বলেন, হাসপাতালে গরমজনিত রোগ নিয়েই ভর্তি হচ্ছেন বেশির ভাগ রোগী। তীব্র গরমের কারনে রুগীর চাপ বেড়েছে। ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন ৬০/৭০ জন করে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। 

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফয়সল নাহিদ পবিত্র বলেন সল্প জনবল দিয়েই আমরা আন্তরিকতার সাথে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছি। জনবল দেওয়ার জন্য কতৃপক্ষের নিকট একাধিকবার দাবি ও আবেদন করা হয়েছে। শূন্যপদে চিকিৎসক ও জনবল দেওয়া হলে রুগীদের আরো উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

আব্দুন নুর নাহিদ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় ডেইলি জয়পুরহাট-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *