সারাদেশ

সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ সাঈদ খোকনের

ডেস্ক রিপোর্ট: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা, সমুদ্রের পানির উচ্চতা এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় এলাকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ প্রেক্ষিতে জলবায়ু সহনশীল মৎস্য চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা, সমুদ্রের পানির উচ্চতা এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় মৎস্য সম্পদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এছাড়া, নদীসমূহে লবণাক্ত পানি অনুপ্রবেশের ফলে মিঠাপানির মাছ ও প্রাথমিক উৎপাদনশীলতায় পরিবর্তন ঘটছে। উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে মাছের আবাসস্থল, বিচরণক্ষেত্র, অভিপ্রায়ণ ও প্রজনন প্রভাবিত হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে, বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণ ও দেশীয় মাছের বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা পরিচালনা করে আসছে।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট হতে মৎস্য সম্পদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নির্ণয়ের জন্য সম্প্রতি ‘Effect of Climate Change on the Ecology and Biodiversity of Inland Open Water Fishes’ শীর্ষক একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মেঘনা, তেঁতুলিয়া, আন্ধারমানিক, গলাচিপা, পায়রা, পশুর, ময়ুর, ডাকাতিয়া, শিবসা, রায়মঙ্গল ও বলেশ্বর নদীর নিম্নাঞ্চলেও লবণাক্ততা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মিঠাপানির নদ-নদীর নিম্নাঞ্চলে মাঝে-মধ্যে লোনাপানির মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। এ প্রেক্ষিতে, উপকূলীয় অঞ্চলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য লবণাক্ততা সহিষ্ণু তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ উপকূলীয় ঘেরে চাষ করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দেশে মিঠাপানির জলাশয়ে ২৬১ প্রজাতির মাছ আছে। আইইউসিএন ২০১৫ সালে ৬৪ প্রজাতির দেশীয় মাছকে বিলুপ্তপ্রায় হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত করে। দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছসমূহ সুরক্ষায় দেশে প্রথম বারের মতো ২০২০ সালে ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে লাইভ জীন ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত এ লাইভ জীন ব্যাংকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দেশীয় প্রজাতির মাছকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রকৃতি থেকে কোন মাছ হারিয়ে গেলে এই লাইভ জীন ব্যাংকে সংরক্ষিত মাছকে হ্যাচারিতে কৃত্রিম উপায়ে পোনা উৎপাদন করে জলাশয়ে ছেড়ে দেয়া যাবে এবং চাষাবাদ করা যাবে।

এতে করে প্রকৃতি থেকে কোন মাছ হারানোর ঝুঁকি আর থাকবে না। এছাড়াও ইনস্টিটিউট থেকে দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে জাতীয় চাহিদার নিরিখে গবেষণা পরিচালনা করে এ যাবত পর্যন্ত ৩৯টি বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজনন এবং চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *