সারাদেশ

চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিট প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

ডেস্ক রিপোর্ট: নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে বলেই আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের (৫২ ব্যাচ) নবীন শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আঙ্গরপোতা দহগ্রামে দেখেছি স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন একজন নারী অথবা কোন জেলার ডিসি নারী অথবা তার পরের জন নারী। নারীদের সঙ্গে নিয়ে চলতে পারছি বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি বাংলাদেশকে বদলে দেব। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণে দুর্গম চরাঞ্চলের জনগণও ল্যাপটপে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সর্বত্রই পৌছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে গেছে। স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়েছে এবং আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে।

নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, জাতি তোমাদের মতো এই মেধাবীদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যত, জাতির কান্ডারি। তোমরাই বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত তথা সব কিছুতে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে।

শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শ কেন্দ্রের অতিরিক্ত পরিচালক ড. আফসানা হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও স্বাগত জানান।

জাবি উপাচার্য বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর ‘এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৪’ এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান লাভ করেছে। এছাড়াও বিশ্ব সেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযাগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্থান লাভ করেছে। বিভাগ ভিত্তিক র‍্যাংকিং এ দর্শন, ইতিহাস, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ শিক্ষা-গবেষণায় দেশ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

এর আগে, নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের কাছে নিজ নিজ অনুষদের নবীন শিক্ষার্থীদের পাঠক্রম সম্পাদনের জন্য উপস্থাপন করেন। এ সময় অনুষদগুলোর ডিন শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য গ্রহণ করেন।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শ দান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মো. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের (৪৮ ব্যাচ) প্রবেশিকা অনুষ্ঠান হয়েছিলো। এরপর, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রবেশিকা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়নি।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *