খেলার খবর

বদলি নামা হোসেলুর ম্যাজিকে ফাইনালে রিয়াল 

ডেস্ক রিপোর্ট: সেমির ফিরতি লেগের পুরো ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগের ভিনিসিয়ুস, রদ্রিগোর একের পর শট ঠেকিয়ে দিচ্ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। মাঝে আলফনসো ডেভিসের গোলে এগিয়েও যায় তার দল। তব সমীকরণ মিলিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালকে থামিয়ে দেওয়ার দুয়ারেই পৌঁছেছিল বাভারিয়ানরা। তবে চলতি মৌসুমে ‘অপ্রতিরোধ্য’ রিয়াল, এতো সহজেই যেন হার মেনে নিতে রাজি নয়। ম্যাচের পুরো সময় গোলপোস্টে দেয়াল তৈরি করা নয়্যার শেষ দিকে এসে করে বসলেন ভুল এবং সেই সুযোগ হাতছাড়া করলেন না বদলি হিসেবে নামা হোসেলু। ৮৮ মিনিটে সমতায় ফেরানোর ঠিক দুই মিনিট পর আবারও গোল করে বসেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। তাতেই প্রত্যাবর্তনের আরও একটি গল্প লিখে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পৌঁছালো কার্লো আনচেলত্তির দলটি। 

সেমির আগের লেগের ম্যাচটি বায়ার্নের মাঠে শেষ হয়েছিল ২-২ ড্রয়ে, এবার ফিরতি লেগে ২-১ ব্যবধানে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে ফাইনালে উঠে যায় রিয়াল। এতে রেকর্ড ১৪টি শিরোপাজয়ী দলটি ফাইনালে উঠল রেকর্ড ১৮ বারের মতো। আগামী ১ জুন ১৫তম শিরোপা জয়ের লক্ষ্য ওয়েম্বলিতে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে নামবে ভিনিসিয়ুস-বেলিংহামরা। 

গত রাতের ম্যাচটির আগেই রিয়াল কোচ আনচেলত্তি বলেছিলেন, বায়ারন-রিয়াল সমান শক্তিশালী। সেটির মিল রেখেই যেন শুরু থেকেই লড়ছিল দুই দল। ম্যাচের ২৯তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো বায়ার্ন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে হ্যারি কেইনের নেওয়া দারুণ এক শট সেখানে ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। এদিকে পাল্টা-আক্রমণে রিয়ালের একাধিক শট রুখে দেন নয়্যার। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ব্যবধানেই। 

পরে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের মাত্রা আরও কয়েক গুণে বাড়ায় রিয়াল। ৫৮ ও ৫৯ মিনিটে রদ্রিগোর ফ্রি-কিকের পর ভিনিসিয়ুসের জোরালো এক শটে ঠেকিয়ে দেন নয়্যার। এগিয়ে যাওয়ার দৌড়ে স্বাগতিকরাি ছিল এগিয়ে। তবে তা ছাপিয়ে ৬৮তম মিনিটে গোল করে বসলেন বায়ার্ন উইঙ্গার আলফনসো ডেভিস। ডি-বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে ভেতরে ঢুকে কারবাহাল-রডিগারদের পাশ কাটিয়ে কোনাকুনি দারুণ এক শটে বল লক্ষ্যে পৌঁছান এই কানাডিয়ান ফুটবলার। 

পিছিয়ে পড়ে একের পর সুযোগ তৈরি করেও সমতায় ফিরতে পারছিল না রিয়াল। আক্রমণ বাড়াতে ৮১তম মিনিটে ফেদে ভালভার্দেকে তুলে হোসেলুকে নামান আনচেলত্তির। সেই সাবই শেষ পর্যন্ত পরিণত হলো সুপার সাবে। ৮৮তম মিনিটে ভিনিসিয়ুস সোজাসুজি এক শট ধরতে গিয়ে হাত ফসকে যায় নয়্যারের। সেখানে সুযোগ পেয়ে কোনো ভুল না করে বল জালের ঠিকানায় পৌঁছে দেন হোসেলু। এর দুই মিনিট পরই নাচোর পাস থেকে রুডিগার বল বাড়ান হোসেলুর উদ্দেশ্যে। সেখানে আরও একবার বল লক্ষ্যে পৌঁছে দেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। তবে সঙ্গেই বেজে উঠে রেফারির অফ-সাইডের বাঁশি। পরে ভিএআরে দেখা মিলে রুডিগার, হোসেলু দুজনেই ছিলেন অন-সাইডে। গোল পেয়ে যায় রিয়াল এবং তিন মিনিটে জোড়া গোল করে রিয়ালকে ফাইনালে তোলার নায়ক বনে যান হোসেলু।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *