আন্তর্জাতিক

‘আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, আমাদের পুলিশ সেটা অনুসরণ করতে পারে’

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন একটা বিষয় ভেবে দেখা যায়, আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, সেটা এখন আমাদের পুলিশ অনুসরণ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আন্দোলন করে করুক। সেখানে তো আমরা বাধা দিচ্ছি না। তবে এখন একটা বিষয় ভেবে দেখা যায়, আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, সেটা এখন আমাদের পুলিশ অনুসরণ করতে পারে। আমাদের পুলিশ আমেরিকান পুলিশদের অনুসরণ করতে পারে।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আমরা তো ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। ধৈর্য ধরতে গিয়ে তাদের পিটিয়ে মেরেছে। তবে এখন মনে হয়, আমাদের পুলিশ আমেরিকান স্টাইলে আন্দোলন দমনের ব্যবস্থাটা নিতে পারে’।

আগ্রাসন-নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
থাইল্যান্ড সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুরু

ফিলিস্তিনে যেভাবে গণহত্যা চলছে, সেটা ‘অমানবিক’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় ৯শ ছাত্র-ছাত্রী, প্রফেসর আটক হয়েছে আন্দোলন করার জন্য। এটা নাকি গণতন্ত্রের একটা অংশ, সেটাও আমাদের শুনতে হয়! যেভাবে একজন প্রফেসরকে দাবড়ে ধরে মাটিতে ফেলে আটক করা হলো, হ্যান্ডকাফ পরানো হলো, ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর সেভাবে অত্যাচার করেছিল বিএনপির বাহিনী ও পুলিশ। তাদের কাছ থেকে আবার আমাদের মানবাধিকারের ছবক নিতে হয়। এটাই সব থেকে দুর্ভাগ্যের!

বৃহস্পতিবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

‘বাম চলে গেছে ৯০ ডিগ্রি’ ঘুরে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাও আমার একটা প্রশ্ন, আমি সেটা করতে চাই। যারা অতি বাম, তারা নাকি অনেক প্রোগ্রেসিভ দল, গণমুখী দল! ঠিক আছে, আমাকে উৎপাত করবে! কিন্তু পরবর্তীতে কে আসবে, সেটা কি ঠিক করতে পেরেছে! সেটাই তো আমার প্রশ্ন! কে আসবে ক্ষমতায়! কে দেশের জন্য কাজ করবে, কাকে তারা আনতে চায়, এটা কিন্তু স্পষ্ট না।

স্পষ্ট নয়, বলেই তারা কিন্তু জনগণের কোনো সাড়া পাচ্ছে না। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। তার বদৌলতে অনলাইনে আন্দোলন সংগ্রাম করেই যাচ্ছে, নির্দেশ করে যাচ্ছে’।

‘আমরা জনগণের অধিকার নিশ্চিত করে নির্বাচন করেছি’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে যদি দেখেন, প্রত্যেকটা নির্বাচন যদি কেউ ভালো করে তুলনা করে, তাহলে দেখবে যে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সবচেয়ে বেশি অবাধ, সুষ্ঠু ও জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নির্বাচন হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছি আমরা’!

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *