সারাদেশ

রাঙামাটিতে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়ে শ্রমিক নেতাদের সংবাদ সম্মেলন

ডেস্ক রিপোর্ট: রাঙামাটিতে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়ে শ্রমিক নেতাদের সংবাদ সম্মেলন

ছবি: বার্তা২৪

রাঙামাটিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক শ্রমিকনেতাকে মারধরের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে করে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন ছয় সংগঠনের নেতারা। ট্রাক ড্রাইভারদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনকে রাউজান ডেকে নিয়ে মারধর করাসহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিষয়টির সুরাহা না হলে তারা রাঙামাটি-চট্টগ্রাম রুট, রাঙামাটি-কাপ্তাই হ্রদের সব রুটে সবধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে রাঙামাটির ট্রাক টার্মিনালে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে রাঙামাটি জেলা সড়ক পরিবহন ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়ন, অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন, ট্রাকচালক কল্যাণ সমিতি, নৌযান শ্রমিক ইউনিয়ন, লঞ্চ মালিক সমিতি ও মিনি ট্রাক-পিকআপ মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে রাঙামাটি জেলা সড়ক পরিবহন ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন তার বক্তব্যে বলেন, গত রমজানের শুরুতে তুচ্ছ ঘটনায় কয়েকজন ট্রাক-ড্রাইভার নিজেদের মধ্যে বিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ছিদ্দিক ড্রাইভারের নেতৃত্বে রাঙামাটি থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রায় দেড়শ মালবাহী ট্রাক রাউজানে আটক করে রাখা হয় এবং রাঙামাটির ড্রাইভারদের রাউজানে মারধর করা হয়।

পরে বিষয়টির মীমাংসা করার কথা বলে রাঙামাটির সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে রাউজান ডেকে নিয়ে যান। সেখানে সবার সামনেই তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান মারধর করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন রুহুল আমিন।

তিনি বলেন, এ ঘটনার পর মুমূর্ষু অবস্থায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চারদিন চিকিৎসা নিতে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি চট্টগ্রামের আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, তাকে ফাঁসানোর জন্য রাঙামাটির মানিকছড়ির রউফ চত্বরে মঙ্গলবার ভোররাতে চালক ইলিয়াছের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

এদিকে, রুহুল আমিনের অভিযোগ অস্বীকার করে রাঙামাটি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান জানিয়েছেন, রুহুল আমিন নিজেই তার কার্যালয়ে এসেছিলেন এবং তাকে রাউজান নিয়ে গিয়ে সমাধানের অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, সে সময়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও রয়েছে। এছাড়াও রাঙামাটির সদর সার্কেলের দায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কোতোয়ালি থানার ওসির পক্ষ থেকেও আটক ট্রাকগুলো ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য তাকে রাউজান যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। পরে সেখানে গেলে রুহুল আমিনের উল্টাপাল্টা কথা বার্তায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারধরের চেষ্টা চালায়। তখন তিনি রুহুল আমিনকে রক্ষা করে রাঙামাটিতে নিয়ে যান। রুহুল আমিন নিজেও সেটি স্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, এখন সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে নতুন করে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

এদিকে, রাঙামাটি ও চট্টগ্রামের রাউজানের ট্রাক-চালকদের মধ্যে অন্তর্কোন্দলের ফলে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় উভয় এলাকার চালকদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বগুড়ায় ৩ উপজেলায় জামানত হারালেন ১৬ জন

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ৩২ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারালেন ১৬ জন। নির্ধারিত সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের এসব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এরমধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারমস্যান পদে ৫ জন করে ১০ জন প্রার্থী তাদের জামানতের টাকা ফেরত পাবেন না।

গত বুধবার (৮ মে)প্রথম ধাপে বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলী উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে সারিয়াকান্দিতে একমাত্র বিজয়ী চেয়ারম্যানপ্রার্থী ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বি অন্য ৪ প্রার্থীই তাদের জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম মন্টু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাজাহান আলী, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম ও সাধারণ সম্পাদক আশিক আহম্মেদ। এই উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীই তাদের জামানত ফেরৎ পেলেও ভাইস চেয়ারম্যান পদের ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- আয়েন উদ্দিন, তোফাজ্জল হোসেন, রাকিবুল হাসান, সাইফুজ্জামান ও সাখাওয়াত হোসেন ছকো।

সোনাতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারমান পদে সব প্রার্থী তাদের জামানত ফেরৎ পেলেও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের কুহেলী চক্রবর্তী ও জান্নাতুল ফেরদৌসী তাদের জামানত হারাচ্ছেন।

গাবতলী উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে কেউ জামানত না হারালেও চেয়ারম্যান পদে দু’জন যথাক্রমে আতাউর রহমান ও সাহানুর ইসলাম শাকিল তাদের জামানতের টাকা ফেরৎ পাবেন না। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমা আকতার, ফেরদৗসী বেগম ও রোকসানা আকতার তাদের জামানত হারাচ্ছেন।

বগুড়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ওই তিন উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, বিগত সময়ে প্রার্থীদের প্রদত্ত ভোটের শতকরা ৮ ভাগ ভোট পেলেই জামানতের টাকা ফেরৎ দেওয়া হতো; এবার সেটি সংশোধন করে শতকরা ১৫ ভাগ করা হয়েছে। মোট প্রদত্ত ভোটের শতকরা ১৫ ভাগ ভোট না পেলে সেসব প্রার্থী তাদের জামানতের টাকা ফেরৎ পাবেন না। এই তালিকাতে ওই তিন উপজেলার ১৬ জনের নাম রয়েছে।

;

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ভুয়া এনআইডি চক্র

ছবি: বার্তা ২৪

জালিয়াতির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নতুন করে ভুয়া জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) তৈরি ও এনআইডি সংশোধন করে আসছিল একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ চক্রে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাও জড়িত। চক্রের মূলহোতা ও নির্বাচন কমিশনের এক ডাটা অপারেটরকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সনাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি’র প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হারানো এনআইডির কপি উত্তোলন, এনআইডি সংশোধন, জন্ম নিবন্ধনের ডিজিটাল কপি ও নাম সংশোধন এবং কোভিড-১৯ টিকার কপি ও টিন সার্টিফিকেটের কপি সরবরাহের বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহক সংগ্রহ করতো। গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দীর্ঘদিন ধরে এসব কাজ করে আসছিল এ চক্রের সদস্যরা। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার পাবনা থেকে লিটন মোল্লা (২৩) ও বাগেরহাট থেকে জেলার থানা নির্বাচন কমিশন অফিসের ডাটা অপারেটর মো. জামাল উদ্দিন কে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার লিটনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে আসাদুজ্জামান বলেন, লিটন নতুন ভুয়া এনআইডি ও এ সংক্রান্ত তথ্যাবলী নির্বাচন কমিশনে কর্মরত মো. জামাল
উদ্দিনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন অফিসের সার্ভার থেকে সংগ্রহ করতো। এসব কাজের জন্য তারা গ্রাহকদের সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অর্থ লেনদেন করতো। এছাড়াও চক্রটি জাল এনআইডি তৈরি, হারানো এনআইডির কপি উত্তোলন ও সংশোধন করা, সিম কার্ডের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ও এর বিপরীতে রক্ষিত এনআইডি প্রদান, এনআইডির পূর্নাঙ্গ বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান, ভুয়া কোভিড-১৯ টিকা কার্ড বানিয়ে দেওয়া, ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি ও টিন সনদের তৈরি করে দিতো।

তিনি আরও বলেন, এভাবে জালিয়াতি মাধ্যমে চক্রের হোতা লিটন কোটি টাকা আয় করেছে। গ্রেফতার জামাল নির্বাচন কমিশনের সার্ভার সহযোগিতা করে অবৈধভাবে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে সিটিটিসির প্রধান বলেন, এই প্রতারক চক্রের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্তরত কিছু অসাধু কর্মচারি জড়িত আছে। এছাড়াও আর কারা কারা চক্রের সঙ্গে জড়িত তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যারাই জড়িত থাকুক সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

;

বাংলাদেশে আসছেন নেপালের প্রধান বিচারপতি

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসছেন নেপালের প্রধান বিচারপতি বিসম্ভর প্রসাদ শ্রেষ্ঠা। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির (বিমস) গোল্ড মেডেল প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তিনি বাংলাদেশে আসবেন। বিমসের পক্ষ থেকে নেপালের প্রধান বিচারপতিকে গোল্ড মেডেল দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) বিমসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ঢাকায় আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক মেডিয়েশন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে নেপালের প্রধান বিচারপতিকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হবে। তিনি আসার জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। নেপালের প্রধান বিচারপতির সফরসঙ্গী হিসেবে নেপাল সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিসহ ১৫ জন সিনিয়র আইনজীবী বাংলাদেশে আসবেন বলেও জানান অ্যাডভোকেট গোস্বামী।

অনুষ্ঠানে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ, জম্মু-কাশ্মির হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তালসহ বাংলাদেশের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত থাকবেন।

;

মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই ৯০০ মরদেহ দাফনের তথ্য দেয় মিল্টন: ডিবি

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)’র অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কথিত মানবতার ফেরিওয়ালা ও চাইল্ড এন্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সামাদ্দার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন ভিডিওতে ৯০০ মানুষ দাফনের তথ্য দিয়েছে। অথচ বাস্তবে সে দাফন করেছে মাত্র ১৩৫ জন। ভিডিওর মাধ্যমে এমন তথ্য ছড়িয়ে সমাজের মানবিক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে টাকা হাতিয়ে নিত।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, মানবপাচার ও জালিয়াতিসহ মিল্টন সামাদ্দারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। তাকে দুই মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মিল্টনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত যে অভিযোগগুলো উঠেছে তার বেশিরভাগই স্বীকার করেছে। ভুয়া মৃত সনদ তৈরি করার বিষয়টি স্বীকার করেছে। অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসক না থাকার অভিযোগ স্বীকার করেছে। মাদক সেবন করে সে তার আশ্রমের অসুস্থদের নির্যাতন করত।

মিল্টন কাউকে পরোয়ানা না করার কারণ অনেক বিশেষ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। আবার অনেকেই মিল্টনের আশ্রমে শিশু ও অসুস্থ মানুষ দিয়ে আসত। কিছুদিন পর যখন তারা খোঁজ নিতে যেতো তখন সে তাদের ধরেই পিটাত। এর সবই সে স্বীকার করেছে।

৯০০ লাশ দাফনের বিষয়ে রিমান্ডে মিল্টন বলেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ও লাইভে এসে সে টাকার লোভে এই তথ্য ছড়াত। ৯০০ লাশ কবর দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা নেই। বরং সে মাত্র ১৩৫ টি মরদেহ দাফন করেছে। তার আশ্রমে থাকা অনাথ শিশু ও অসুস্থ মানুষদের দেখিয়ে ভিডিও তৈরি করে মানুষের বিবেকে নাড়া দেওয়ার চেষ্টা করত। তার ভিডিও দেখে অনেক মানবিক মানুষ তাকে টাকা পাঠাতো। যেহেতু সে মানবতার ফেরিওয়ালা সেঁজে অসহায় মানুষের সেবা দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু তার আশ্রমে কোনো চিকিৎসক না রেখে মিল্টন নিজেই অপারেশন করত। অনেক সময় হাত পা কেটে ফেলত। এর ফলে রোগীরা আত্মচিৎকার করত। আর এতেই মাদকাসক্ত মিল্টন পৈশাচিক আনন্দ পেতো। ব্লেড ও ছুরি দিয়ে কাটাছেঁড়ার ফলে অনেকে যন্ত্রণায় ভুগে মারা যেতো কিন্তু মিল্টনের পাষণ্ড হৃদয় নাড়া দিতো না। আমরা অনেক তথ্য বের করেছি। প্রয়োজনে আবার রিমান্ডে আনবো।

হারুন আরও বলেন, আমাদের সমাজে যদি এ ধরনের মানুষ থাকে যারা মানবতার ফেরিওয়ালা সেঁজে প্রতারণা করছে, এমন মানুষদের বিষয়েও আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। যে মানবতার ফেরিওয়ালা সেঁজে টাকা হাতিয়ে নিয়ে মানুষকে সেবা দিচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারা তাকে সহায়তা করেছে, কারা তাকে ভিডিও বানানোর পরামর্শ দিয়েছে তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মিল্টনের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা একবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ডিবির হারুন অর রশীদ বলেন, ইতোমধ্যে মিল্টনের আশ্রমের বাসিন্দাদের ভালো খাবার ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

মিল্টন অনেকের হাত-পা কেটে ফেলত। এতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ভয়াবহ অপরাধ। মিল্টন বারবার বলেছে ৯০০ লোক মারা গেছে, আবার বলছে ১৩৫ জন মারা গেছে। যারা মারা গেছে তাদের তো স্বজন ছিল। তার উচিত ছিল স্বজন ও ঠিকানা খুঁজে বের করা, বাবা মা বেঁচে আছে কি না তার খোঁজ নেওয়া। রেজিস্ট্রারে লেখা দরকার ছিল। এটা না মেনে থানা জিডি না করে, অসহায় মানুষদের পরিবার ও স্বজনদের না জানিয়ে কবর দেওয়া ভয়াবহ অপরাধ। সব কিছুই আমরা তদন্তে আনবো।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *