খেলার খবর

সিলেটে ভোটযুদ্ধে বিজয়ী যারা

ডেস্ক রিপোর্ট: বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে সিলেটের চারটি উপজেলায় শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়।

ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন চারটি উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

সিলেটের চারটি উপজেলায় বিজয়ী যারা-

সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬৩ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন সাংবাদিক মো. সাইফুল ইসলাম। উড়োজাহাজ প্রতীকে তিনি ১৮ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাংবাদিক ওলিউর রহমান। তিনি টিয়া পাখি প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৫৮টি।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. হাসিনা আক্তার। ফুটবল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন মোট ৩৫ হাজার ৭৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি দিলরুবা বেগম। পদ্মফুল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫৮১ ভোট।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম। তিনি টেলিফোন প্রতীকে ২০ হাজার ৬১৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৫৫ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মো.মাহবুবুর রহমান। তিনি মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের ফয়েজ আহমদ ১৮ হাজার ৯০ ভোট পেয়েছেন।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আইরিন রহমান কলি। তিনি পদ্মফুল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২০ হাজার ২৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের মোছা. ফহিমা বেগম পেয়েছেন ১৮ হাজার ৮২০ ভোট।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম।

তিনি দোয়াত কলমে প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৮৯ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল যুবলীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৭ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. নাবেদ হোসেন। তিনি চশমা প্রতীকে ২১ হাজার ৬৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. লবিবুর রহমান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৫২০ ভোট।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন সেলিনা আক্তার শীলা। তিনি ৪৬ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নার্গিছ আক্তার কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৫৭ ভোট।

বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী। তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগ নেতা মুহিবুর রহমান সুইট। তিনি মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ইসলাম উদ্দিন বই প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫১২ ভোট।

নারী ভাইস চেয়াম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কলস প্রতীকের মোছা. করিমা বেগম। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৫৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মোছা.জুলিয়া বেগম ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৫৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *