আন্তর্জাতিক

সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ চলছে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ চলছে ৷ গ্যাস পাওয়া গেলে তা সাত থেকে আট বছর পর উত্তোলন করা যাবে।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) আহম্মেদ হোসেনের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ সব কথা জানান।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৬-২০১৭ সালে আমরা গভীর সমুদ্রে খনিজ সম্পদ বা গ্যাস আহরণের মাল্টিপ্লান সার্ভে করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করি। তার মধ্যে বিশেষ করে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আমরা মাল্টিপ্লান সার্ভে করার জন্য প্রস্তুতি নেই। তার আগে আমরা মিয়ানমারের বর্ডারের সঙ্গে তিনটি ব্লক দুটি কোম্পানিকে দিয়েছিলাম। তারা এখানে সার্ভে করার যে পরিমাণ গ্যাস তারা পাবে বলে মনে করেছিল তা ভিজিবল হয়নি, তারা দেখতে পায় কম গ্যাস আছে সেখানে, তারা সরে যায়। ইতোমধ্যে মাল্টিপ্লান সার্ভে শেষ হয়েছে, আমরা টু ডি সার্ভের রেজাল্ট পেয়ে গেছি। ইতোমধ্যে আমরা গভীর সমুদ্রবন্দরে চলে গেছি। প্রায় ১৭টি কোম্পানি ইচ্ছে প্রকাশ করেছে এতে বৃহৎ কোম্পানি শেভরনসহ আরও বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানি রয়েছে। তারা বিট করার জন্য টুডি সার্ভের রেজাল্ট নিয়েছে। বুধবার থেকে তাদের সঙ্গে আমাদের মিটিং আছে। বিডিং শেষ হবে সেপ্টেম্বরে।

তিনি বলেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে আমরা কোম্পানিগুলোকে থ্রিডি সার্ভের জন্য বিভিন্ন ব্লকে নিয়োগ দেবো। প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট করার পর যদি গ্যাস বা তেল থাকে ৭-৮ বছর পর তাহলে সে গ্যাস বা তেল উত্তোলন করতে পারবো।

বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও উৎপাদন ক্ষমতা বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জানুয়ারি ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।

নসরুল হামিদ বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। এ ছাড়া অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও দাবদাহ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হব।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *