শাকিব খানের জন্য বার বার হোচট খাচ্ছেন পূজা চেরী!
ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি নানা ভূমিকায় দর্শকের মন জয় করেছেন। তিনি মডেল, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হিসেবে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
এবার নতুন এক ভূমিকায় দেখা গেলো এই নায়িকাকে। ‘কোচ’ হিসেবে কাজ করলেন সম্প্রতি। না, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা খেলার মাঠে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেননি তিনি। পরী যেহেতু সিনেমার মানুষ, তাই সিনেমা জগতের মানুষের সামনেই কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
প্রথমবার কলকাতার ছবিতে কাজ করলেন পরীমনি। দেবরাজ সিনহা পরিচালিত ‘ফেলুবকশী’ নামে সেই সিনেমার শুটিং গত সোমবার শেষ করেছেন তিনি।
‘ফেলুবকশী’ সিনেমায় পরীমনির লুক / ছবি : ফেসবুক কাজটি করে দারুণ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন পরীমনি, ‘একটা সময় আমার মনেই হয়নি আমি অন্য পরিবেশে, অন্য দেশের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছি। পরিচালক থেকে শুরু করে সহশিল্পী সোহম দাদা, মধুমিতাসহ সবাইকে আমার দেশীয় সহশিল্পীদের মতোই মনে হয়েছে। কাজ, কাজের ফাঁকে আড্ডা, খুনসুটি-দারুণ সময় কেটেছে।’
পরী জানান, খুনসুটি করতে গিয়ে একে অপরকে পচিয়েছেনও তারা। বলেন, ‘‘আমি এসব বলে পুরো সেট হাসিয়েছি যে, তোমরা যখন সংলাপ দাও, উচ্চারণ ভুলভাল মনে হয়। বাংলাটা শুনতে কেমন যেন লাগে। দেখ, আমরা কত সুন্দর করে বাংলা উচ্চারণ করি। আমাদের দেশের বরিশালের প্রচলিত সংলাপ ‘ডাইলে লবণ দেছো, না দেবা?’ এই বলে ওখানকার এক সহশিল্পী আমাকেও পচিয়েছে। হা হা হা…।’’
পরীমনি / ছবি : ফেসবুক পরীমনি আরও বলেন, ‘‘ওখানকার অনেক মানুষের আদি বাড়ি বাংলাদেশের বরিশাল ও ফরিদপুরে। তাই আমি তাদের সামনে ভাষা শেখানোর কোচ-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েঠি। ওদের বরিশাইল্লা ভাষা শিখিয়েছি। যেমন, ‘ও মোনু, এম্মি আইয়ো’। শেখানোর পর যখন এই বাক্য ওদের মুখে শুনি, হাসতে হাসতে মরি।’’
কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে পরী বলেন, ‘যে কোনো নতুন ছবি, নতুন গল্প, নতুন চরিত্র, নতুন জায়গা, নতুন সহশিল্পী কিংবা নতুন পরিবেশে একধরনের আনন্দ নিয়েই কাজ শুরু হয়। তবে সেই কাজ ঠিকঠাক শেষ করতে পারলে আনন্দ আরও দ্বিগুণ হয়। নতুন জায়গা হলেও আমরা একই ভাষাভাষীর। শুধু মাঝখানে একটা কাঁটাতারের দেয়াল। ফলে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সময় লাগেনি। প্রায় ১৪ দিন কাজ করলাম, পার্থক্য শুধু একটা জায়গায়, আমরা বেশি আবেগপ্রবণ, তারা বেশি পেশাদার।’
পরীমনি / ছবি : ফেসবুক
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।