বিনোদন

সালমানের বাড়িতে গুলি করা আসামি পুলিশি হেফাজতে আত্মহত্যা

ডেস্ক রিপোর্টঃ বলিউড তারকা সালমান খানের বাড়িতে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে মারা গেছেন। অনুজ থাপন (৩২) নামের ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি মুম্বাই পুলিশের।

মুম্বাই পুলিশ আজ বুধবার জানায়, বিছানার চাদর দিয়ে শৌচাগারে গলায় ফাঁস নিয়েছিলেন অনুজ থাপন। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু উল্লেখ করে এ ঘটনায় দক্ষিণ মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দান থানায় প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

গত ১৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় সালমান খানের বাড়ি গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট নিশানা করে একাধিক গুলির ঘটনা ঘটে। এরপর ভিকি গুপ্ত ও সাগর পাল নামে অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। দুই বন্দুকধারীকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে পাঞ্জাব থেকে অনুজ থাপন ও সোনু সুভাষ নামের আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে তারা পুলিশি হেফাজতে ছিলেন।

মুম্বাইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর ধারণা এটি শুধুমাত্র ভয় দেখানো কোন হামলা নয়। এর পেছনে দেশবিরোধী সন্ত্রাসীদের হাত রয়েছে। তাদের ধারণা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-কে বাইরে থেকে অস্ত্র ও তহবিল দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। আর এই হামলা একটি দেশদ্রোহী পদক্ষেপ। বিষ্ণোই গ্যাং ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি মুখ্য।

সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

বর্তমানে মামলায় অভিযুক্ত শ্যুটারদের সরবরাহ করা অস্ত্রের উৎস সম্পর্কেও পুলিশ তদন্ত করছে। বিষ্ণোইয়ের অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের পরিসরের প্রেক্ষিতে সন্দেহ করা হচ্ছে নানারকম সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডই তাদের মূল উদ্দেশ্য। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে যে গ্যাংটি বিদেশে থাকা দেশবিরোধী সহায়তা পেয়েছিল কিনা। বিশেষ করে অস্ত্র সরবরাহ এবং আর্থিক সমর্থন।

 
সালমানের বাড়িতে হামলার পরই ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে দায় স্বীকার করেন আনমোল বিষ্ণোই। জেল হেফাজতে থাকা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ছোটভাই সে। তদন্তের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ভিকি গুপ্তা (২৪), সাগর পাল ( ২১) এবং অনুজ থাপান (৩২)-কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ৮ মে অবধি রিমান্ডে রাখা হবে। ভিকি আর সাগর আগে ধরা পড়ে। তারপরই একের পর এক তথ্য পাচ্ছে পুলিশ। পুলিশকে জানিয়েছেন, জেলবন্দী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই তাদের এ কাজের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন।

সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

আনমোল চেয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কাছে মথানিয়ার বাবড়ে কৃষ্ণকায় হরিণ শিকারের জন্য সালমানকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে। দুই অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, সালমানকে শুধু ভয় দেখানোর কথা তাদের বলা হয়েছিল। এই অভিনেতাকে হত্যার নির্দেশ তাদের দেওয়া হয়নি। এই কাজে তাদের ১ লাখ টাকা অগ্রিমসহ মোট ৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এমনকি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ার লোভও দেখানো হয় তাদের।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *